ঢাকা ১২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাসূল সা.-ই হলেন মুমিনের একমাত্র জীবনাদর্শ- ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, “ইসলামকেই একমাত্র গ্রহণযোগ্য দ্বীন হিসেবে মহান আল্লাহ গ্রহণ করেছেন। আর তিনিই নির্ধারণ করেছেন যে, একজন মুমিনের কাছে রাসূল সা.-ই হলেই মুমিনের একমাত্র জীবনাদর্শ।”

তিনি রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির আয়োজিত এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩-এ অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে জাতীয় সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও সম্মানিত অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, “মানুষের অর্থনীতি, রাজনীতি, ব্যক্তিগত জীবনসহ সার্বিক জীবনের আদর্শ হলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। স্বয়ং মহান আল্লাহ সেটা নিশ্চিত করেছেন। সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিটি পদক্ষেপ আমাদেরকে অনুসরণ করতে হবে। অন্যান্য নবী-রাসূলদের সকল গুণাবলি মহান আল্লাহ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাঝে প্রবেশ করিয়েছেন। জীবনের প্রতিটি স্তরে রাসূল সা. ভূমিকা রেখেছেন। ফলে জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনো ক্ষেত্রে অন্য কারো কাছে দ্বারস্থ হতে হবে না।”

তিনি বলেন, “একজন মুসলমানের মূল উদ্দেশ্যেই হওয়া উচিত মহান আল্লাহর একনিষ্ঠ গোলাম হতে চাওয়া। এ কারণেই তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন। ক্যারিয়ার ও কর্ম যদি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও দ্বীন বিজয়ের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়, তাহলেই সেটা আল্লাহর গোলামি। দ্বীনের সাথে সম্পর্কহীন একজন প্রেসিডেন্টের চেয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও দ্বীন কায়েমের সাথে সম্পৃক্ত একজন সুইপার আল্লাহর সাথে বেশি প্রিয়। রাসূল সা. মূলত উম্মতকে দুটি বার্তা দিয়েছেন। প্রথমত, আমরা মহান আল্লাহর গোলামি করব এবং তাঁর জান্নাতে প্রবেশ করব। সিরাত পাঠের মাধ্যমে নিজেদের এমনভাবে তৈরি করতে পারলেই এ আয়োজন সার্থক হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি রাসূল সা.-এর জীবনী অধ্যয়নের মাধ্যমে আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের ইসলামী জীবনাদর্শ অনুসরণের ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, রাসূল সা.-এর জীবন যেভাবে অধ্যয়ন হয়েছে, তা সার্বিক জীবনে পালন করার মাধ্যমে নিজেদেরকে আল্লাহ তায়ালার পছন্দের মানুষে পরিণত করবেন।” এরপর তিনি আয়োজনে অংশগ্রহণকারী, উপস্থিত পুরস্কার বিজয়ী ও তাদের অভিভাবকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

ট্যাগস :

রাসূল সা.-ই হলেন মুমিনের একমাত্র জীবনাদর্শ- ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

আপডেট সময় ০৮:০১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, “ইসলামকেই একমাত্র গ্রহণযোগ্য দ্বীন হিসেবে মহান আল্লাহ গ্রহণ করেছেন। আর তিনিই নির্ধারণ করেছেন যে, একজন মুমিনের কাছে রাসূল সা.-ই হলেই মুমিনের একমাত্র জীবনাদর্শ।”

তিনি রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির আয়োজিত এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩-এ অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে জাতীয় সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও সম্মানিত অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, “মানুষের অর্থনীতি, রাজনীতি, ব্যক্তিগত জীবনসহ সার্বিক জীবনের আদর্শ হলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। স্বয়ং মহান আল্লাহ সেটা নিশ্চিত করেছেন। সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিটি পদক্ষেপ আমাদেরকে অনুসরণ করতে হবে। অন্যান্য নবী-রাসূলদের সকল গুণাবলি মহান আল্লাহ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাঝে প্রবেশ করিয়েছেন। জীবনের প্রতিটি স্তরে রাসূল সা. ভূমিকা রেখেছেন। ফলে জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনো ক্ষেত্রে অন্য কারো কাছে দ্বারস্থ হতে হবে না।”

তিনি বলেন, “একজন মুসলমানের মূল উদ্দেশ্যেই হওয়া উচিত মহান আল্লাহর একনিষ্ঠ গোলাম হতে চাওয়া। এ কারণেই তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন। ক্যারিয়ার ও কর্ম যদি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও দ্বীন বিজয়ের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়, তাহলেই সেটা আল্লাহর গোলামি। দ্বীনের সাথে সম্পর্কহীন একজন প্রেসিডেন্টের চেয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও দ্বীন কায়েমের সাথে সম্পৃক্ত একজন সুইপার আল্লাহর সাথে বেশি প্রিয়। রাসূল সা. মূলত উম্মতকে দুটি বার্তা দিয়েছেন। প্রথমত, আমরা মহান আল্লাহর গোলামি করব এবং তাঁর জান্নাতে প্রবেশ করব। সিরাত পাঠের মাধ্যমে নিজেদের এমনভাবে তৈরি করতে পারলেই এ আয়োজন সার্থক হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি রাসূল সা.-এর জীবনী অধ্যয়নের মাধ্যমে আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের ইসলামী জীবনাদর্শ অনুসরণের ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, রাসূল সা.-এর জীবন যেভাবে অধ্যয়ন হয়েছে, তা সার্বিক জীবনে পালন করার মাধ্যমে নিজেদেরকে আল্লাহ তায়ালার পছন্দের মানুষে পরিণত করবেন।” এরপর তিনি আয়োজনে অংশগ্রহণকারী, উপস্থিত পুরস্কার বিজয়ী ও তাদের অভিভাবকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।