ঢাকা ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পিয়াস সমন্বয়কারী, অশ্রু ও নুসরাত যুগ্ম সমন্বয়কারী Logo পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার-৩ Logo ভারতকে প্রভুত্ব ছেড়ে বন্ধু হওয়ার আহ্বান বিএনপির Logo মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন ২ হাজার ১১১ জন Logo ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে রাজনৈতিক দলগুলো’ Logo নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল আছে: অর্থ উপদেষ্টা Logo ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসেছি: আসিফ মাহমুদ Logo সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে কড়াকড়ি Logo ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক ৭৮ বাংলাদেশি নাবিকের ছবি প্রকাশ Logo ‘ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে, তার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে’

নতুন শিক্ষা কারিকুলামের ২০০ কোটির খরচ পানিতে!

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৩৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
  • 40

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

দেশ রুপান্তর:

নতুন শিক্ষা কারিকুলামের ২০০ কোটির খরচ পানিতে!
প্রাথমিক শিক্ষাকে আনন্দময় করতে এবং পাঠ্যপুস্তকের বোঝা ও পরীক্ষার চাপ কমাতে গভীর শিখনের বিষয়ে গুরুত্ব দেয় সরকার। মুখস্থ নির্ভরতার পরিবর্তে বাস্তবভিত্তিক শিক্ষাদান করতে চালু হয় ধারাবাহিক মূল্যায়ন। এজন্য সরকার ২০২৩ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় এবং চলতি বছর তৃতীয় শ্রেণিতে সামষ্টিক মূল্যায়নের পরিবর্তে পাঠভিত্তিক ধারাবাহিক মূল্যায়ন চালু করে। ১৯৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয় করে সারা দেশের প্রায় চার লাখ শিক্ষককে সশরীরে ও অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু এ পদ্ধতি বাতিল হওয়ায় পুরো খরচই পানিতে যাচ্ছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. ইমামুল ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে কারিকুলাম বিস্তরণ প্রশিক্ষণ হয়েছে। কারিকুলাম বাস্তবায়নের বিষয়ে এনসিটিবিও কাজ করে।

গত বছর আগস্ট থেকে দেশের উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৫ হাজার ৬৫৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় তিন লক্ষাধিক শিক্ষক সশরীরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। তথাপি চলতি বছরে তৃতীয় শ্রেণিতে ধারাবাহিক মূল্যায়ন শুরু হয়। পাঠদান কাজকে সহযোগিতা করতে স্কুল পর্যায়ে বছরের সাত মাস পর শিক্ষক সহায়িকা প্রেরণ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ফলে শিক্ষকরা শিক্ষক সহায়িকা ছাড়াই প্রথমদিকে শ্রেণি পাঠদানকালে পারদর্শিতা যাচাই করলেও ডায়েরি-১ ও ডায়েরি-২-তে মূল্যায়ন ফল সংরক্ষণ করেনি। অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে তথ্য ডায়েরি খুঁজে পাওয়া যায়নি। নতুন কারিকুলামে প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়নের ফল প্রকাশের পর শিশুদের প্রত্যেককে রিপোর্ট কার্ড প্রদানের নির্দেশনা থাকলেও প্রথম-তৃতীয় শ্রেণিতে তেমন কোনো মূল্যায়ন হয়নি।

 

কালবেলা:

জব্দের আগেই ব্যাংক খালি করেন লোটাস কামাল
সরকার পরিবর্তনের আভাস পেয়েই গত জানুয়ারি থেকে নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব খালি করে বিদেশে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল ও তার পরিবার। গত জানুয়ারি থেকে তারা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়েছেন সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) জব্দ করা ব্যাংক হিসাবে অবশ্য পাওয়া গেছে ৮০ কোটি টাকার বেশি। মূলত ব্যাংকে তারল্য সংকটের কারণে পুরো অর্থ তুলে নিতে পারেননি। অভিযোগ আছে, সাবেক এই মন্ত্রী ব্যাংক, পুঁজিবাজার ও সরকারি প্রকল্প থেকে লুটেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। সাম্রাজ্য গড়েছেন দুবাই, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে।

২০০৮ সাল থেকে টানা ১৬ বছর কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলা) আসনের এমপি ছিলেন আবু হেনা মোহাম্মদ (আ হ ম) মুস্তফা কামাল। তিনি পরিচিত লোটাস কামাল নামে। আওয়ামী লীগের হয়ে পাঁচবার সংসদ সদস্য হওয়া এই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ক্রিকেট সংগঠকও। সব পরিচয় ছাপিয়ে লোটাস কামাল একজন বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ। অথচ তার হাতেই দেশের অর্থনীতি বলা চলে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন আঁচ করতে পেরে গত ১৫ জুলাই লোটাস কামাল ও নাফিসা কামাল দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এর আগেই তাদের ব্যাংক থেকে তুলে নিয়েছেন সিংহভাগ অর্থ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ২২ আগস্ট লোটাস কামাল, তার স্ত্রী কাশমিরী কামাল ও মেয়ে নাফিসা কামালের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে বিএফআইইউ।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি অস্বাভাবিক নয়, এটা সাময়িক : অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, তবে এটা অস্বাভাবিক না। বৈশ্বিকভাবে প্রবণতা এমনই। বাংলাদেশে বেড়েছে বন্যা, মজুরি বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতির ভিত্তিকে নিয়ন্ত্রণ না করা ইত্যাদি কারণে। তবে এটা সাময়িক।’

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ে এক সভা শেষে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি ও পণ্যের মূল্যকে এক করে দেখা যাবে না। কিছু ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি কমলেও পণ্যের মূল্য বেড়েছে।’

আজ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর হালনাগাদ তথ্যে জানানো হয়, সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। অক্টোবরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে। এ ছাড়া গড় মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। অক্টোবরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে।
এদিকে, মূল্যস্ফীতি কমিয়ে পণ্যের দাম সহনশীল করতে দুই তিন বছর লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, বর্তমানে ফরেন এক্সচেঞ্জের কোনো সংকট নেই। যে কেউ এলসি খুলতে পারবেন। বাজারে টাকা পাবেন না কিন্তু ডলার পাবেন। এখানে একটা বড় পরিবর্তন হয়েছে।

প্রথম আলো:

তিন মাসের মধ্যে অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ
বিবিএসের প্রতিবেদন
পণ্যের সরবরাহ বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবার এলসি মার্জিন ছাড়াই নিত্যপণ্য আমদানির সিদ্ধান্ত।

আমদানি বাড়াতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ।

বিবিএসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান মূলত অক্টোবর মাসের চড়া বাজার পরিস্থিতিকেই প্রতিফলিত করেছে। এই মাসে প্রায় সব খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ে। এক ডজন ডিম কিনতেই একজন ক্রেতাকে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা খরচ করতে হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দামও দৃশ্যত নিম্নবিত্ত ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে ছিল।

বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে গভর্নর বলেন, নিত্যপণ্য আমদানিতে সাময়িকভাবে ঋণপত্রের (এলসি) মার্জিন তুলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ব্যাংকের একক গ্রাহকের বিদ্যমান ঋণসীমা। এ ঋণসীমা ব্যাংকের কাছে ‘সিঙ্গেল বরোয়ার লিমিট’ হিসেবে পরিচিত
সার্বিক মূল্যস্ফীতি আবার দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গতকাল যে হিসাব প্রকাশ করেছে, সে অনুযায়ী অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত তিন মাসে, অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে, দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে। কয়েক দফায় নীতি সুদহার বাড়িয়েও মূল্যস্ফীতির রাশ টেনে ধরতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সে কারণে ঊর্ধ্বমুখী এই মূল্যস্ফীতি পণ্যের সরবরাহ বাড়িয়ে নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিবিএসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান হাতে নিয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল বৈঠক করেন সচিবালয়ে, যেখানে পণ্যের

কালের কন্ঠ:

বিচারের আওতায় পতিত স্বৈরাচার
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন মাসে বড় সাফল্য হলো পতিত স্বৈরাচারী সরকারের অনেককে গ্রেপ্তার এবং তাঁদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা। গুম-খুনের তদন্ত, একতরফা ও অনিয়মের ভোটে নির্বাচিতদের নিয়ে গঠিত সংসদ বিলুপ্ত করা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথাকথিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ, পুলিশ, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পতিত স্বৈরাচার সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিতদের একাংশকে সরিয়ে দিয়ে বিচারের সম্মুখীন করাও এই সাফল্যের মধ্যে পড়ে। অর্থনীতির ক্ষেত্রে কিছুটা শৃঙ্খলা আনাটাও এই সরকারের অন্যতম সাফল্য। এই মূল্যায়ন অনেকের।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ও দেশ ছাড়েন। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর নেতৃত্বে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ এ সরকারের তিন মাস পূর্ণ হচ্ছে।

নয়াদিন্ত:-

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত
– বাড়ছে এসেনসিয়াল ড্রাগসের সংখ্যা
– তিন মাসে মোটা দাগে ৫ অর্জন সরকারের

বহু বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের ১২তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ছাড়া বিগত মুজিববর্ষে মূর্তি নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে কোন মন্ত্রণালয়ে কত টাকা অপচয় হয়েছে তার তথ্যাদি সংগ্রহের পর প্রতিবেদন প্রকাশ করবে সরকার। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে গতকাল সন্ধ্যায় শফিকুল আলম জানান, গত বছর পতিত স্বৈরাচার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে নতুন বোতলে এনে নাম দিয়েছিল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট। কিন্তু উদ্দেশ্য একই ছিল। উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কণ্ঠরোধ করা। এই অ্যাক্টের মাধ্যমে অনেক মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে। তাদের অনেককে জেলও দেয়া হয়েছে। কেবিনেটে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে এটি রিপিল (বাতিল) করার।

তিনি বলেন, এটা বাতিল করার পরে দ্রুত একটা ল’ (আইন) করা হবে। সাইবার সিকিউরিটির একটা উল্লেখযোগ্য জিনিস হচ্ছে সাইবার সেফটি। বিশেষ করে মহিলাদের সেফটি এবং ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি; বিশেষ করে ক্রেডিট কার্ড। এ ছাড়া মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেম ব্যবহারকারীদের সেফটি, যেগুলোর মাধ্যমে সাইবার সমস্যা তৈরি বা হ্যাকিং হয়। মূল ফোকাস থাকবে আমাদের ভারনারেবল জনগোষ্ঠী বা ফিন্যান্সিয়াল ইনফ্র্যাস্টাকচার যাতে আমরা প্রটেক্ট করতে পারি।
সাইবার সিকিউরিটি আইনে যেসব মামলা হয়েছে সেসব মামলার কী হবে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, আইন মন্ত্রণালয় এসব বিষয়ে বলবে। আমরা কিছু কিছু মামলা যেমন- সাইবার রিলেটেড সেগুলো হয়তো থাকবে। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করেছিল যেসব মামলা, একজনকে ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বললে ৭ বছরের জেল হয়ে গেছে, সেসব মামলা হয়তো বাদ দেয়া হবে। তবে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি বা মেয়েদের সিকিউরিটির মামলাগুলো হয়তো চলবে। বৈঠকে ‘ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ উপদেষ্টা কমিটি গঠন করবে। এ কমিটির মতামত ও পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ পরিমার্জনপূর্বক পুনরায় উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে উপস্থাপন করবে। উচ্চপর্যায়ের এই কমিটির প্রধান হবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ শতাংশ। ধূমপানের কারণে অনেক স্বাস্থ্যহানি যেমন হয় তেমন আবার সিগারেট ইন্ডাস্ট্রি থেকে বড় পরিমাণ রেভিনিউ আসে। এগুলো বিবেচনায় নিয়ে এই আইন করার বিষয়টি তারা ভাববেন।

প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশে এসেনসিয়াল ড্রাগসের লিস্ট ছিল ১১৭টি। সেটা অনেক আগের। আপডেট লিস্টে ২৬০টি এসেনসিয়াল ড্রাগস রাখার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী, উচ্চমূল্যের কারণে যারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদেরকে প্রটেকশন দিতে এ সিদ্ধান্ত।

যুগান্তর:

মার্কিন নির্বাচনে জয়ী পাঁচ বাংলাদেশি
সবাই যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য পর্যায়ের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার প্রতিনিধি * একজন ছাড়া বাকিরা ছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থীবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদের জয় পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৫ মার্কিন রাজনীতিবিদ। তাদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই ছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি নির্বাচনি ফলাফল ও স্থানীয় কমিউনিটি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশিরা হলেন-নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ আবুল বি খান (রিপাবলিকান), নিউ জার্সি প্লেইন্সবরো টাউনশিপের কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী, কানেকটিকাট স্টেট সিনেটর মাসুদুর রহমান, জর্জিয়া ডিস্ট্রিক্ট ফাইভে স্টেট সিনেটর পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দন ও একই স্টেটের অন্য একটি ডিস্ট্রিক্টের সিনেটর নাবিলা ইসলাম।

এদের মধ্যে কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০০৭ সাল থেকে টানা ১৪ বছর এ পদে আছেন। তার টাউনশিপে একজন মেয়র এবং ৫ জন কাউন্সিলম্যান রয়েছেন। তিনি কাউন্সিলম্যান হিসাবে কালচারাল এবং হেরিটেজ বিষয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া নিউ হ্যাম্পশায়ারের আবুল বি খান এ নিয়ে ছয়বার আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

আবুল খান বলেন, ‘আমি খুবই আপ্লুত। মানুষ আমাকে ছয়বারের মতো সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত করেছে। আমি রিপাবলিকান থেকে পাশ করলেও এখন আমি সর্বস্তরের, সব দলের মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করব। আমাদের সরকার সব সময়ই কর না বাড়ানোর পক্ষে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নতির পক্ষে। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করব। কিশোরগঞ্জের সন্তান শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দন টানা চতুর্থবারের মতো জর্জিয়ার ডিস্ট্রিক্ট-ফাইভ থেকে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী লিসা ব্যাবেজের চেয়ে তিনি ৭০ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছেন। তিনিই হচ্ছেন সেখানকার প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান ও জর্জিয়ার প্রথম মুসলিম আইনপ্রণেতা।

দৈনিক সংগ্রাম:

জামায়াত দেশ ও জাতির মুক্তির জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে — ডা. শফিকুর রহমান
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অপশাসন-দুঃশাসনমুক্ত, বৈষম্যহীন, ইনসাফপূর্ণ, তারুণ্য সমৃদ্ধ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় রাজধানীর মগবাজারস্থ আল ফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মাদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসাইন, ইয়াছিন আরাফাত ও ড. মাওলানা আহসান হাবিব এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ।

মমানবজমিন:

কেমন হবে ট্রাম্প দুনিয়া?
বিশ্ব যখন যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, রেষারেষিতে উত্তাল তখন বিশ্বমোড়লের দায়িত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু একদিনের মধ্যে তিনি যুদ্ধ থামিয়ে দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা কীভাবে সামলাবেন এবং কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন, সে বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেননি। দৃশ্যত, এটাই বিশ্বের চোখে হবে ট্রাম্পের জন্য সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ। গাজায়, পশ্চিমতীরে গণহত্যা, লেবাননে অব্যাহতভাবে হামলা কীভাবে সমাধান দেবেন তিনি তা দেখার জন্য উদগ্রীব বিশ্ব। অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে তিনি কোন পথে হাঁটেন তাও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। এখানে আরও একটি কথা বলে রাখা ভালো। তা হলো বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দা-কুমড়ো সম্পর্ক। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। চীনের বিরুদ্ধে তিনি বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তারপর ক্ষমতায় আসেন ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার। তাইওয়ান ইস্যুতে তার সরকার চীনের সঙ্গে যুদ্ধং দেহী অবস্থান নেয়। তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন।

সমকাল:

সব প্রস্তুতি সেরেও বিদেশ যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া
সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও এখনই চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে কবে যাবেন, তা-ও কেউ নিশ্চিত করতে পারছেন না। এর আগে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক থাকলে আজ শুক্রবার তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাবেন। সেখান থেকে অন্য কোনো দেশের উন্নত সেন্টারে যাবেন লিভার প্রতিস্থাপনে। তবে রাজনৈতিক কারণে আপাতত তাঁর বিদেশ যাওয়া হচ্ছে না– বলছে সূত্র।

এদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার ব্যবস্থা করতে বিএনপির পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও চিঠি দেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়ায় মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এবং সঙ্গে চিকিৎসক-নার্সসহ আত্মীয়স্বজন যারা যাবেন, তাদের ভিসা প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। তবে অজ্ঞাত কারণে তাতে বিলম্ব ঘটছে। কী কারণে দেরি হচ্ছে, তা স্পষ্ট করতে নারাজ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে সিসিইউতে থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাঁকে দীর্ঘ সময়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, ‘ম্যাডামের বিদেশযাত্রা দেরি হবে। আগামী সপ্তাহে হতে পারে কিংবা আরও পরে হতে পারে। বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। এর বাইরে কিছু বলা যাচ্ছে না। তিনি আগের চেয়ে সুস্থ আছেন; বাসায় চিকিৎসা চলবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গুলশানের বাসায় তাঁর সঙ্গে ছোট পুত্রবধূ রয়েছেন। এবার ম্যাডাম ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানের একসঙ্গে হজ পালন করার কথা রয়েছে। সেটি বিদেশ যাওয়ার সময়ও হতে পারে, আবার দেশে ফেরার পথেও হতে পারে।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

পিয়াস সমন্বয়কারী, অশ্রু ও নুসরাত যুগ্ম সমন্বয়কারী

নতুন শিক্ষা কারিকুলামের ২০০ কোটির খরচ পানিতে!

আপডেট সময় ০৭:৩৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

দেশ রুপান্তর:

নতুন শিক্ষা কারিকুলামের ২০০ কোটির খরচ পানিতে!
প্রাথমিক শিক্ষাকে আনন্দময় করতে এবং পাঠ্যপুস্তকের বোঝা ও পরীক্ষার চাপ কমাতে গভীর শিখনের বিষয়ে গুরুত্ব দেয় সরকার। মুখস্থ নির্ভরতার পরিবর্তে বাস্তবভিত্তিক শিক্ষাদান করতে চালু হয় ধারাবাহিক মূল্যায়ন। এজন্য সরকার ২০২৩ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় এবং চলতি বছর তৃতীয় শ্রেণিতে সামষ্টিক মূল্যায়নের পরিবর্তে পাঠভিত্তিক ধারাবাহিক মূল্যায়ন চালু করে। ১৯৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয় করে সারা দেশের প্রায় চার লাখ শিক্ষককে সশরীরে ও অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু এ পদ্ধতি বাতিল হওয়ায় পুরো খরচই পানিতে যাচ্ছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. ইমামুল ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে কারিকুলাম বিস্তরণ প্রশিক্ষণ হয়েছে। কারিকুলাম বাস্তবায়নের বিষয়ে এনসিটিবিও কাজ করে।

গত বছর আগস্ট থেকে দেশের উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৫ হাজার ৬৫৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় তিন লক্ষাধিক শিক্ষক সশরীরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। তথাপি চলতি বছরে তৃতীয় শ্রেণিতে ধারাবাহিক মূল্যায়ন শুরু হয়। পাঠদান কাজকে সহযোগিতা করতে স্কুল পর্যায়ে বছরের সাত মাস পর শিক্ষক সহায়িকা প্রেরণ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ফলে শিক্ষকরা শিক্ষক সহায়িকা ছাড়াই প্রথমদিকে শ্রেণি পাঠদানকালে পারদর্শিতা যাচাই করলেও ডায়েরি-১ ও ডায়েরি-২-তে মূল্যায়ন ফল সংরক্ষণ করেনি। অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে তথ্য ডায়েরি খুঁজে পাওয়া যায়নি। নতুন কারিকুলামে প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়নের ফল প্রকাশের পর শিশুদের প্রত্যেককে রিপোর্ট কার্ড প্রদানের নির্দেশনা থাকলেও প্রথম-তৃতীয় শ্রেণিতে তেমন কোনো মূল্যায়ন হয়নি।

 

কালবেলা:

জব্দের আগেই ব্যাংক খালি করেন লোটাস কামাল
সরকার পরিবর্তনের আভাস পেয়েই গত জানুয়ারি থেকে নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব খালি করে বিদেশে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল ও তার পরিবার। গত জানুয়ারি থেকে তারা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়েছেন সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) জব্দ করা ব্যাংক হিসাবে অবশ্য পাওয়া গেছে ৮০ কোটি টাকার বেশি। মূলত ব্যাংকে তারল্য সংকটের কারণে পুরো অর্থ তুলে নিতে পারেননি। অভিযোগ আছে, সাবেক এই মন্ত্রী ব্যাংক, পুঁজিবাজার ও সরকারি প্রকল্প থেকে লুটেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। সাম্রাজ্য গড়েছেন দুবাই, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে।

২০০৮ সাল থেকে টানা ১৬ বছর কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলা) আসনের এমপি ছিলেন আবু হেনা মোহাম্মদ (আ হ ম) মুস্তফা কামাল। তিনি পরিচিত লোটাস কামাল নামে। আওয়ামী লীগের হয়ে পাঁচবার সংসদ সদস্য হওয়া এই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ক্রিকেট সংগঠকও। সব পরিচয় ছাপিয়ে লোটাস কামাল একজন বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ। অথচ তার হাতেই দেশের অর্থনীতি বলা চলে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন আঁচ করতে পেরে গত ১৫ জুলাই লোটাস কামাল ও নাফিসা কামাল দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এর আগেই তাদের ব্যাংক থেকে তুলে নিয়েছেন সিংহভাগ অর্থ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ২২ আগস্ট লোটাস কামাল, তার স্ত্রী কাশমিরী কামাল ও মেয়ে নাফিসা কামালের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে বিএফআইইউ।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি অস্বাভাবিক নয়, এটা সাময়িক : অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, তবে এটা অস্বাভাবিক না। বৈশ্বিকভাবে প্রবণতা এমনই। বাংলাদেশে বেড়েছে বন্যা, মজুরি বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতির ভিত্তিকে নিয়ন্ত্রণ না করা ইত্যাদি কারণে। তবে এটা সাময়িক।’

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ে এক সভা শেষে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি ও পণ্যের মূল্যকে এক করে দেখা যাবে না। কিছু ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি কমলেও পণ্যের মূল্য বেড়েছে।’

আজ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর হালনাগাদ তথ্যে জানানো হয়, সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। অক্টোবরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে। এ ছাড়া গড় মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। অক্টোবরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে।
এদিকে, মূল্যস্ফীতি কমিয়ে পণ্যের দাম সহনশীল করতে দুই তিন বছর লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, বর্তমানে ফরেন এক্সচেঞ্জের কোনো সংকট নেই। যে কেউ এলসি খুলতে পারবেন। বাজারে টাকা পাবেন না কিন্তু ডলার পাবেন। এখানে একটা বড় পরিবর্তন হয়েছে।

প্রথম আলো:

তিন মাসের মধ্যে অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ
বিবিএসের প্রতিবেদন
পণ্যের সরবরাহ বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবার এলসি মার্জিন ছাড়াই নিত্যপণ্য আমদানির সিদ্ধান্ত।

আমদানি বাড়াতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ।

বিবিএসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান মূলত অক্টোবর মাসের চড়া বাজার পরিস্থিতিকেই প্রতিফলিত করেছে। এই মাসে প্রায় সব খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ে। এক ডজন ডিম কিনতেই একজন ক্রেতাকে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা খরচ করতে হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দামও দৃশ্যত নিম্নবিত্ত ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে ছিল।

বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে গভর্নর বলেন, নিত্যপণ্য আমদানিতে সাময়িকভাবে ঋণপত্রের (এলসি) মার্জিন তুলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ব্যাংকের একক গ্রাহকের বিদ্যমান ঋণসীমা। এ ঋণসীমা ব্যাংকের কাছে ‘সিঙ্গেল বরোয়ার লিমিট’ হিসেবে পরিচিত
সার্বিক মূল্যস্ফীতি আবার দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গতকাল যে হিসাব প্রকাশ করেছে, সে অনুযায়ী অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত তিন মাসে, অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে, দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে। কয়েক দফায় নীতি সুদহার বাড়িয়েও মূল্যস্ফীতির রাশ টেনে ধরতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সে কারণে ঊর্ধ্বমুখী এই মূল্যস্ফীতি পণ্যের সরবরাহ বাড়িয়ে নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিবিএসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান হাতে নিয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল বৈঠক করেন সচিবালয়ে, যেখানে পণ্যের

কালের কন্ঠ:

বিচারের আওতায় পতিত স্বৈরাচার
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন মাসে বড় সাফল্য হলো পতিত স্বৈরাচারী সরকারের অনেককে গ্রেপ্তার এবং তাঁদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা। গুম-খুনের তদন্ত, একতরফা ও অনিয়মের ভোটে নির্বাচিতদের নিয়ে গঠিত সংসদ বিলুপ্ত করা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথাকথিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ, পুলিশ, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পতিত স্বৈরাচার সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিতদের একাংশকে সরিয়ে দিয়ে বিচারের সম্মুখীন করাও এই সাফল্যের মধ্যে পড়ে। অর্থনীতির ক্ষেত্রে কিছুটা শৃঙ্খলা আনাটাও এই সরকারের অন্যতম সাফল্য। এই মূল্যায়ন অনেকের।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ও দেশ ছাড়েন। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর নেতৃত্বে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ এ সরকারের তিন মাস পূর্ণ হচ্ছে।

নয়াদিন্ত:-

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত
– বাড়ছে এসেনসিয়াল ড্রাগসের সংখ্যা
– তিন মাসে মোটা দাগে ৫ অর্জন সরকারের

বহু বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের ১২তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ছাড়া বিগত মুজিববর্ষে মূর্তি নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে কোন মন্ত্রণালয়ে কত টাকা অপচয় হয়েছে তার তথ্যাদি সংগ্রহের পর প্রতিবেদন প্রকাশ করবে সরকার। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে গতকাল সন্ধ্যায় শফিকুল আলম জানান, গত বছর পতিত স্বৈরাচার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে নতুন বোতলে এনে নাম দিয়েছিল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট। কিন্তু উদ্দেশ্য একই ছিল। উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কণ্ঠরোধ করা। এই অ্যাক্টের মাধ্যমে অনেক মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে। তাদের অনেককে জেলও দেয়া হয়েছে। কেবিনেটে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে এটি রিপিল (বাতিল) করার।

তিনি বলেন, এটা বাতিল করার পরে দ্রুত একটা ল’ (আইন) করা হবে। সাইবার সিকিউরিটির একটা উল্লেখযোগ্য জিনিস হচ্ছে সাইবার সেফটি। বিশেষ করে মহিলাদের সেফটি এবং ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি; বিশেষ করে ক্রেডিট কার্ড। এ ছাড়া মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেম ব্যবহারকারীদের সেফটি, যেগুলোর মাধ্যমে সাইবার সমস্যা তৈরি বা হ্যাকিং হয়। মূল ফোকাস থাকবে আমাদের ভারনারেবল জনগোষ্ঠী বা ফিন্যান্সিয়াল ইনফ্র্যাস্টাকচার যাতে আমরা প্রটেক্ট করতে পারি।
সাইবার সিকিউরিটি আইনে যেসব মামলা হয়েছে সেসব মামলার কী হবে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, আইন মন্ত্রণালয় এসব বিষয়ে বলবে। আমরা কিছু কিছু মামলা যেমন- সাইবার রিলেটেড সেগুলো হয়তো থাকবে। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করেছিল যেসব মামলা, একজনকে ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বললে ৭ বছরের জেল হয়ে গেছে, সেসব মামলা হয়তো বাদ দেয়া হবে। তবে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি বা মেয়েদের সিকিউরিটির মামলাগুলো হয়তো চলবে। বৈঠকে ‘ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ উপদেষ্টা কমিটি গঠন করবে। এ কমিটির মতামত ও পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ পরিমার্জনপূর্বক পুনরায় উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে উপস্থাপন করবে। উচ্চপর্যায়ের এই কমিটির প্রধান হবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ শতাংশ। ধূমপানের কারণে অনেক স্বাস্থ্যহানি যেমন হয় তেমন আবার সিগারেট ইন্ডাস্ট্রি থেকে বড় পরিমাণ রেভিনিউ আসে। এগুলো বিবেচনায় নিয়ে এই আইন করার বিষয়টি তারা ভাববেন।

প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশে এসেনসিয়াল ড্রাগসের লিস্ট ছিল ১১৭টি। সেটা অনেক আগের। আপডেট লিস্টে ২৬০টি এসেনসিয়াল ড্রাগস রাখার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী, উচ্চমূল্যের কারণে যারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদেরকে প্রটেকশন দিতে এ সিদ্ধান্ত।

যুগান্তর:

মার্কিন নির্বাচনে জয়ী পাঁচ বাংলাদেশি
সবাই যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য পর্যায়ের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার প্রতিনিধি * একজন ছাড়া বাকিরা ছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থীবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদের জয় পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৫ মার্কিন রাজনীতিবিদ। তাদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই ছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি নির্বাচনি ফলাফল ও স্থানীয় কমিউনিটি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশিরা হলেন-নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ আবুল বি খান (রিপাবলিকান), নিউ জার্সি প্লেইন্সবরো টাউনশিপের কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী, কানেকটিকাট স্টেট সিনেটর মাসুদুর রহমান, জর্জিয়া ডিস্ট্রিক্ট ফাইভে স্টেট সিনেটর পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দন ও একই স্টেটের অন্য একটি ডিস্ট্রিক্টের সিনেটর নাবিলা ইসলাম।

এদের মধ্যে কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০০৭ সাল থেকে টানা ১৪ বছর এ পদে আছেন। তার টাউনশিপে একজন মেয়র এবং ৫ জন কাউন্সিলম্যান রয়েছেন। তিনি কাউন্সিলম্যান হিসাবে কালচারাল এবং হেরিটেজ বিষয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া নিউ হ্যাম্পশায়ারের আবুল বি খান এ নিয়ে ছয়বার আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

আবুল খান বলেন, ‘আমি খুবই আপ্লুত। মানুষ আমাকে ছয়বারের মতো সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত করেছে। আমি রিপাবলিকান থেকে পাশ করলেও এখন আমি সর্বস্তরের, সব দলের মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করব। আমাদের সরকার সব সময়ই কর না বাড়ানোর পক্ষে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নতির পক্ষে। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করব। কিশোরগঞ্জের সন্তান শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দন টানা চতুর্থবারের মতো জর্জিয়ার ডিস্ট্রিক্ট-ফাইভ থেকে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী লিসা ব্যাবেজের চেয়ে তিনি ৭০ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছেন। তিনিই হচ্ছেন সেখানকার প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান ও জর্জিয়ার প্রথম মুসলিম আইনপ্রণেতা।

দৈনিক সংগ্রাম:

জামায়াত দেশ ও জাতির মুক্তির জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে — ডা. শফিকুর রহমান
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অপশাসন-দুঃশাসনমুক্ত, বৈষম্যহীন, ইনসাফপূর্ণ, তারুণ্য সমৃদ্ধ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় রাজধানীর মগবাজারস্থ আল ফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মাদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসাইন, ইয়াছিন আরাফাত ও ড. মাওলানা আহসান হাবিব এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ।

মমানবজমিন:

কেমন হবে ট্রাম্প দুনিয়া?
বিশ্ব যখন যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, রেষারেষিতে উত্তাল তখন বিশ্বমোড়লের দায়িত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু একদিনের মধ্যে তিনি যুদ্ধ থামিয়ে দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা কীভাবে সামলাবেন এবং কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন, সে বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেননি। দৃশ্যত, এটাই বিশ্বের চোখে হবে ট্রাম্পের জন্য সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ। গাজায়, পশ্চিমতীরে গণহত্যা, লেবাননে অব্যাহতভাবে হামলা কীভাবে সমাধান দেবেন তিনি তা দেখার জন্য উদগ্রীব বিশ্ব। অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে তিনি কোন পথে হাঁটেন তাও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। এখানে আরও একটি কথা বলে রাখা ভালো। তা হলো বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দা-কুমড়ো সম্পর্ক। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। চীনের বিরুদ্ধে তিনি বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তারপর ক্ষমতায় আসেন ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার। তাইওয়ান ইস্যুতে তার সরকার চীনের সঙ্গে যুদ্ধং দেহী অবস্থান নেয়। তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন।

সমকাল:

সব প্রস্তুতি সেরেও বিদেশ যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া
সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও এখনই চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে কবে যাবেন, তা-ও কেউ নিশ্চিত করতে পারছেন না। এর আগে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক থাকলে আজ শুক্রবার তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাবেন। সেখান থেকে অন্য কোনো দেশের উন্নত সেন্টারে যাবেন লিভার প্রতিস্থাপনে। তবে রাজনৈতিক কারণে আপাতত তাঁর বিদেশ যাওয়া হচ্ছে না– বলছে সূত্র।

এদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার ব্যবস্থা করতে বিএনপির পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও চিঠি দেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়ায় মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এবং সঙ্গে চিকিৎসক-নার্সসহ আত্মীয়স্বজন যারা যাবেন, তাদের ভিসা প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। তবে অজ্ঞাত কারণে তাতে বিলম্ব ঘটছে। কী কারণে দেরি হচ্ছে, তা স্পষ্ট করতে নারাজ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে সিসিইউতে থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাঁকে দীর্ঘ সময়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, ‘ম্যাডামের বিদেশযাত্রা দেরি হবে। আগামী সপ্তাহে হতে পারে কিংবা আরও পরে হতে পারে। বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। এর বাইরে কিছু বলা যাচ্ছে না। তিনি আগের চেয়ে সুস্থ আছেন; বাসায় চিকিৎসা চলবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গুলশানের বাসায় তাঁর সঙ্গে ছোট পুত্রবধূ রয়েছেন। এবার ম্যাডাম ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানের একসঙ্গে হজ পালন করার কথা রয়েছে। সেটি বিদেশ যাওয়ার সময়ও হতে পারে, আবার দেশে ফেরার পথেও হতে পারে।