ঢাকা ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সুমন,সেক্রেটারি রাকিব Logo যারা মাদরাসা শিক্ষার টুটি ধরতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে Logo নোয়াখালীতে বন্যার্তদের সহযোগিতায় হেল্পলাইন চালু করলো ছাত্রশিবির Logo এডমিট কার্ডে একাধিক বিষয়ে ভুল, আশুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৮৬ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত Logo দোহারে ডাকাতির মামলার ০৪ জন আসামী গ্রেফতার Logo গোবিন্দগঞ্জে গভীর রাতে যৌথ অভিযানে ১০ জুয়াড়ি আটক Logo অনুপ্রবেশের দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার Logo ফেনীতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা Logo ফাঁস হওয়া অডিওতে হাসিনার গুলি চালানোর নির্দেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছে বিবিসি Logo মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত,প্রস্তুত ১৩১ আশ্রয়কেন্দ্র, খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম

আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ‘মাস্টারমাইন্ড’ পুলিশ সায়েদ আটক

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ১০:২৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • 183

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আশুলিয়ায় ৪৬ জনকে গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড পুলিশ কর্মকর্তা এএফএম সায়েদকে আটক করা হয়েছে। সায়েদ আশুলিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে কক্সবাজার থেকে সায়েদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। বর্তমানে সায়েদকে শাহবাগ থানায় রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তাকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।

সূত্রে জানা গেছে, এতদিন গ্রেপ্তার আতঙ্কে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।

আর পুলিশ সূত্র জানায়, নিজেকে আড়াল করতে নানা কৌশল খাটিয়েও শেষ রক্ষা না হওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে অবৈধ পথে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করেন সায়েদ। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ইমিগ্রেশনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে তার বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়। এরই জেরে গতকাল রাতে কক্সবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার মধ্যদিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। সেদিন বিকেলে আশুলিয়ায় লাশের স্তূপে আরও লাশ তোলা এবং পরে পোড়ানোর একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এলে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র অনুসারে, এএফএম সায়েদ ২০০৬ সালের ৫ মার্চ যশোর জেলা পুলিশ লাইনে এসআই পদে যোগ দেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের দাপটে এএফএম সায়েদ ঢাকা জেলায় একটানা চাকরি করেছেন ১০ বছর ১০ মাস ৬ দিন। এ সময়টাতে তিনি ঘুরেফিরে আশুলিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার, গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা উত্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সুমন,সেক্রেটারি রাকিব

আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ‘মাস্টারমাইন্ড’ পুলিশ সায়েদ আটক

আপডেট সময় ১০:২৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আশুলিয়ায় ৪৬ জনকে গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড পুলিশ কর্মকর্তা এএফএম সায়েদকে আটক করা হয়েছে। সায়েদ আশুলিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে কক্সবাজার থেকে সায়েদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। বর্তমানে সায়েদকে শাহবাগ থানায় রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তাকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।

সূত্রে জানা গেছে, এতদিন গ্রেপ্তার আতঙ্কে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।

আর পুলিশ সূত্র জানায়, নিজেকে আড়াল করতে নানা কৌশল খাটিয়েও শেষ রক্ষা না হওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে অবৈধ পথে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করেন সায়েদ। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ইমিগ্রেশনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে তার বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়। এরই জেরে গতকাল রাতে কক্সবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার মধ্যদিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। সেদিন বিকেলে আশুলিয়ায় লাশের স্তূপে আরও লাশ তোলা এবং পরে পোড়ানোর একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এলে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র অনুসারে, এএফএম সায়েদ ২০০৬ সালের ৫ মার্চ যশোর জেলা পুলিশ লাইনে এসআই পদে যোগ দেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের দাপটে এএফএম সায়েদ ঢাকা জেলায় একটানা চাকরি করেছেন ১০ বছর ১০ মাস ৬ দিন। এ সময়টাতে তিনি ঘুরেফিরে আশুলিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার, গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা উত্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।