ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে বাধার মুখে ট্রাম্প Logo জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ১৬ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo এবার শাপলা প্রতীকের আরেক দাবিদারের আবেদন ইসিতে Logo ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়তে প্রস্তুত আনচেলত্তি Logo শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে ৭ কলেজের আন্দোলন স্থগিত Logo স্বর্নের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ২১৩৭১৯ টাকা Logo ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও দুর্নীতিবাজদের জায়গা থাকবে না’ Logo ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে প্রধান উপদেষ্টার ৬ প্রস্তাবনা Logo বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম Logo পুলিশ ফ্যাসিবাদী কায়দায় শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছে-সাদিক কায়েম

আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ‘মাস্টারমাইন্ড’ পুলিশ সায়েদ আটক

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ১০:২৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • 235

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আশুলিয়ায় ৪৬ জনকে গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড পুলিশ কর্মকর্তা এএফএম সায়েদকে আটক করা হয়েছে। সায়েদ আশুলিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে কক্সবাজার থেকে সায়েদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। বর্তমানে সায়েদকে শাহবাগ থানায় রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তাকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।

সূত্রে জানা গেছে, এতদিন গ্রেপ্তার আতঙ্কে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।

আর পুলিশ সূত্র জানায়, নিজেকে আড়াল করতে নানা কৌশল খাটিয়েও শেষ রক্ষা না হওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে অবৈধ পথে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করেন সায়েদ। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ইমিগ্রেশনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে তার বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়। এরই জেরে গতকাল রাতে কক্সবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার মধ্যদিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। সেদিন বিকেলে আশুলিয়ায় লাশের স্তূপে আরও লাশ তোলা এবং পরে পোড়ানোর একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এলে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র অনুসারে, এএফএম সায়েদ ২০০৬ সালের ৫ মার্চ যশোর জেলা পুলিশ লাইনে এসআই পদে যোগ দেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের দাপটে এএফএম সায়েদ ঢাকা জেলায় একটানা চাকরি করেছেন ১০ বছর ১০ মাস ৬ দিন। এ সময়টাতে তিনি ঘুরেফিরে আশুলিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার, গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা উত্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে বাধার মুখে ট্রাম্প

আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ‘মাস্টারমাইন্ড’ পুলিশ সায়েদ আটক

আপডেট সময় ১০:২৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আশুলিয়ায় ৪৬ জনকে গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড পুলিশ কর্মকর্তা এএফএম সায়েদকে আটক করা হয়েছে। সায়েদ আশুলিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে কক্সবাজার থেকে সায়েদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। বর্তমানে সায়েদকে শাহবাগ থানায় রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তাকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।

সূত্রে জানা গেছে, এতদিন গ্রেপ্তার আতঙ্কে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।

আর পুলিশ সূত্র জানায়, নিজেকে আড়াল করতে নানা কৌশল খাটিয়েও শেষ রক্ষা না হওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে অবৈধ পথে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করেন সায়েদ। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ইমিগ্রেশনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে তার বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়। এরই জেরে গতকাল রাতে কক্সবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার মধ্যদিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। সেদিন বিকেলে আশুলিয়ায় লাশের স্তূপে আরও লাশ তোলা এবং পরে পোড়ানোর একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এলে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র অনুসারে, এএফএম সায়েদ ২০০৬ সালের ৫ মার্চ যশোর জেলা পুলিশ লাইনে এসআই পদে যোগ দেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের দাপটে এএফএম সায়েদ ঢাকা জেলায় একটানা চাকরি করেছেন ১০ বছর ১০ মাস ৬ দিন। এ সময়টাতে তিনি ঘুরেফিরে আশুলিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার, গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা উত্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।