ঢাকা ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৫০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ Logo ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করায় জেলা ছাত্রদল নেতা নেছারের হুমকি: “হাড্ডি জায়গায় থাকবে না” Logo বর্তমান সরকারের আমলেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হবে: ড. আসিফ নজরুল Logo হানিফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা: সন্তানদের সম্পদের নোটিশ Logo মুন্সীগঞ্জে মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের আমৃত্যু কারাদণ্ড Logo দেশের অরাজক পরিস্থিতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় অন্তর্বতী সরকারের- রাকিব Logo ভালুকায় মা সহ দুই মেয়েকে জবাই করে হত্যা Logo সড়কের বেহাল দশা, লক্ষ্মীপুরের স্থানীয়রা পড়েছেন প্রকৌঁশলীর গায়েবানা জানাজা Logo অযৌক্তিক ধর্মঘট নিয়ে প্রতিবাদ করায় তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ Logo বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে পরিণত হয়েছে, অভিযোগ নাহিদ ইসলামের

বিএনপি নেতার বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি, আতংঙ্কে স্ত্রীর মৃত্যু

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির পল্লি উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ইকরাম হোসেনের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। এ সময় ওই নেতা বাড়িতে ছিলেন না। ছিলেন তাঁর স্ত্রী রেঞ্জুয়ারা বেগম (৪০)। অভিযানের সময় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই নেতার স্ত্রী মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই নেতা।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের দহিসারা গ্রামে এস এম ইকরাম হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ইকরাম হোসেন ভাঙ্গার কালামৃধা ইউনিয়নের দেওড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির পল্লি উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক। স্ত্রী রেঞ্জুয়ারা বেগম স্থানীয় চাঁদহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। রেঞ্জুয়ারা বেগম এক ছেলে ও এক মেয়ের মা।

বিএনপি নেতা এস এম ইকরাম হোসেন বলেন, শনিবার রাত সোয়া ১১টা থেকে রাত ১১টা ২০ মিনিটের মধ্যে পুলিশের একটি দল তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়িতে তাঁর স্ত্রী একাই ছিলেন। পুলিশ ঘরে ঢুকে তাঁকে খোঁজ করে ঘরের দরজা খুলে তছনছ করে। পুলিশ যখন ঘরে তছনছ করছিল, তখন তাঁর স্ত্রী ঘরের একটি সোফায় বসা ছিলেন। তছনছের দৃশ্য দেখে তাঁর স্ত্রী বসা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্ত্রীর এ অবস্থা দেখে পুলিশ পাশের বাড়ির রবীন ও তাঁর স্ত্রীকে ডেকে বলে এ বাড়িতে এক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এস এম ইকরাম হোসেন আরও বলেন, পরে তাঁর আত্মীয়স্বজন রেঞ্জুয়ারাকে একটি মাইক্রোবাসে করে পাশের মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানতে চাইলে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন বলেন, তল্লাশির নামে আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে, এ–জাতীয় কোনো ঘটনা পুলিশ ঘটায়নি। আতঙ্কে কেউ মারা গেছেন বলে তাঁর জানা নেই।

জনপ্রিয় সংবাদ

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৫০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ

বিএনপি নেতার বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি, আতংঙ্কে স্ত্রীর মৃত্যু

আপডেট সময় ০১:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির পল্লি উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ইকরাম হোসেনের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। এ সময় ওই নেতা বাড়িতে ছিলেন না। ছিলেন তাঁর স্ত্রী রেঞ্জুয়ারা বেগম (৪০)। অভিযানের সময় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই নেতার স্ত্রী মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই নেতা।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের দহিসারা গ্রামে এস এম ইকরাম হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ইকরাম হোসেন ভাঙ্গার কালামৃধা ইউনিয়নের দেওড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির পল্লি উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক। স্ত্রী রেঞ্জুয়ারা বেগম স্থানীয় চাঁদহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। রেঞ্জুয়ারা বেগম এক ছেলে ও এক মেয়ের মা।

বিএনপি নেতা এস এম ইকরাম হোসেন বলেন, শনিবার রাত সোয়া ১১টা থেকে রাত ১১টা ২০ মিনিটের মধ্যে পুলিশের একটি দল তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়িতে তাঁর স্ত্রী একাই ছিলেন। পুলিশ ঘরে ঢুকে তাঁকে খোঁজ করে ঘরের দরজা খুলে তছনছ করে। পুলিশ যখন ঘরে তছনছ করছিল, তখন তাঁর স্ত্রী ঘরের একটি সোফায় বসা ছিলেন। তছনছের দৃশ্য দেখে তাঁর স্ত্রী বসা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্ত্রীর এ অবস্থা দেখে পুলিশ পাশের বাড়ির রবীন ও তাঁর স্ত্রীকে ডেকে বলে এ বাড়িতে এক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এস এম ইকরাম হোসেন আরও বলেন, পরে তাঁর আত্মীয়স্বজন রেঞ্জুয়ারাকে একটি মাইক্রোবাসে করে পাশের মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানতে চাইলে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন বলেন, তল্লাশির নামে আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে, এ–জাতীয় কোনো ঘটনা পুলিশ ঘটায়নি। আতঙ্কে কেউ মারা গেছেন বলে তাঁর জানা নেই।