ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আত্মগোপনে থেকে ফেসবুকে জেলা ছাত্রলীগের যে বার্তা দিলেন

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০২:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 84

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম গত ৫ আগস্ট থেকে পলাতক। সূত্র বলছে, সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে পলাতক রয়েছেন তিনি। সরকার পতনের প্রায় পৌনে দুই মাস পর ফেসবুকে সরব হয়েছেন নাজমুল।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজের ফেসবুক একাউন্টে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর বাসাবাড়ি ভাঙচুর এবং জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে, আপনাদের এই দুর্দিনে রাজপথে প্রতিরোধ প্রতিবাদ করা সম্ভব হয়নি বলে প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি,

এইসব অন্যায় হামলা মামলা মোকাবিলায় প্রতিরোধ এবং প্রতিবাদ করতে না পারার ব্যর্থতা সংগঠনের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল হিসেবে অবশ্যই আমাকে নিতে হবে এবং আমি এই দায়ভার মাথা পেতে নিচ্ছি।’

পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমাদেরকে শিক্ষা নিতে হবে এবং দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে, যেহেতু দীর্ঘদিন আমরা সরকারে ছিলাম সেখানে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের ভুলত্রুটি হয়েছে, অনেক সময় ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে। প্রশাসন এবং সরকারের বিভিন্ন স্তরে অবশ্যই কিছু না কিছু দুর্নীতি লুটপাট হয়েছে, এর ফলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের এত এত উন্নয়নের পরেও স্বাভাবিকভাবেই জনগণের মনে আমাদের নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই আত্মসমালোচনা আত্মউপলব্ধি করতে হবে। পাশাপাশি সুপরিকল্পিতভাবে ভবিষ্যতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। অতীতের ভুলত্রুটি শুধরে নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে একসাথে সম্মিলিতভাবে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’

মাহমুদ উল্লাহর বিদায়ী ম্যাচে বড় হার টাইগারদের

আত্মগোপনে থেকে ফেসবুকে জেলা ছাত্রলীগের যে বার্তা দিলেন

আপডেট সময় ০২:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম গত ৫ আগস্ট থেকে পলাতক। সূত্র বলছে, সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে পলাতক রয়েছেন তিনি। সরকার পতনের প্রায় পৌনে দুই মাস পর ফেসবুকে সরব হয়েছেন নাজমুল।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজের ফেসবুক একাউন্টে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর বাসাবাড়ি ভাঙচুর এবং জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে, আপনাদের এই দুর্দিনে রাজপথে প্রতিরোধ প্রতিবাদ করা সম্ভব হয়নি বলে প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি,

এইসব অন্যায় হামলা মামলা মোকাবিলায় প্রতিরোধ এবং প্রতিবাদ করতে না পারার ব্যর্থতা সংগঠনের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল হিসেবে অবশ্যই আমাকে নিতে হবে এবং আমি এই দায়ভার মাথা পেতে নিচ্ছি।’

পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমাদেরকে শিক্ষা নিতে হবে এবং দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে, যেহেতু দীর্ঘদিন আমরা সরকারে ছিলাম সেখানে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের ভুলত্রুটি হয়েছে, অনেক সময় ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে। প্রশাসন এবং সরকারের বিভিন্ন স্তরে অবশ্যই কিছু না কিছু দুর্নীতি লুটপাট হয়েছে, এর ফলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের এত এত উন্নয়নের পরেও স্বাভাবিকভাবেই জনগণের মনে আমাদের নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই আত্মসমালোচনা আত্মউপলব্ধি করতে হবে। পাশাপাশি সুপরিকল্পিতভাবে ভবিষ্যতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। অতীতের ভুলত্রুটি শুধরে নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে একসাথে সম্মিলিতভাবে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’