ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মমতার বক্তব্য বাংদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ: মির্জা ফখরুল Logo শিবিরের ‘রগ কাটার’ যে অভিযোগ তা প্রমাণিত হয়নি: শিবির সভাপতি Logo আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনে ভাঙচুর, ভারতের দুঃখ প্রকাশ Logo বাগেরহাটে বাসস্ট্যান্ড দখল নিয়ে বিএনপি পন্থী দুই গ্রুপের সংঘর্ষ Logo সার্ক পুনরুজ্জীবিত করতে কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Logo চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ ঘোষণা ইসির Logo না ফেরার দেশে স্বর্ণজয়ী শ্যুটার সাদিয়া Logo বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব মমতার Logo পুলিশের আরও ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর Logo নতুন ভোটার সংগ্রহে বাড়ি বাড়ি যাবে নির্বাচন কমিশন

বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ এখন অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়েছে

বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে নয়াপল্টনের মূল সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। তারা এখন বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান করছেন। ফলে সংঘর্ষও অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখান থেকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। সুযোগ পেলেই গলি থেকে বের হয়ে ঢিল ছুড়ছেন নেতাকর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা ধাওয়া দিচ্ছে পুলিশ।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইল, শান্তিনগর, ফকিরাপুল, পল্টন ও প্রেস ক্লাব এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে। পুলিশ বলছে, গলি থেকে বিএনপি কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যতক্ষণ পর্যন্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসবে, ততক্ষণ আমরা মূল সড়কে অবস্থান করব।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কাকরাইল মোড় থেকে পল্টন, মালিবাগ ও রমনা পার্ক এলাকার মূল সড়কে হাজারো পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি সদস্য অবস্থান করছেন। অন্যদিকে, বিভিন্ন এলাকার গলিতে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী অবস্থান করছেন। এদিকে পুলিশের কড়াকড়িতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। মূল সড়কে আসতে চাইলেই ধাওয়া করা হচ্ছে। কেউ জরুরি প্রয়োজন দেখালেও তাদের সড়কে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতাকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে নয়াপল্টন এবং রাজধানীর অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ ও সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, তাদের ৪১ জন সদস্য আহত হয়েছেন।

কয়েক সপ্তাহ আগে আজ ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিএনপি। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ উত্তপ্ত ছিল। বিএনপির মহাসমাবেশের পাল্টা হিসেবে রাজধানীতে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে সেই সমাবেশ বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলছিল।

জনপ্রিয় সংবাদ

মমতার বক্তব্য বাংদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ: মির্জা ফখরুল

বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ এখন অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়েছে

আপডেট সময় ০৫:১৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে নয়াপল্টনের মূল সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। তারা এখন বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান করছেন। ফলে সংঘর্ষও অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখান থেকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। সুযোগ পেলেই গলি থেকে বের হয়ে ঢিল ছুড়ছেন নেতাকর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা ধাওয়া দিচ্ছে পুলিশ।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইল, শান্তিনগর, ফকিরাপুল, পল্টন ও প্রেস ক্লাব এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে। পুলিশ বলছে, গলি থেকে বিএনপি কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যতক্ষণ পর্যন্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসবে, ততক্ষণ আমরা মূল সড়কে অবস্থান করব।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কাকরাইল মোড় থেকে পল্টন, মালিবাগ ও রমনা পার্ক এলাকার মূল সড়কে হাজারো পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি সদস্য অবস্থান করছেন। অন্যদিকে, বিভিন্ন এলাকার গলিতে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী অবস্থান করছেন। এদিকে পুলিশের কড়াকড়িতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। মূল সড়কে আসতে চাইলেই ধাওয়া করা হচ্ছে। কেউ জরুরি প্রয়োজন দেখালেও তাদের সড়কে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতাকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে নয়াপল্টন এবং রাজধানীর অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ ও সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, তাদের ৪১ জন সদস্য আহত হয়েছেন।

কয়েক সপ্তাহ আগে আজ ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিএনপি। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ উত্তপ্ত ছিল। বিএনপির মহাসমাবেশের পাল্টা হিসেবে রাজধানীতে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে সেই সমাবেশ বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলছিল।