ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় স্বার্থরক্ষা করে যেকোনো বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় স্বার্থরক্ষা করে যেকোনো বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই: নাহিদ ইসলাম

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পাওয়া নতুন বাংলাদেশের উন্নয়নে বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। এ জন্য জাতীয় স্বার্থরক্ষা করে এমন যেকোনো বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

আলোচনার শুরুতেই হেলেন লাফেভ উপদেষ্টাকে নতুন দায়িত্ব নেওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে ছাত্রদের প্রতিনিধি হয়ে সরকারে এসে দৃষ্টিভঙ্গির কী পরিবর্তন হয়েছে তা জানতে চান।

নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ছাত্রদের প্রতিনিধি হয়ে সরকারে এসেছি। দৃষ্টিভঙ্গি একই আছে শুধু কাজের পদ্ধতি পরিবর্তন হয়েছে। আমরা দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করছি। চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স উপদেষ্টার কাছে তার দুই মন্ত্রণালয় সম্পর্কে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, মন্ত্রণালয় দুটোর প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের কথা ভাবছি।

সে অনুযায়ী প্রস্তাবনা তৈরি করে কাজ করা হচ্ছে। হেলেন লাফেভ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিশেষ করে সাইবার সিকিউরিটি আইন বিষয় জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই। বিগত বছরগুলোতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে নিচের দিকে ছিল। বিগত দিনে বাংলাদেশে সাংবাদিকরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছে।

আমরা দেখেছি সাংবাদিক সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কী প্রহসন করা হয়েছে। বিগত সরকার বেশ কিছু আইন দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করেছে, বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা আইন। আমরা এই আইন নিয়ে কাজ করছি। মূল কথা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন আমরা রাখব না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এর প্রাসঙ্গিকতাও দিন দিন বাড়ছে তাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে যৌথভাবে এ বিষয়ে কাজ করা যাবে বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

হেলেন লাফেভ সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ওয়েজ বোর্ড নিয়ে অসন্তোষ আছে, বেতন কাঠামো কম হ‌ওয়ায় তরুণরা সাংবাদিকতার পেশায় আকর্ষণ হারাচ্ছে। এ জন্য ওয়েজ বোর্ড সংস্কারের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের চলমান যৌথ প্রকল্প অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নতুন ক্রিয়েটিভ কোনও প্রকল্প নেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে ভেবে দেখব বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, দূতাবাসের পলিটিক্যাল-ইকোনমিক কাউন্সেলর এরিখ জিলান, মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক কর্মকর্তা জেমস গার্ডিনার, কমার্শিয়াল কাউন্সেলর জন ফে, পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক কর্মকর্তা স্টিফেন ইবেলি, প্রটোকল সুপারভাইজার নিশাত তাসনিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মাহমুদ উল্লাহর বিদায়ী ম্যাচে বড় হার টাইগারদের

জাতীয় স্বার্থরক্ষা করে যেকোনো বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই: নাহিদ ইসলাম

আপডেট সময় ০৯:১৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পাওয়া নতুন বাংলাদেশের উন্নয়নে বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। এ জন্য জাতীয় স্বার্থরক্ষা করে এমন যেকোনো বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

আলোচনার শুরুতেই হেলেন লাফেভ উপদেষ্টাকে নতুন দায়িত্ব নেওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে ছাত্রদের প্রতিনিধি হয়ে সরকারে এসে দৃষ্টিভঙ্গির কী পরিবর্তন হয়েছে তা জানতে চান।

নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ছাত্রদের প্রতিনিধি হয়ে সরকারে এসেছি। দৃষ্টিভঙ্গি একই আছে শুধু কাজের পদ্ধতি পরিবর্তন হয়েছে। আমরা দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করছি। চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স উপদেষ্টার কাছে তার দুই মন্ত্রণালয় সম্পর্কে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, মন্ত্রণালয় দুটোর প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের কথা ভাবছি।

সে অনুযায়ী প্রস্তাবনা তৈরি করে কাজ করা হচ্ছে। হেলেন লাফেভ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিশেষ করে সাইবার সিকিউরিটি আইন বিষয় জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই। বিগত বছরগুলোতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে নিচের দিকে ছিল। বিগত দিনে বাংলাদেশে সাংবাদিকরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছে।

আমরা দেখেছি সাংবাদিক সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কী প্রহসন করা হয়েছে। বিগত সরকার বেশ কিছু আইন দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করেছে, বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা আইন। আমরা এই আইন নিয়ে কাজ করছি। মূল কথা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন আমরা রাখব না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এর প্রাসঙ্গিকতাও দিন দিন বাড়ছে তাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে যৌথভাবে এ বিষয়ে কাজ করা যাবে বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

হেলেন লাফেভ সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ওয়েজ বোর্ড নিয়ে অসন্তোষ আছে, বেতন কাঠামো কম হ‌ওয়ায় তরুণরা সাংবাদিকতার পেশায় আকর্ষণ হারাচ্ছে। এ জন্য ওয়েজ বোর্ড সংস্কারের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের চলমান যৌথ প্রকল্প অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নতুন ক্রিয়েটিভ কোনও প্রকল্প নেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে ভেবে দেখব বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, দূতাবাসের পলিটিক্যাল-ইকোনমিক কাউন্সেলর এরিখ জিলান, মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক কর্মকর্তা জেমস গার্ডিনার, কমার্শিয়াল কাউন্সেলর জন ফে, পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক কর্মকর্তা স্টিফেন ইবেলি, প্রটোকল সুপারভাইজার নিশাত তাসনিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।