ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ ছিল ধর্ম, মুজিব রাজনৈতিক নবী: হাসনাত আব্দুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না। এটি ছিল একটি ধর্ম। যেখানে শেখ মুজিব ছিলেন রাজনৈতিক নবী। এ বিষয়গুলো কখনো চ্যালেঞ্জ করা যেত না।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী ধর্মের অনেকগুলো জনরা ছিল। সংস্কৃতি ছিল, খাবার ছিল, প্রতিষ্ঠান ছিল, পোশাক ছিল। তাদের ভিন্ন গণমাধ্যম ছিল। এই ফ্যাসিবাদ সকল প্রতিষ্ঠানে যেভাবে গেড়ে বসেছে, তা সমূলে উৎপাটন করতে হলে আমাদেরকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বিনির্মাণের সময় অনেকভাবে বিভাজনের চেষ্টা করা হয়।

হাসনাত আরও বলেন, বাহাত্তরের প্রণীত যে সংবিধান জাতীয় সংবিধান হওয়ার কথা ছিল, তা আওয়ামী লীগের সংবিধানে পরিণত হয়েছিল। এই সংবিধানকে আমরা বাংলাদেশের সংবিধান হিসেবে ধরে নিয়েছিলাম। আমরা কখনো প্রশ্ন করতে পারিনি। শেখ হাসিনার শাসনে কোনো বিরোধী দল যৌক্তিক দাবিও জানাতে পারত না। গত ১৮ বছর ব্লেমিংয়ের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে সবাইকে কালার করা হতো। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দল করলে তার যৌক্তিক দাবি করার সুযোগ ছিল না। আমরা মনস্তাত্তিকভাবে এসব স্বাভাবিক বলে মেনে নিয়েছিলাম। ফলে দাবি জানালে আমাদের বারবার ব্যাখ্যা করতে হতো যে, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের নই।

কোন নীতির ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ তৈরি হবে তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিকভাবে উন্মুক্ত চিন্তার আহ্বান জানান তিনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

পদত্যাগ করেছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ ছিল ধর্ম, মুজিব রাজনৈতিক নবী: হাসনাত আব্দুল্লাহ

আপডেট সময় ০৬:৫৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না। এটি ছিল একটি ধর্ম। যেখানে শেখ মুজিব ছিলেন রাজনৈতিক নবী। এ বিষয়গুলো কখনো চ্যালেঞ্জ করা যেত না।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী ধর্মের অনেকগুলো জনরা ছিল। সংস্কৃতি ছিল, খাবার ছিল, প্রতিষ্ঠান ছিল, পোশাক ছিল। তাদের ভিন্ন গণমাধ্যম ছিল। এই ফ্যাসিবাদ সকল প্রতিষ্ঠানে যেভাবে গেড়ে বসেছে, তা সমূলে উৎপাটন করতে হলে আমাদেরকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বিনির্মাণের সময় অনেকভাবে বিভাজনের চেষ্টা করা হয়।

হাসনাত আরও বলেন, বাহাত্তরের প্রণীত যে সংবিধান জাতীয় সংবিধান হওয়ার কথা ছিল, তা আওয়ামী লীগের সংবিধানে পরিণত হয়েছিল। এই সংবিধানকে আমরা বাংলাদেশের সংবিধান হিসেবে ধরে নিয়েছিলাম। আমরা কখনো প্রশ্ন করতে পারিনি। শেখ হাসিনার শাসনে কোনো বিরোধী দল যৌক্তিক দাবিও জানাতে পারত না। গত ১৮ বছর ব্লেমিংয়ের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে সবাইকে কালার করা হতো। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দল করলে তার যৌক্তিক দাবি করার সুযোগ ছিল না। আমরা মনস্তাত্তিকভাবে এসব স্বাভাবিক বলে মেনে নিয়েছিলাম। ফলে দাবি জানালে আমাদের বারবার ব্যাখ্যা করতে হতো যে, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের নই।

কোন নীতির ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ তৈরি হবে তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিকভাবে উন্মুক্ত চিন্তার আহ্বান জানান তিনি।