ঢাকা ০২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনের পক্ষে কুবি শিক্ষার্থীদের সংহতি সমাবেশ ও মিছিল

ফিলিস্তিনের গাজায় ইজরায়েলের চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে আয়োজিত এক সমাবেশে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পতাকা, বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান করেন। ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ইজরায়েল নিপাত যাক, আল আক্বসা থেকে নামাজের দিক পরিবর্তন করেছি মনের দিক না, যে কাঁদে কাঁদুক তবু লিখি ফুটনোট, ফুল তুই তেলআবিবে বোমা হয়ে ফুট, আল আক্বসায় হামলা কেন জবাব চাই, আমরা আত্মসমর্পণ করবো না আমরা জয়ী হবো অথবা মৃত্যুবরণ করবো, ফিলিস্তিন আমাদের হৃদয়ে আছে, আমরা ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিচ্ছি, বিশ্বের মুসলিম এক হও, স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলো, আল আক্বসা আমাদের, সকল মুসলিম এক হও, গাজা স্বাধীন হোক ফিলিস্তিন স্বাধীন হোক, গাজাকে রক্ষা করুন মানবতাকে রক্ষা করুন, গাজায় গণহত্যা বন্ধ করুন, ফিলিস্তিনকে রক্ষা করুন, মানবতা রক্ষায় আপনার কণ্ঠস্বর উঁচু করুন, আমাদের আক্বসা আমাদের ফিরিয়ে দিতেই হবে, তুমি কখনোই ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করতে পারবে না’ এমন অসংখ্য ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শিক্ষার্থীরা সংহতি সমাবেশে অবস্থান করেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিন মুসলিমদের ভূমি, কুরআনে বর্ণিত পবিত্র ভূমি, আক্বসা মুসলিমদের কেবলা। ইজরায়েলি সন্ত্রাসবাদ থেকে আমরা এই ভূমির স্বাধীনতা চাই। মুসলিমদের ভূমি মুসলিমদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ইজরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনিদের এই আঘাত নিজেদের ভূমিকে স্বাধীন করার লড়াই, স্বাধীনতার লড়াই। আজাদী লড়াই। স্বাধীনতার লড়াই কখনো সন্ত্রাসবাদ হতে পারেনা।

সমাবেশে আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সায়েম মুহাইমিন বলেন, আপনারা জানেন ফিলিস্তিন ও ইজরায়েলের মধ্যকার এই সংঘর্ষ এক পাক্ষিক। আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই একটি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গাজা বিশ্ববিদ্যালয়’ সন্ত্রাসী ইজরায়েল বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমরা শিক্ষার্থী হিসেবে বলতে চাই আমরা গাজার সকল ভাই ও বোনদের পাশে আছি। আমরা গাজার প্রতিটি শিশুর অদম্য স্বপ্নের ভিতর বাঁচি। আমরা বলতে চাই আমরা ইব্রাহিমের ঈমান, ইসমাঈলের ইখলাস নিয়ে বাঁচি।

এসময় শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী ও নিপীড়িত জনগণের সমবেদনা জ্ঞাপন ও দোয়ার মাধ্যমে সমাবেশ শেষ করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাইসির মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক

ফিলিস্তিনের পক্ষে কুবি শিক্ষার্থীদের সংহতি সমাবেশ ও মিছিল

আপডেট সময় ০৪:২৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

ফিলিস্তিনের গাজায় ইজরায়েলের চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে আয়োজিত এক সমাবেশে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পতাকা, বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান করেন। ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ইজরায়েল নিপাত যাক, আল আক্বসা থেকে নামাজের দিক পরিবর্তন করেছি মনের দিক না, যে কাঁদে কাঁদুক তবু লিখি ফুটনোট, ফুল তুই তেলআবিবে বোমা হয়ে ফুট, আল আক্বসায় হামলা কেন জবাব চাই, আমরা আত্মসমর্পণ করবো না আমরা জয়ী হবো অথবা মৃত্যুবরণ করবো, ফিলিস্তিন আমাদের হৃদয়ে আছে, আমরা ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিচ্ছি, বিশ্বের মুসলিম এক হও, স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলো, আল আক্বসা আমাদের, সকল মুসলিম এক হও, গাজা স্বাধীন হোক ফিলিস্তিন স্বাধীন হোক, গাজাকে রক্ষা করুন মানবতাকে রক্ষা করুন, গাজায় গণহত্যা বন্ধ করুন, ফিলিস্তিনকে রক্ষা করুন, মানবতা রক্ষায় আপনার কণ্ঠস্বর উঁচু করুন, আমাদের আক্বসা আমাদের ফিরিয়ে দিতেই হবে, তুমি কখনোই ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করতে পারবে না’ এমন অসংখ্য ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শিক্ষার্থীরা সংহতি সমাবেশে অবস্থান করেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিন মুসলিমদের ভূমি, কুরআনে বর্ণিত পবিত্র ভূমি, আক্বসা মুসলিমদের কেবলা। ইজরায়েলি সন্ত্রাসবাদ থেকে আমরা এই ভূমির স্বাধীনতা চাই। মুসলিমদের ভূমি মুসলিমদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ইজরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনিদের এই আঘাত নিজেদের ভূমিকে স্বাধীন করার লড়াই, স্বাধীনতার লড়াই। আজাদী লড়াই। স্বাধীনতার লড়াই কখনো সন্ত্রাসবাদ হতে পারেনা।

সমাবেশে আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সায়েম মুহাইমিন বলেন, আপনারা জানেন ফিলিস্তিন ও ইজরায়েলের মধ্যকার এই সংঘর্ষ এক পাক্ষিক। আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই একটি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গাজা বিশ্ববিদ্যালয়’ সন্ত্রাসী ইজরায়েল বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমরা শিক্ষার্থী হিসেবে বলতে চাই আমরা গাজার সকল ভাই ও বোনদের পাশে আছি। আমরা গাজার প্রতিটি শিশুর অদম্য স্বপ্নের ভিতর বাঁচি। আমরা বলতে চাই আমরা ইব্রাহিমের ঈমান, ইসমাঈলের ইখলাস নিয়ে বাঁচি।

এসময় শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী ও নিপীড়িত জনগণের সমবেদনা জ্ঞাপন ও দোয়ার মাধ্যমে সমাবেশ শেষ করেন।