ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জবির দুই শিক্ষককে ছাত্রদলের মারধর, তদন্ত কমিটি থেকে সভাপতি-সেক্রেটারির পদত্যাগ Logo জবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদলের হামলা Logo সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতার মেয়াদ আরও ২ মাস বাড়ল Logo এবার ‘শাটডাউন’ ঘোষণা মিটফোর্ড শিক্ষার্থীদের Logo নোয়াখালীতে পানি নিষ্কাসন ও খাল খননের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo এনবিআরের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেয়ার ষড়যন্ত্র ছিল: জ্বালানি উপদেষ্টা Logo নৈরাজ্যকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে সরকার: তারেক রহমান Logo ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: ছাত্রদল নেতা রবিনের দায়স্বীকার Logo ঢাকাসহ ১১ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা Logo চাঁদাবাজির ভিডিও করতে গিয়ে টঙ্গীতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

মোটরসাইকেল চালানোয় প্রয়োজন যে সতর্কতা

হোন্ডা

দ্রুত এবং সহজে যাতায়াতের জন্য অনেকেই মোটরসাইকেল ব্যবহার করে থাকেন। আর নিয়মিত বাইক চালালে বেশকিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। এজন্য জেনে নিন কী কী সতর্কতা প্রয়োজন—

ভারতীয় এক চিকিৎসক বলেন, স্পন্ডিলোসিস বা স্পন্ডিলোলিস্থেসিসের সমস্যা থাকলে দীর্ঘ সময় ধরে মোটরবাইক চালালে ব্যাক পেইন বাড়বেই এবং তার থেকে অন্য সমস্যাও তৈরি হতে পারে। জয়েন্ট পেইন থাকলে টু-হুইলার চালাতে ততটা সমস্যা নেই। তবে বয়স্করা ভারী বাইকের বদলে স্কুটার ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে যাদের হাঁটুর সমস্যা আছে বা হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। মেরুদণ্ডের সমস্যা থাকলে, স্পাইনাল সার্জারি হলে মোটরবাইক চালানো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

একটানা দীর্ঘক্ষণ মোটরসাইকেল চালালে শরীরে অন্যান্য সমস্যাও হতে পারে। এই বিষয়ে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘বাইক চালানোর সময়ে হাঁটু অনেকক্ষণ ভাঁজ করে রাখতে হয়, এতে পরে আর্থরাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। দুটো হ্যান্ডেল জোরে চেপে ধরে থাকার ফলে হাতে সমস্যা দেখা দেয়। যেমন, লিখতে বা কোনও কিছু গ্রিপ করতে অসুবিধা হয়।

মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের পরামর্শ দিয়ে চিকিৎসক আরও বলেন, বাইকারদের নিয়ম করে হাতের আঙুলের ব্যায়াম করতে হবে। যেমন, দুই হাতের আঙুল পরস্পরের ফাঁকে ঢুকিয়ে উল্টে করে চাপ দেওয়া বা মুঠোয় সফট বল নিয়ে প্রেস করা… এতে রক্ত চলাচল ভালোভাবে হবে। মাংসপেশি স্টিফ হবে না। যারা রোজ অনেকটা পথ বাইক চালান তাদের নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করা প্রয়োজন।

ভারতের এক ফিটনেস ট্রেনার বলেন, বাাইক চালাতে গিয়ে দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে ভুঁড়ি হয়, ওজন বাড়ে। যার জেরে হাঁটুতে ব্যথা হয়। নিয়মিত বাইক চালালে ৩০-৩৫ বছর বয়সেই কোমরের ব্যথা জানান দেয়। বাইকারদের প্রবণতা হলো, সামান্য দূরত্বেও তারা বাইকেই যাবেন। হাঁটায় ভীষণ অনীহা।

তাই বাইকারদের নিয়মিত কিছু ব্যায়ামের পরামর্শ দেন তিনি। বাইকারদের প্রয়োজনীয় ব্যায়াম হলো—

• প্রত্যেক দিন অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটতে হবে।
• দেওয়ালে একটা হাত রেখে চাপ দিয়ে পেছনে পা ওঠান। দুই পায়ে পাঁচবার করলেই হবে। এতে হিপ মাসল ফ্লেক্সিবল থাকবে।
• ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও থাই মাসল টাইট রাখতে স্কোয়াট, স্পট জগিং কার্যকর।
• অনেকক্ষণ মোটরবাইক চালানোর পর একটু বিরতি নিন। বাইক থেকে নেমে শরীরের মুভমেন্ট করুন। কোমরে হাত দিয়ে সামনে-পেছনে, ডান-বাঁ দিকে ঝুঁকে ব্যায়াম করুন।

উচ্চতা ও শরীর বুঝে বাইক নির্বাচন

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাইকারের নিজের উচ্চতা, দেহের ওজন ও গঠন বুঝে বাহন নির্বাচন করা জরুরি। মোটরবাইক প্রস্তুতকারক সংস্থার বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত না হয়ে নিজের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিন। স্ট্যান্ডার্ড বাইক নির্বাচন করুন যেটায় পিঠ সোজা রেখে চালানো যায়। এতে করে অনেকক্ষণ বাইক চালালেও ব্যাকপেইন হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জবির দুই শিক্ষককে ছাত্রদলের মারধর, তদন্ত কমিটি থেকে সভাপতি-সেক্রেটারির পদত্যাগ

মোটরসাইকেল চালানোয় প্রয়োজন যে সতর্কতা

আপডেট সময় ০৩:২৩:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

দ্রুত এবং সহজে যাতায়াতের জন্য অনেকেই মোটরসাইকেল ব্যবহার করে থাকেন। আর নিয়মিত বাইক চালালে বেশকিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। এজন্য জেনে নিন কী কী সতর্কতা প্রয়োজন—

ভারতীয় এক চিকিৎসক বলেন, স্পন্ডিলোসিস বা স্পন্ডিলোলিস্থেসিসের সমস্যা থাকলে দীর্ঘ সময় ধরে মোটরবাইক চালালে ব্যাক পেইন বাড়বেই এবং তার থেকে অন্য সমস্যাও তৈরি হতে পারে। জয়েন্ট পেইন থাকলে টু-হুইলার চালাতে ততটা সমস্যা নেই। তবে বয়স্করা ভারী বাইকের বদলে স্কুটার ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে যাদের হাঁটুর সমস্যা আছে বা হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। মেরুদণ্ডের সমস্যা থাকলে, স্পাইনাল সার্জারি হলে মোটরবাইক চালানো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

একটানা দীর্ঘক্ষণ মোটরসাইকেল চালালে শরীরে অন্যান্য সমস্যাও হতে পারে। এই বিষয়ে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘বাইক চালানোর সময়ে হাঁটু অনেকক্ষণ ভাঁজ করে রাখতে হয়, এতে পরে আর্থরাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। দুটো হ্যান্ডেল জোরে চেপে ধরে থাকার ফলে হাতে সমস্যা দেখা দেয়। যেমন, লিখতে বা কোনও কিছু গ্রিপ করতে অসুবিধা হয়।

মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের পরামর্শ দিয়ে চিকিৎসক আরও বলেন, বাইকারদের নিয়ম করে হাতের আঙুলের ব্যায়াম করতে হবে। যেমন, দুই হাতের আঙুল পরস্পরের ফাঁকে ঢুকিয়ে উল্টে করে চাপ দেওয়া বা মুঠোয় সফট বল নিয়ে প্রেস করা… এতে রক্ত চলাচল ভালোভাবে হবে। মাংসপেশি স্টিফ হবে না। যারা রোজ অনেকটা পথ বাইক চালান তাদের নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করা প্রয়োজন।

ভারতের এক ফিটনেস ট্রেনার বলেন, বাাইক চালাতে গিয়ে দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে ভুঁড়ি হয়, ওজন বাড়ে। যার জেরে হাঁটুতে ব্যথা হয়। নিয়মিত বাইক চালালে ৩০-৩৫ বছর বয়সেই কোমরের ব্যথা জানান দেয়। বাইকারদের প্রবণতা হলো, সামান্য দূরত্বেও তারা বাইকেই যাবেন। হাঁটায় ভীষণ অনীহা।

তাই বাইকারদের নিয়মিত কিছু ব্যায়ামের পরামর্শ দেন তিনি। বাইকারদের প্রয়োজনীয় ব্যায়াম হলো—

• প্রত্যেক দিন অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটতে হবে।
• দেওয়ালে একটা হাত রেখে চাপ দিয়ে পেছনে পা ওঠান। দুই পায়ে পাঁচবার করলেই হবে। এতে হিপ মাসল ফ্লেক্সিবল থাকবে।
• ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও থাই মাসল টাইট রাখতে স্কোয়াট, স্পট জগিং কার্যকর।
• অনেকক্ষণ মোটরবাইক চালানোর পর একটু বিরতি নিন। বাইক থেকে নেমে শরীরের মুভমেন্ট করুন। কোমরে হাত দিয়ে সামনে-পেছনে, ডান-বাঁ দিকে ঝুঁকে ব্যায়াম করুন।

উচ্চতা ও শরীর বুঝে বাইক নির্বাচন

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাইকারের নিজের উচ্চতা, দেহের ওজন ও গঠন বুঝে বাহন নির্বাচন করা জরুরি। মোটরবাইক প্রস্তুতকারক সংস্থার বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত না হয়ে নিজের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিন। স্ট্যান্ডার্ড বাইক নির্বাচন করুন যেটায় পিঠ সোজা রেখে চালানো যায়। এতে করে অনেকক্ষণ বাইক চালালেও ব্যাকপেইন হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।