ঢাকা ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনায় সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে‌ আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

পাবনার সুজানগর উপজেলায় সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৮ জুন) সকালে উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কাদোয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, স্থানীয় ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাদুয়া সিএনজি স্ট্যান্ড দখলে আছে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের লোকজনদের। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব। এরপর থেকে কাদোয়া সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। আজকে সকাল ৯টার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ২০ আহত হন। আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন, এটা রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয়। স্থানীয় ব্যাপার নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এখন সুজানগরে যাই ঘটে শাহিনুজ্জামান শাহীন আমার ওপর দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছে। দুই দিন পর বউয়ের সঙ্গে তার ঝামেলা যদি হয় সেটাও আমার ওপর দিয়ে চালিয়ে দেবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, নির্বাচনের পর থেকেই আমার লোকজনের ওপর ধারাবাহিকভাবে হামলা ও মারধর করা হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজকেও হামলা হয়েছে। গতকালও মানিকহাটে আমার এক কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে তার লোকজন।

এ বিষয়ে পাবনার সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, শাহীন গ্রুপ ও ওহাব গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :

শাজাহানপুরের আমরুল ইউনিয়নে বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

পাবনায় সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে‌ আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

আপডেট সময় ০৪:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

পাবনার সুজানগর উপজেলায় সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৮ জুন) সকালে উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কাদোয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, স্থানীয় ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাদুয়া সিএনজি স্ট্যান্ড দখলে আছে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের লোকজনদের। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব। এরপর থেকে কাদোয়া সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। আজকে সকাল ৯টার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ২০ আহত হন। আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন, এটা রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয়। স্থানীয় ব্যাপার নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এখন সুজানগরে যাই ঘটে শাহিনুজ্জামান শাহীন আমার ওপর দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছে। দুই দিন পর বউয়ের সঙ্গে তার ঝামেলা যদি হয় সেটাও আমার ওপর দিয়ে চালিয়ে দেবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, নির্বাচনের পর থেকেই আমার লোকজনের ওপর ধারাবাহিকভাবে হামলা ও মারধর করা হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজকেও হামলা হয়েছে। গতকালও মানিকহাটে আমার এক কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে তার লোকজন।

এ বিষয়ে পাবনার সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, শাহীন গ্রুপ ও ওহাব গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।