ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা Logo টানা ৪১ দিন নামাজ আদায়কারী শিশুদের সাইকেল উপহার দিলো জামায়াত Logo ‘১৫ বছর কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে’ Logo গোয়াইনঘাটে বাজার দখল নিয়ে আওয়ামী-বিএনপির সংঘর্ষ; আহত ১৫ Logo তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ Logo ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে রাজি হয়নি ইরান: ট্রাম্প Logo তিন মাস পর বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ Logo থানায় হামলার ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন মাহমুদুর রহমানের Logo আওয়ামী নেতাদের পৈশাচিক নিপীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল্য : তারেক রহমান Logo সিলেটে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক

৭ দফা দাবিতে রাজধানীর মতিঝিলে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

৭ দফা দাবিতে রাজধানীর মতিঝিলে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণসহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি মতিঝিল হয়ে ইত্তেফাক মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান বলেন, ‘অবৈধ সরকার গুম, খুন, দুর্নীতির মাধ্যমে দেশটাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশকে তাদের দলীয় সম্পদে পরিণত করেছে।

সংসদকে তারা দলীয় অফিস বানিয়ে ফেলেছে। আর প্রশাসনকে দলীয় ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত করেছে। সরকার গত ১৫ বছরে এ দেশের ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে। আলেম-উলামাদের কারাবন্দি করে নির্যাতন করছে। দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলো পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের মিনি ক্যান্টনমেন্টে। চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, সন্ত্রাসও র‌্যাগিংয়ের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। ছাত্রসমাজ তার অবসান চায়। তিনি আরো বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ এ দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ফেলেছে।

আওয়ামী লীগের নেতারা অর্থ লুট করে, রিজার্ভ ও রাষ্ট্রীয় কোষাগার খালি করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। অবৈধ সরকারের ক্ষমতা তছনছ করে দেওয়ার জন্য ছাত্রসমাজ রাজপথে নেমে এসেছে। ইসলামী ছাত্রশিবির সাত দফা দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছে। অবিলম্বে অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

ছাত্রশিবিরের অফিসগুলো খুলে দিতে হবে। সন্ত্রাসমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস ও সব সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। শিবির সভাপতি বলেন, ‘ছাত্রশিবির কখনো জুলুমের কাছে মাথা নত করেনি। আমরা আমাদের দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরব, ইনশাআল্লাহ।

জনপ্রিয় সংবাদ

রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা

৭ দফা দাবিতে রাজধানীর মতিঝিলে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০১:৫৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণসহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি মতিঝিল হয়ে ইত্তেফাক মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান বলেন, ‘অবৈধ সরকার গুম, খুন, দুর্নীতির মাধ্যমে দেশটাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশকে তাদের দলীয় সম্পদে পরিণত করেছে।

সংসদকে তারা দলীয় অফিস বানিয়ে ফেলেছে। আর প্রশাসনকে দলীয় ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত করেছে। সরকার গত ১৫ বছরে এ দেশের ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে। আলেম-উলামাদের কারাবন্দি করে নির্যাতন করছে। দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলো পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের মিনি ক্যান্টনমেন্টে। চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, সন্ত্রাসও র‌্যাগিংয়ের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। ছাত্রসমাজ তার অবসান চায়। তিনি আরো বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ এ দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ফেলেছে।

আওয়ামী লীগের নেতারা অর্থ লুট করে, রিজার্ভ ও রাষ্ট্রীয় কোষাগার খালি করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। অবৈধ সরকারের ক্ষমতা তছনছ করে দেওয়ার জন্য ছাত্রসমাজ রাজপথে নেমে এসেছে। ইসলামী ছাত্রশিবির সাত দফা দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছে। অবিলম্বে অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

ছাত্রশিবিরের অফিসগুলো খুলে দিতে হবে। সন্ত্রাসমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস ও সব সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। শিবির সভাপতি বলেন, ‘ছাত্রশিবির কখনো জুলুমের কাছে মাথা নত করেনি। আমরা আমাদের দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরব, ইনশাআল্লাহ।