ঢাকা ০৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রপ্তানি রেমিট্যান্স নিম্নগতি চাপে রিজার্ভ

৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪২০০ শতাংশের বেশি

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:

দৈনিক সংগ্রাম:

৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪২০০ শতাংশের বেশি
পাঁচ বছরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে চার হাজার ২০০ শতাংশের বেশি। অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা সংসদ সদস্যদের পেছনে ফেলেছেন। সংসদ সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ। বিপরীতে একজন উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি।

গতকাল সোমবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)‘র ধানমন্ডির কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ সব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি‘র আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয, প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ১৪৪টির প্রার্থীদের হলফনামা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে, বাকি আটটি প্রকাশ করেনি। ১৫২টি উপজেলার তিনটি নির্বাচনের প্রায় ৪ হাজার ৮০০টি হলফনামায় দেওয়া আট ধরনের তথ্যের বহুমাত্রিক ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১১৭ জন কোটিপতি। তাদের মধ্যে ৫৬০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৯৪ জন, ৬১১ ভাইস চেয়ারম্যানের ১৭ জন এবং ৪৩৫ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছয় জন কোটিপতি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. মো ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি নির্বাচন কমিশন, এনবিআর ও দুদকের খতিয়ে দেখার দায়িত্ব বলে মনে করি।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের ১৩ জন স্বজন নির্বাচন করছেন। প্রথম ধাপেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন দলীয় হলেও নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলগতভাবে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সমর্থনপুষ্ট। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও দলটি স্থানীয় প্রার্থীদের আটকাতে পারেনি। আগ্রহী প্রার্থীরা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বড় আলোচনার বিষয় হলেও এবার স্বজনদের মনোনয়ন নিয়ে চলছে বিতর্ক। প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ১৩ জন। প্রার্থী হওয়ায় এগিয়ে ভাইয়েরা; চাচাতো ভাই, খালাতো ভাই, জামাতা, ভাইয়ের ছেলে আছেন তালিকায়। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করা ২২ জামায়াত নেতা পরবর্তী সময়ে দলের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়ান।

টিআইবি জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট বাড়ছে। ব্যবসায়ী প্রার্থীদের সংখ্যা চতুর্থ নির্বাচনের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ শতাংশ। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৬৯.৮৬ শতাংশই ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৬.৫৯ শতাংশ, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ২৪.৩৭ শতাংশ ব্যবসাকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন।

মানবজমিন:

রপ্তানি রেমিট্যান্স নিম্নগতি চাপে রিজার্ভ
নানা উদ্বেগের মধ্যে ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ- এই ৪ মাসে রপ্তানি পণ্য থেকে ৫ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলারের বেশি আয় হলেও এপ্রিলে তা বড় ধাক্কা খেয়েছে। নেমে এসেছে ৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে। অন্যদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহের গতিও বেশ খানিকটা ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সে কারণে রিজার্ভও কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়ছে না।

রেমিট্যান্সে ভালো না করা আর হঠাৎ করে রপ্তানি আয় হোঁচট খাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রপ্তানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, এভাবে কমতে থাকলে রিজার্ভ আরও চাপের মধ্যে পড়বে।

সার্বিক রপ্তানি কমছে: দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ডলার সংকট। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না। বরং ডলার সংকট আরও প্রকট হচ্ছে। যার প্রভাবে রিজার্ভ তলানিতে নেমেছে। এই সংকট উত্তরণের অন্যতম উৎস রপ্তানি আয়। কিন্তু সেখানেও সুখবর নেই।

চলতি অর্থবছরের এপ্রিল মাসে বিদেশে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ৩৯১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ০.৯৯ শতাংশ কম। শুধু প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হয়েছে তা নয়, এপ্রিলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও রপ্তানি পিছিয়ে আছে ১৬.৭৮ শতাংশ। এদিকে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়লেও দেশের অন্যান্য প্রধান খাতগুলোর রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে কমছে। সংকট থেকে বের হতে পারছে না এককালের প্রধান রপ্তানি খাত পাট। এ ছাড়া হিমায়িত ও চিংড়ি মাছ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইল থেকেও রপ্তানি আয় ক্রমান্বয়ে কমছে।
পোশাক রপ্তানিতে ধাক্কা: মোট রপ্তানি আয়ের ৮৫ ভাগ দখল করে আছে তৈরি পোশাক। তৈরি পোশাক রপ্তানি কমলে মোট রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধিতে ধাক্কা লাগে। জুলাই-এপ্রিল সময়ে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প থেকে এসেছে ৪০.৪৯ বিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪.৯৭ শতাংশ বেশি। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ৫.৭৭ শতাংশ। গেল এপ্রিল মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩.২৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। আগের বছর একই সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৩.৩৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। অর্থাৎ এপ্রিল মাসে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১.০১ শতাংশ।পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ঈদের ছুটির কারণে কয়েক দিন কারখানাগুলোতে উৎপাদন বন্ধ ছিল; রপ্তানি হয়নি। রপ্তানি কমার এটাও একটি কারণ। তবে নানা বাধা বিপত্তির মধ্যদিয়ে যাচ্ছি আমরা।

নয়াদিগন্ত:

কালবৈশাখীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
বৃষ্টির সাথে সাথে প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড়ে গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় বজ্রপাতে ছয় জেলায় ৮ জন মারা গেছেন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন শরীয়তপুরে দুই নারীসহ তিনজন, ফরিদপুরে এক কৃষক, মৌলভীবাজারে সদ্য বিবাহিত যুবক, নেত্রকোনায় এক কৃষক, সিলেটে ওমানপ্রবাসী, মাদারীপুরে দোকান কর্মচারী। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নষ্ট হয়েছে বিপুল পরিমাণ জমির বোরো ধানসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলের বাগান। এদিকে গতকাল মাত্র ৩ ঘণ্টার বৃষ্টিতেই চট্টগ্রাম মহানগরীর বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। ঝড়ো হাওয়ায় উপড়ে পড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ ট্রান্সফর্মার ও গাছপালা। অন্যদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজও সারা দেশে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, রাজশাহী বিভাগ ছাড়াও সারা দেশে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, শরীয়তপুরের জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের পাইনপাড়া এলাকার আলতু মাঝির মেয়ে আমেনা বেগম (২৬), নীলফামারী জেলার জলডাঙা উপজেলার তেলিপাড়া এলাকার তহিবুর হোসেনের ছেলে নির্মাণ শ্রমিক আব্দুল হান্নান (২৭) এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি গ্রামের নেছার উদ্দিন মাঝির স্ত্রী কুলসুম বেগম (৩৮)।
জানা যায়, বৃষ্টির মধ্যে মায়ের খোঁজ করতে গিয়েছিলেন আমেনা বেগম। ফসলি মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মাকে খুঁজছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান আমেনা বেগম। স্থানীয় জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আমেনা বেগমের। তার দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি গ্রামে সয়াবিন ক্ষেতে কাজ করছিলেন নেছার উদ্দিন মাঝি। দুপুরে তার স্ত্রী কুলসুম বেগম স্বামীর জন্য দুপুরের খাবার হিসেবে ভাত নিয়ে গিয়েছিলেন সয়াবিন ক্ষেতে। এ সময় ঝড়সহ বজ্রপাত শুরু হলে কুলসুম বেগম মারা যান।

নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনার আটপাড়ায় বোরো জমিতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দিলওয়ার মিয়া (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার স্বরমুশিয়া হাওরে এ ঘটনা ঘটে। দিলওয়ার উপজেলার স্বরমুশিয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে। আটপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহিদুর রহমান বলেন, সোমবার সকালে বাড়ি থেকে দিলওয়ার নিজের জমির ধান কাটতে হাওরে যান। এ সময় বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেটের কানাইঘাটে মাঠে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মাহতাব উদ্দিন মাতাই (৪৫) নামে এক ওমান প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার দীঘিরপার ৩ নং পূর্ব ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। মাহতাব উদ্দিন মাতাই উপজেলার দর্পনগর পশ্চিম করচটি গ্রামের রফিকুল হকের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানা পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার। তিনি বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাহতাব উদ্দিন সুরমা নদী তীরবর্তী মাঠে গরু চরাতে যান। এ সময় বজ্রপাত হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

মাদারীপুর প্রতিনিধি জানান, মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদে গোসল করতে নেমে বজ্রপাতে সঞ্জীব বল্লভ (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার পুরানবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বজ্রাহত হয়েছেন দিগেন বৈদ্য (৪০) নামের আরো একজন। সঞ্জীব গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার নগেন বল্লভের ছেলে। তিনি মাদারীপুর পুরান বাজারের একটি মিষ্টির দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরের মধুখালীতে বজ্রপাতে মুরাদ মল্লিক (৫৩) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। গতকাল সোমবার দুপুর ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কামরুল শেখ (৩৫) নামে অন্য এক কৃষক আহত হন। নিহত মুরাদ মল্লিক উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়নের মিরাপাড়া গ্রামের লকাই মল্লিকের ছেলে। কামরুল শেখ দস্তরকাপাসাটিয়া গ্রামের কালাম শেখের ছেলে।
কামালদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ালিদ হাসান মামুন বলেন, ওই দুই কৃষক উপজেলার দস্তর কাপাসাটিয়া মাঠের মরিচের জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মুরাদ মল্লিক মারা যান এবং আহত অবস্থায় কামরুল শেখকে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে বজ্রপাতে সমুজ মিয়া (৩০) নামের সদ্য বিবাহিত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ বাড়ির পাশে মাছ ধরতে গেলে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। তিনি ওই গ্রামের ছনোয়ার মিয়ার ছেলে। পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সদ্য বিবাহিত সমুজ মিয়ার মৃত্যুতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহায়তার কথা জানিয়েছেন।

কালের কন্ঠ:

একীভূত জ্বরে ভুগছে ব্যাংক
ব্যাংক খাতে আস্থা ফেরাতে এবং দুর্বল ব্যাংককে টেনে তুলতে ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে গ্রাহকদের মধ্যে এক ধরনের দ্বিধা তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে আমানত হারাতে শুরু করেছে কিছু ব্যাংক। ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার ক্ষেত্রে চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন দুর্বল ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

বিশ্লেষকদের মতে, মার্জারের প্রভাবে কিছু ব্যাংকের আমানত কমতে শুরু করেছে। খাতটি ঢেলে সাজাতে আরো বিকল্প পথ রয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বরে ব্যাংক মার্জারের (একীভূতকরণ) আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত, বিদেশি ও ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর আমানত কমতে শুরু করেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে মোট নগদ তারল্য বা লিকুইড অ্যাসেট ছিল এক লাখ ২৭ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা।

কিন্তু দুই মাসের ব্যবধানে ফেব্রুয়ারি শেষে তা কমে এক লাখ ২৬ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকায় নেমেছে। অর্থাৎ দুই মাসের ব্যবধানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ৭৬৯ কোটি টাকার নগদ আমানত কমে গেছে।
এদিকে দুই মাসে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোতে নগদ তারল্য কমেছে তিন হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। কারণ ডিসেম্বরে পুরোপুরি ইসলামী ধারায় পরিচালিত ১০ ব্যাংকের লিকুইড অ্যাসেট ছিল ৪৪ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

সম্পদে এমপিদের ছাড়িয়ে চেয়ারম্যানরা
♦ কোটিপতি প্রার্থী ১১৭, ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী ♦ সবচেয়ে বেশি আয় বেড়েছে রামগড়ের প্রদীপ কারবারীর ♦ অস্থাবর সম্পদের শীর্ষে গোপালগঞ্জের কামরুজ্জামান

পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে সংসদ সদস্যদের ছাড়িয়ে গেছেন উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। সংসদ সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ, যেখানে একজন চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি। বেড়েছে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যাও। এবার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে কোটিপতির সংখ্যা ১১৭।

গতকাল ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সম্পদ অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। এগুলো নির্বাচন কমিশন, এনবিআর ও দুদকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি প্রথম ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের ১৩ জন স্বজন নির্বাচন করছেন। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন দলীয় হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলগতভাবে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর অধিকাংশই ‘আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী’ এবং দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সমর্থনপুষ্ট। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও দলটি স্থানীয় প্রার্থীদের আটকাতে পারেনি। আগ্রহী প্রার্থীরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বড় আলোচনার বিষয় হলেও এবার স্বজনদের মনোনয়ন নিয়ে চলছে বিতর্ক। বর্জনের ঘোষণা দিলেও তা অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করলেও জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতা পরবর্তী সময়ে দলের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়িয়েছেন। প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে টিআইবি বলছে, নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫৬০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১১ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৬০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে কোটিপতি ৯৪ জন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোটিপতি ছিলেন ৩৭ জন। গত নির্বাচনের সঙ্গে তুলনায় এ সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ছয়জন কোটিপতি। গত নির্বাচনের সঙ্গে তুলনায় এ দুই পদের ক্ষেত্রেও কোটিপতির সংখ্যা তিন গুণের কাছাকাছি। টিআইবি জানিয়েছে, অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে এ কোটিপতির হিসাব করা হয়েছে। ভূমির মতো স্থাবর সম্পদের মূল্য নির্ধারণ কঠিন হওয়ায় কোটিপতির হিসাবে তা আনা হয়নি। সংস্থাটি বলছে, পেশা হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন কৃষিকাজ। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন আইনজীবী (৬ শতাংশ) ও শিক্ষক (৪ শতাংশ)। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রায় ৬৭ শতাংশ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ২৪ শতাংশ পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন ব্যবসা। আর নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৫২ শতাংশই নিজেকে দেখিয়েছেন গৃহিণী হিসেবে। আয় নেই ১২ শতাংশের। ৩৯ শতাংশ প্রার্থী দেখাননি নিজেদের আয়ের কোনো স্বীকৃত উৎস।

প্রথম আলো:

এক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই ডুবল চট্টগ্রাম শহর
প্রচণ্ড গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। তাপপ্রবাহের অস্বস্তি নিয়ে দিন পার করতে হচ্ছিল নগরবাসীকে। বৃষ্টির জন্য কাতর ছিলেন সবাই। এমন পরিস্থিতিতে ঝুম বৃষ্টি নামে গতকাল সোমবার বিকেলে। কমে যায় তাপমাত্রা। শীতল হয় পরিবেশ। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে ডুবে যায় নগরের রাস্তাঘাট–অলিগলি।

শুধু যে জলাবদ্ধতা তা নয়, বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় নগরের জিইসি মোড় এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে, বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারসহ খুঁটি ভেঙে পড়ে। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিকেলেই আঁধার নেমে আসে নগরজুড়ে। ভোগান্তি আর দুর্ভোগ সঙ্গী করে ঘরে ফিরতে হয়েছে অনেককেই।

মাত্র এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বন্দরনগর চট্টগ্রামের অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। পাঁচলাইশ, প্রবর্তক মোড়, ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, মির্জাপুল, ডিসি রোড, ওয়াসা মোড়, তিন পোলের মাথা, আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ এলাকা, চকবাজার, বহদ্দারহাট এলাকায় সড়ক ডুবে যায়। কোথাও কোথাও হাঁটুসমান পানি জমে ছিল। পানি নামতে নামতেই সন্ধ্যা হয়ে যায়। দুই থেকে তিন ঘণ্টা ধরে পানি জমে থাকে এসব এলাকায়।

বিকেলের টানা বৃষ্টিতে পানি জমে যাওয়ায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন অফিসফেরত কর্মজীবী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। তাঁদের পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা যায়। আবার অনেক এলাকায় পরিবহনসংকট দেখা দেয়। এই সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায় করে নেন চালকেরা।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার বিকেল চারটা থেকে গতকাল সোমবার বিকেল চারটা পর্যন্ত ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

যুগান্তর:

গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সোমবার বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায়। এটি আমরা এক মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশকিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট (বিদ্যুৎকেন্দ্র), বিশেষত অয়েল বেইজড (তেলভিত্তিক) পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, অর্থস্বল্পতা ছিল-এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটি ভালো পরিস্থিতিতে আছি।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ-সদস্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যেন গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যত দ্রুত পারা যায় ব্যবস্থা করতে। আমরা সেই ব্যবস্থা করছি।’

উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ, এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যতটুকু পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব, তার সবটুকুই করা হয়েছে। এর ওপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টাও ছিল। আমরা করতেও পারতাম। কিন্তু মুশকিলটা হলো অর্থ এবং তেলের সংস্থান। এ দুটো জিনিসকে সমন্বয় করতে হবে। সেটা করতে আমাদের যে সময়টুকু লেগেছে, তখন বেশকিছু জায়গায়, গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায় লোডশেডিং করতে হয়েছে।’

নসরুল হামিদ বলেন, সোমবার দেখেন জিরো লোডশেডিং। আস্তে আস্তে কিন্তু কমে আসছে। আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আসছে। যারা তেল আনার কথা তারা আনতে পারছিলেন না। তারা দেরি করছিলেন। আমদানি করা তেলের সংকটের কারণে দেড় হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। আমরা অভ্যন্তরীণ সোর্স (বিপিসি) থেকে জ্বালানি সমন্বয় করে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। জ্বালানি স্বল্পতার কারণে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ধীরে ধীরে উৎপাদনে আসছে।

অর্থ ও জ্বালানি সমস্যা আছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সমস্যা অনেকটা কমে যাচ্ছে। গ্রামে লোডশেডিংও ধীরে ধীরে কমে যাবে। গরমে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে, আবার চাহিদাও আছে।

গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ালে শহরে কি লোডশেডিং বাড়বে-এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, আমার মনে হয় না কোথাও লোডশেডিং করে অন্য জায়গায় দেওয়ার ব্যবস্থাটা করতে হবে। তবে আমি মনে করি, আগের থেকে ভালো অবস্থায় এখন আমরা আছি।

লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শ্যামলকে শপথ পড়ালেন প্রধানমন্ত্রী : বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক শ্যামলকে শপথবাক্য পাঠ করান। প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে (পিএমও) শপথ অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিদের জনগণের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তাদের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কেএম শাখাওয়াত মুন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী পরিপূর্ণ দায়িত্ব পালনে স্থানীয় পর্যায়ে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ৩ এপ্রিল লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আবু বকর সিদ্দিক শ্যামল বিজয়ী হন।

বনিক বার্তা:

পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত
পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পাঁচ মাস পর তা তুলে নিয়েছে ভারত। সর্বোচ্চ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনের আগে গতকাল এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল দেশটির সরকার। ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষী ও ব্যবসায়ীরা রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন অনেক দিন ধরে। কিন্তু রফতানির ফলে অভ্যন্তরীণ সংকট তৈরি হয়ে দাম বাড়তে পারে বলে তাতে সায় দেয়নি সরকার। লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে মহারাষ্ট্রের ১১টি আসনে ভোট হবে ৭ মে। এর ঠিক তিনদিন আগে পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পেঁয়াজের রফতানি মূল্যও বেঁধে দিয়েছে ডিজিএফটি। প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫০ ডলার।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ পেঁয়াজ রফতানিকারক দেশ ভারত। রান্নায় বহুল ব্যবহৃত এ পণ্য রফতানি দেশটি বন্ধ রেখেছিল গত ৮ ডিসেম্বর থেকে। সেই সময়ের ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ মার্চ পর্যন্ত রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। মেয়াদ শেষের আগে রফতানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা করা হয়।

সমকাল:

উত্তরাঞ্চলে চার লেন প্রকল্পের ‘গলার কাঁটা’ ১৮ ওভারপাস
প্রকল্প শুরুর আট বছর পার। তবু শেষ হয়নি উত্তরাঞ্চল মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের ১৮ ওভারপাসের নির্মাণকাজ। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী পয়েন্টে ওভারপাসের কাজ শুরুই করা যায়নি। ফলে ওভারপাসই এখন মহাসড়কটির ‘গলার কাঁটা’। নির্মাণকাজের ধীরগতির কারণ হিসেবে জমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতাকে দায়ী করছে কর্তৃপক্ষ। এ প্রকল্পের বর্ধিত মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে আগামী ডিসেম্বরে। এ স্বল্প সময়ে পুরো কাজ শেষ হবে কিনা– তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহযোগিতায় ২০১৬ সালে টাঙ্গাইল-রংপুর ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়কে চার লেনের কাজ শুরু হয়। চার লেন পুরোপুরি চালু হলে স্বল্প সময়ে পৌঁছানো যাবে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায়। প্রকল্পটির নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। কথা ছিল, ২০২১ সালের আগস্টে টানা হবে কাজের যবনিকা। মেয়াদ পার হলেও কাজের অগ্রগতি না থাকায় বাড়ানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ, সঙ্গে বাড়ে খরচও। এখন ৪ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা বেড়ে ১৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকার প্রকল্প এটি। আর কাজ শেষ করার নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ডিসেম্বর।
প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে। সম্প্রসারণ কাজের জন্য মাঝেমধ্যেই বেশ কয়েকটি পয়েন্টে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। বিশেষ করে ঈদ এলে পরিস্থিতি জটিল রূপ নেয়। কিছুদিন পরই কোরবানির ঈদ। এর আগে নির্দিষ্ট পয়েন্টের কাজ শেষ করা না গেলে ভোগান্তির শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২)। এটিকে আধুনিক একটি মহাসড়ক মনে হলেও মূল উদ্দেশ্য হলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি এবং সাসেক করিডোর, এশিয়ান করিডোর, বিমসটেক করিডোরে যুক্ত হওয়া।

কাজের বর্তমান হাল
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে রংপুর মডার্ন মোড় পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের একাধিক পয়েন্টে ওভারপাস নির্মাণ এখনও শেষ হয়নি। কোনো কোনো ওভারপাসের কাজ শুরু থেকেই ফেলে রাখা হয়েছে। যেসব এলাকায় ওভারপাসের নির্মাণকাজ এখনও চলছে, এর মধ্যে রয়েছে সিরাজগঞ্জ অংশে ইকোনমি জোন, কড্ডার মোড়, ঝাওইল, ঘুড়কা, ভূঁইয়াগাতী, রায়গঞ্জ ক্রসলেন; বগুড়া অংশে চান্দাইকোনা বাজার, ধনকুণ্ঠি, ছোনকা, মীর্জাপুর ও মেডিকেল কলেজ; গাইবান্ধা অংশে গোবিন্দগঞ্জ বাজার, গাইবান্ধা মোড়, পলাশবাড়ী বাজার এবং রংপুর অংশে পীরগঞ্জ বাজার, মিঠাপুকুরের বলদীপুকুর বাসস্ট্যান্ড, শঠিবাড়ী ও বড় মির্জাপুর।
মূল মহাসড়ক হচ্ছে চার লেনের। এর দুই পাশে থাকছে সার্ভিস লেন। সিরাজগঞ্জ অংশে যমুনা সেতু পার হয়ে উত্তর পাশে নতুন করে রেলস্টেশন করা হচ্ছে। রাস্তার বাঁ পাশে হচ্ছে সিরাজগঞ্জ ইকোনমি জোন। এটার ঠিক সামনেই হচ্ছে ওভারপাস। সেখানে চলছে র‍্যাম্পের কাজ, ফাঁকা পিলার দাঁড়িয়ে আছে। এখানে গার্ডার লাগানোর পর সড়ক সংযুক্ত করা হবে। সামনে কড্ডার মোড়ে হচ্ছে ফ্লাইওভার। এখানে মূল সড়কের পাশে যে সার্ভিস লেন, সেখানে কার্পেটিংয়ের কাজ হয়েছে। মহাসড়কের বেশির ভাগ অংশে চার লেনে যানবাহন চলছে। আবার কোথাও কোথাও দুই পাশে যে সার্ভিস লেন রয়েছে, সে পথ ধরেও চলছে গাড়ি। এ লেনগুলো মূল সড়ক থেকে একটু নিচু করা হয়েছে। এ কারণে চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন হচ্ছে।

হাটিকুমরুল মোড়ে ইন্টারচেঞ্জ কাজ চলমান থাকায় সেখানে মাঝে মাঝে জট লাগছে। সেখানে এখন পিলারের কাজ চলছে। হাটিকুমরুল অংশটিতে যেসব ভবন ছিল, সেগুলো ভাঙা হয়েছে। যানবাহনের চালক ও যাত্রী বিশ্রামের জন্য মহাসড়কের এ অংশে নির্মাণ করা হচ্ছে হাইওয়ে সার্ভিস এরিয়া। বগুড়ার বনানী থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তার বিপজ্জনক এলাকার বনানীর হাট, মাঝিড়া, ক্যান্টনমেন্ট ও নয়মাইল এলাকায় এখনও সাইড রোডের কাজ শেষ হয়নি। এ অংশের ঠিকাদার কনকর্ড প্রগতি কনস্ট্রাকশনের (সিপিসিএল) প্রকৌশলী মোহাম্মাদ রিয়াজ বলেন, শ্রমিকরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। শিগগির আমরা কাজ শেষ করতে পারব।

কালবেলা:

প্রথম ধাপে কোটিপতি প্রার্থী ১১৭
জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দাপট বেড়েছে ব্যবসায়ী প্রার্থীদের। প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রায় ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী। আর কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১১৭ জনই কোটিপতি। নির্বাচনী হলফনামায় দেওয়া সম্পদের হিসাবে এমপিদের পেছনে ফেলেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা। পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে একজন উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি। আর এমপিদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ। পাঁচ বছরে একজন চেয়ারম্যানের আয় বেড়েছে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৩১৯ শতাংশ, ১০ বছরে এই বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ২৩৩ শতাংশ। স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হার ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ।

দুর্নীতিবিরোধী বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) গতকাল সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থাটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫৬০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১১ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ১৩ জন মন্ত্রী-এমপির স্বজন। চেয়ারম্যান পদে ৭, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়

নির্বাচিত হয়েছেন। ভোট গ্রহণ হবে ৮ মে। টিআইবি জানিয়েছে, মাদারীপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও এমপি শাহাজান খানের পুত্র আসিবুর রহমান ও চাচাতো

ভাই পাভেলুর রহমান প্রার্থী হয়েছেন। এমপি সাহাদারা মান্নানের পুত্র সাখাওয়াত হোসেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ছোট ভাই মিনহাদুজ্জামান সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর পুত্র আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী।

জনপ্রিয় সংবাদ

কারাগারে বিএনপি নেতা ইশরাক

রপ্তানি রেমিট্যান্স নিম্নগতি চাপে রিজার্ভ

৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪২০০ শতাংশের বেশি

আপডেট সময় ০৯:০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:

দৈনিক সংগ্রাম:

৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪২০০ শতাংশের বেশি
পাঁচ বছরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে চার হাজার ২০০ শতাংশের বেশি। অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা সংসদ সদস্যদের পেছনে ফেলেছেন। সংসদ সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ। বিপরীতে একজন উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি।

গতকাল সোমবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)‘র ধানমন্ডির কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ সব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি‘র আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয, প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ১৪৪টির প্রার্থীদের হলফনামা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে, বাকি আটটি প্রকাশ করেনি। ১৫২টি উপজেলার তিনটি নির্বাচনের প্রায় ৪ হাজার ৮০০টি হলফনামায় দেওয়া আট ধরনের তথ্যের বহুমাত্রিক ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১১৭ জন কোটিপতি। তাদের মধ্যে ৫৬০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৯৪ জন, ৬১১ ভাইস চেয়ারম্যানের ১৭ জন এবং ৪৩৫ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছয় জন কোটিপতি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. মো ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি নির্বাচন কমিশন, এনবিআর ও দুদকের খতিয়ে দেখার দায়িত্ব বলে মনে করি।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের ১৩ জন স্বজন নির্বাচন করছেন। প্রথম ধাপেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন দলীয় হলেও নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলগতভাবে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সমর্থনপুষ্ট। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও দলটি স্থানীয় প্রার্থীদের আটকাতে পারেনি। আগ্রহী প্রার্থীরা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বড় আলোচনার বিষয় হলেও এবার স্বজনদের মনোনয়ন নিয়ে চলছে বিতর্ক। প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ১৩ জন। প্রার্থী হওয়ায় এগিয়ে ভাইয়েরা; চাচাতো ভাই, খালাতো ভাই, জামাতা, ভাইয়ের ছেলে আছেন তালিকায়। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করা ২২ জামায়াত নেতা পরবর্তী সময়ে দলের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়ান।

টিআইবি জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট বাড়ছে। ব্যবসায়ী প্রার্থীদের সংখ্যা চতুর্থ নির্বাচনের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ শতাংশ। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৬৯.৮৬ শতাংশই ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৬.৫৯ শতাংশ, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ২৪.৩৭ শতাংশ ব্যবসাকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন।

মানবজমিন:

রপ্তানি রেমিট্যান্স নিম্নগতি চাপে রিজার্ভ
নানা উদ্বেগের মধ্যে ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ- এই ৪ মাসে রপ্তানি পণ্য থেকে ৫ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলারের বেশি আয় হলেও এপ্রিলে তা বড় ধাক্কা খেয়েছে। নেমে এসেছে ৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে। অন্যদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহের গতিও বেশ খানিকটা ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সে কারণে রিজার্ভও কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়ছে না।

রেমিট্যান্সে ভালো না করা আর হঠাৎ করে রপ্তানি আয় হোঁচট খাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রপ্তানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, এভাবে কমতে থাকলে রিজার্ভ আরও চাপের মধ্যে পড়বে।

সার্বিক রপ্তানি কমছে: দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ডলার সংকট। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না। বরং ডলার সংকট আরও প্রকট হচ্ছে। যার প্রভাবে রিজার্ভ তলানিতে নেমেছে। এই সংকট উত্তরণের অন্যতম উৎস রপ্তানি আয়। কিন্তু সেখানেও সুখবর নেই।

চলতি অর্থবছরের এপ্রিল মাসে বিদেশে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ৩৯১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ০.৯৯ শতাংশ কম। শুধু প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হয়েছে তা নয়, এপ্রিলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও রপ্তানি পিছিয়ে আছে ১৬.৭৮ শতাংশ। এদিকে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়লেও দেশের অন্যান্য প্রধান খাতগুলোর রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে কমছে। সংকট থেকে বের হতে পারছে না এককালের প্রধান রপ্তানি খাত পাট। এ ছাড়া হিমায়িত ও চিংড়ি মাছ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইল থেকেও রপ্তানি আয় ক্রমান্বয়ে কমছে।
পোশাক রপ্তানিতে ধাক্কা: মোট রপ্তানি আয়ের ৮৫ ভাগ দখল করে আছে তৈরি পোশাক। তৈরি পোশাক রপ্তানি কমলে মোট রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধিতে ধাক্কা লাগে। জুলাই-এপ্রিল সময়ে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প থেকে এসেছে ৪০.৪৯ বিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪.৯৭ শতাংশ বেশি। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ৫.৭৭ শতাংশ। গেল এপ্রিল মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩.২৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। আগের বছর একই সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৩.৩৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। অর্থাৎ এপ্রিল মাসে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১.০১ শতাংশ।পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ঈদের ছুটির কারণে কয়েক দিন কারখানাগুলোতে উৎপাদন বন্ধ ছিল; রপ্তানি হয়নি। রপ্তানি কমার এটাও একটি কারণ। তবে নানা বাধা বিপত্তির মধ্যদিয়ে যাচ্ছি আমরা।

নয়াদিগন্ত:

কালবৈশাখীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
বৃষ্টির সাথে সাথে প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড়ে গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় বজ্রপাতে ছয় জেলায় ৮ জন মারা গেছেন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন শরীয়তপুরে দুই নারীসহ তিনজন, ফরিদপুরে এক কৃষক, মৌলভীবাজারে সদ্য বিবাহিত যুবক, নেত্রকোনায় এক কৃষক, সিলেটে ওমানপ্রবাসী, মাদারীপুরে দোকান কর্মচারী। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নষ্ট হয়েছে বিপুল পরিমাণ জমির বোরো ধানসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলের বাগান। এদিকে গতকাল মাত্র ৩ ঘণ্টার বৃষ্টিতেই চট্টগ্রাম মহানগরীর বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। ঝড়ো হাওয়ায় উপড়ে পড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ ট্রান্সফর্মার ও গাছপালা। অন্যদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজও সারা দেশে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, রাজশাহী বিভাগ ছাড়াও সারা দেশে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, শরীয়তপুরের জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের পাইনপাড়া এলাকার আলতু মাঝির মেয়ে আমেনা বেগম (২৬), নীলফামারী জেলার জলডাঙা উপজেলার তেলিপাড়া এলাকার তহিবুর হোসেনের ছেলে নির্মাণ শ্রমিক আব্দুল হান্নান (২৭) এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি গ্রামের নেছার উদ্দিন মাঝির স্ত্রী কুলসুম বেগম (৩৮)।
জানা যায়, বৃষ্টির মধ্যে মায়ের খোঁজ করতে গিয়েছিলেন আমেনা বেগম। ফসলি মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মাকে খুঁজছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান আমেনা বেগম। স্থানীয় জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আমেনা বেগমের। তার দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি গ্রামে সয়াবিন ক্ষেতে কাজ করছিলেন নেছার উদ্দিন মাঝি। দুপুরে তার স্ত্রী কুলসুম বেগম স্বামীর জন্য দুপুরের খাবার হিসেবে ভাত নিয়ে গিয়েছিলেন সয়াবিন ক্ষেতে। এ সময় ঝড়সহ বজ্রপাত শুরু হলে কুলসুম বেগম মারা যান।

নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনার আটপাড়ায় বোরো জমিতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দিলওয়ার মিয়া (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার স্বরমুশিয়া হাওরে এ ঘটনা ঘটে। দিলওয়ার উপজেলার স্বরমুশিয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে। আটপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহিদুর রহমান বলেন, সোমবার সকালে বাড়ি থেকে দিলওয়ার নিজের জমির ধান কাটতে হাওরে যান। এ সময় বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেটের কানাইঘাটে মাঠে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মাহতাব উদ্দিন মাতাই (৪৫) নামে এক ওমান প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার দীঘিরপার ৩ নং পূর্ব ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। মাহতাব উদ্দিন মাতাই উপজেলার দর্পনগর পশ্চিম করচটি গ্রামের রফিকুল হকের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানা পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার। তিনি বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাহতাব উদ্দিন সুরমা নদী তীরবর্তী মাঠে গরু চরাতে যান। এ সময় বজ্রপাত হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

মাদারীপুর প্রতিনিধি জানান, মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদে গোসল করতে নেমে বজ্রপাতে সঞ্জীব বল্লভ (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার পুরানবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বজ্রাহত হয়েছেন দিগেন বৈদ্য (৪০) নামের আরো একজন। সঞ্জীব গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার নগেন বল্লভের ছেলে। তিনি মাদারীপুর পুরান বাজারের একটি মিষ্টির দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরের মধুখালীতে বজ্রপাতে মুরাদ মল্লিক (৫৩) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। গতকাল সোমবার দুপুর ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কামরুল শেখ (৩৫) নামে অন্য এক কৃষক আহত হন। নিহত মুরাদ মল্লিক উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়নের মিরাপাড়া গ্রামের লকাই মল্লিকের ছেলে। কামরুল শেখ দস্তরকাপাসাটিয়া গ্রামের কালাম শেখের ছেলে।
কামালদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ালিদ হাসান মামুন বলেন, ওই দুই কৃষক উপজেলার দস্তর কাপাসাটিয়া মাঠের মরিচের জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মুরাদ মল্লিক মারা যান এবং আহত অবস্থায় কামরুল শেখকে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে বজ্রপাতে সমুজ মিয়া (৩০) নামের সদ্য বিবাহিত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ বাড়ির পাশে মাছ ধরতে গেলে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। তিনি ওই গ্রামের ছনোয়ার মিয়ার ছেলে। পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সদ্য বিবাহিত সমুজ মিয়ার মৃত্যুতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহায়তার কথা জানিয়েছেন।

কালের কন্ঠ:

একীভূত জ্বরে ভুগছে ব্যাংক
ব্যাংক খাতে আস্থা ফেরাতে এবং দুর্বল ব্যাংককে টেনে তুলতে ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে গ্রাহকদের মধ্যে এক ধরনের দ্বিধা তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে আমানত হারাতে শুরু করেছে কিছু ব্যাংক। ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার ক্ষেত্রে চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন দুর্বল ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

বিশ্লেষকদের মতে, মার্জারের প্রভাবে কিছু ব্যাংকের আমানত কমতে শুরু করেছে। খাতটি ঢেলে সাজাতে আরো বিকল্প পথ রয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বরে ব্যাংক মার্জারের (একীভূতকরণ) আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত, বিদেশি ও ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর আমানত কমতে শুরু করেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে মোট নগদ তারল্য বা লিকুইড অ্যাসেট ছিল এক লাখ ২৭ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা।

কিন্তু দুই মাসের ব্যবধানে ফেব্রুয়ারি শেষে তা কমে এক লাখ ২৬ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকায় নেমেছে। অর্থাৎ দুই মাসের ব্যবধানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ৭৬৯ কোটি টাকার নগদ আমানত কমে গেছে।
এদিকে দুই মাসে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোতে নগদ তারল্য কমেছে তিন হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। কারণ ডিসেম্বরে পুরোপুরি ইসলামী ধারায় পরিচালিত ১০ ব্যাংকের লিকুইড অ্যাসেট ছিল ৪৪ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

সম্পদে এমপিদের ছাড়িয়ে চেয়ারম্যানরা
♦ কোটিপতি প্রার্থী ১১৭, ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী ♦ সবচেয়ে বেশি আয় বেড়েছে রামগড়ের প্রদীপ কারবারীর ♦ অস্থাবর সম্পদের শীর্ষে গোপালগঞ্জের কামরুজ্জামান

পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে সংসদ সদস্যদের ছাড়িয়ে গেছেন উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। সংসদ সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ, যেখানে একজন চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি। বেড়েছে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যাও। এবার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে কোটিপতির সংখ্যা ১১৭।

গতকাল ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সম্পদ অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। এগুলো নির্বাচন কমিশন, এনবিআর ও দুদকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি প্রথম ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের ১৩ জন স্বজন নির্বাচন করছেন। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন দলীয় হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলগতভাবে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর অধিকাংশই ‘আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী’ এবং দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সমর্থনপুষ্ট। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও দলটি স্থানীয় প্রার্থীদের আটকাতে পারেনি। আগ্রহী প্রার্থীরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বড় আলোচনার বিষয় হলেও এবার স্বজনদের মনোনয়ন নিয়ে চলছে বিতর্ক। বর্জনের ঘোষণা দিলেও তা অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করলেও জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতা পরবর্তী সময়ে দলের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়িয়েছেন। প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে টিআইবি বলছে, নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫৬০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১১ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৬০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে কোটিপতি ৯৪ জন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোটিপতি ছিলেন ৩৭ জন। গত নির্বাচনের সঙ্গে তুলনায় এ সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ছয়জন কোটিপতি। গত নির্বাচনের সঙ্গে তুলনায় এ দুই পদের ক্ষেত্রেও কোটিপতির সংখ্যা তিন গুণের কাছাকাছি। টিআইবি জানিয়েছে, অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে এ কোটিপতির হিসাব করা হয়েছে। ভূমির মতো স্থাবর সম্পদের মূল্য নির্ধারণ কঠিন হওয়ায় কোটিপতির হিসাবে তা আনা হয়নি। সংস্থাটি বলছে, পেশা হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন কৃষিকাজ। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন আইনজীবী (৬ শতাংশ) ও শিক্ষক (৪ শতাংশ)। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রায় ৬৭ শতাংশ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ২৪ শতাংশ পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন ব্যবসা। আর নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৫২ শতাংশই নিজেকে দেখিয়েছেন গৃহিণী হিসেবে। আয় নেই ১২ শতাংশের। ৩৯ শতাংশ প্রার্থী দেখাননি নিজেদের আয়ের কোনো স্বীকৃত উৎস।

প্রথম আলো:

এক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই ডুবল চট্টগ্রাম শহর
প্রচণ্ড গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। তাপপ্রবাহের অস্বস্তি নিয়ে দিন পার করতে হচ্ছিল নগরবাসীকে। বৃষ্টির জন্য কাতর ছিলেন সবাই। এমন পরিস্থিতিতে ঝুম বৃষ্টি নামে গতকাল সোমবার বিকেলে। কমে যায় তাপমাত্রা। শীতল হয় পরিবেশ। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে ডুবে যায় নগরের রাস্তাঘাট–অলিগলি।

শুধু যে জলাবদ্ধতা তা নয়, বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় নগরের জিইসি মোড় এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে, বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারসহ খুঁটি ভেঙে পড়ে। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিকেলেই আঁধার নেমে আসে নগরজুড়ে। ভোগান্তি আর দুর্ভোগ সঙ্গী করে ঘরে ফিরতে হয়েছে অনেককেই।

মাত্র এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বন্দরনগর চট্টগ্রামের অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। পাঁচলাইশ, প্রবর্তক মোড়, ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, মির্জাপুল, ডিসি রোড, ওয়াসা মোড়, তিন পোলের মাথা, আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ এলাকা, চকবাজার, বহদ্দারহাট এলাকায় সড়ক ডুবে যায়। কোথাও কোথাও হাঁটুসমান পানি জমে ছিল। পানি নামতে নামতেই সন্ধ্যা হয়ে যায়। দুই থেকে তিন ঘণ্টা ধরে পানি জমে থাকে এসব এলাকায়।

বিকেলের টানা বৃষ্টিতে পানি জমে যাওয়ায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন অফিসফেরত কর্মজীবী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। তাঁদের পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা যায়। আবার অনেক এলাকায় পরিবহনসংকট দেখা দেয়। এই সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায় করে নেন চালকেরা।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার বিকেল চারটা থেকে গতকাল সোমবার বিকেল চারটা পর্যন্ত ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

যুগান্তর:

গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সোমবার বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায়। এটি আমরা এক মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশকিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট (বিদ্যুৎকেন্দ্র), বিশেষত অয়েল বেইজড (তেলভিত্তিক) পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, অর্থস্বল্পতা ছিল-এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটি ভালো পরিস্থিতিতে আছি।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ-সদস্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যেন গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যত দ্রুত পারা যায় ব্যবস্থা করতে। আমরা সেই ব্যবস্থা করছি।’

উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ, এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যতটুকু পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব, তার সবটুকুই করা হয়েছে। এর ওপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টাও ছিল। আমরা করতেও পারতাম। কিন্তু মুশকিলটা হলো অর্থ এবং তেলের সংস্থান। এ দুটো জিনিসকে সমন্বয় করতে হবে। সেটা করতে আমাদের যে সময়টুকু লেগেছে, তখন বেশকিছু জায়গায়, গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায় লোডশেডিং করতে হয়েছে।’

নসরুল হামিদ বলেন, সোমবার দেখেন জিরো লোডশেডিং। আস্তে আস্তে কিন্তু কমে আসছে। আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আসছে। যারা তেল আনার কথা তারা আনতে পারছিলেন না। তারা দেরি করছিলেন। আমদানি করা তেলের সংকটের কারণে দেড় হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। আমরা অভ্যন্তরীণ সোর্স (বিপিসি) থেকে জ্বালানি সমন্বয় করে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। জ্বালানি স্বল্পতার কারণে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ধীরে ধীরে উৎপাদনে আসছে।

অর্থ ও জ্বালানি সমস্যা আছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সমস্যা অনেকটা কমে যাচ্ছে। গ্রামে লোডশেডিংও ধীরে ধীরে কমে যাবে। গরমে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে, আবার চাহিদাও আছে।

গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ালে শহরে কি লোডশেডিং বাড়বে-এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, আমার মনে হয় না কোথাও লোডশেডিং করে অন্য জায়গায় দেওয়ার ব্যবস্থাটা করতে হবে। তবে আমি মনে করি, আগের থেকে ভালো অবস্থায় এখন আমরা আছি।

লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শ্যামলকে শপথ পড়ালেন প্রধানমন্ত্রী : বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক শ্যামলকে শপথবাক্য পাঠ করান। প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে (পিএমও) শপথ অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিদের জনগণের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তাদের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কেএম শাখাওয়াত মুন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী পরিপূর্ণ দায়িত্ব পালনে স্থানীয় পর্যায়ে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ৩ এপ্রিল লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আবু বকর সিদ্দিক শ্যামল বিজয়ী হন।

বনিক বার্তা:

পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত
পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পাঁচ মাস পর তা তুলে নিয়েছে ভারত। সর্বোচ্চ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনের আগে গতকাল এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল দেশটির সরকার। ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষী ও ব্যবসায়ীরা রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন অনেক দিন ধরে। কিন্তু রফতানির ফলে অভ্যন্তরীণ সংকট তৈরি হয়ে দাম বাড়তে পারে বলে তাতে সায় দেয়নি সরকার। লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে মহারাষ্ট্রের ১১টি আসনে ভোট হবে ৭ মে। এর ঠিক তিনদিন আগে পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পেঁয়াজের রফতানি মূল্যও বেঁধে দিয়েছে ডিজিএফটি। প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫০ ডলার।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ পেঁয়াজ রফতানিকারক দেশ ভারত। রান্নায় বহুল ব্যবহৃত এ পণ্য রফতানি দেশটি বন্ধ রেখেছিল গত ৮ ডিসেম্বর থেকে। সেই সময়ের ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ মার্চ পর্যন্ত রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। মেয়াদ শেষের আগে রফতানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা করা হয়।

সমকাল:

উত্তরাঞ্চলে চার লেন প্রকল্পের ‘গলার কাঁটা’ ১৮ ওভারপাস
প্রকল্প শুরুর আট বছর পার। তবু শেষ হয়নি উত্তরাঞ্চল মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের ১৮ ওভারপাসের নির্মাণকাজ। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী পয়েন্টে ওভারপাসের কাজ শুরুই করা যায়নি। ফলে ওভারপাসই এখন মহাসড়কটির ‘গলার কাঁটা’। নির্মাণকাজের ধীরগতির কারণ হিসেবে জমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতাকে দায়ী করছে কর্তৃপক্ষ। এ প্রকল্পের বর্ধিত মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে আগামী ডিসেম্বরে। এ স্বল্প সময়ে পুরো কাজ শেষ হবে কিনা– তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহযোগিতায় ২০১৬ সালে টাঙ্গাইল-রংপুর ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়কে চার লেনের কাজ শুরু হয়। চার লেন পুরোপুরি চালু হলে স্বল্প সময়ে পৌঁছানো যাবে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায়। প্রকল্পটির নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। কথা ছিল, ২০২১ সালের আগস্টে টানা হবে কাজের যবনিকা। মেয়াদ পার হলেও কাজের অগ্রগতি না থাকায় বাড়ানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ, সঙ্গে বাড়ে খরচও। এখন ৪ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা বেড়ে ১৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকার প্রকল্প এটি। আর কাজ শেষ করার নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ডিসেম্বর।
প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে। সম্প্রসারণ কাজের জন্য মাঝেমধ্যেই বেশ কয়েকটি পয়েন্টে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। বিশেষ করে ঈদ এলে পরিস্থিতি জটিল রূপ নেয়। কিছুদিন পরই কোরবানির ঈদ। এর আগে নির্দিষ্ট পয়েন্টের কাজ শেষ করা না গেলে ভোগান্তির শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২)। এটিকে আধুনিক একটি মহাসড়ক মনে হলেও মূল উদ্দেশ্য হলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি এবং সাসেক করিডোর, এশিয়ান করিডোর, বিমসটেক করিডোরে যুক্ত হওয়া।

কাজের বর্তমান হাল
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে রংপুর মডার্ন মোড় পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের একাধিক পয়েন্টে ওভারপাস নির্মাণ এখনও শেষ হয়নি। কোনো কোনো ওভারপাসের কাজ শুরু থেকেই ফেলে রাখা হয়েছে। যেসব এলাকায় ওভারপাসের নির্মাণকাজ এখনও চলছে, এর মধ্যে রয়েছে সিরাজগঞ্জ অংশে ইকোনমি জোন, কড্ডার মোড়, ঝাওইল, ঘুড়কা, ভূঁইয়াগাতী, রায়গঞ্জ ক্রসলেন; বগুড়া অংশে চান্দাইকোনা বাজার, ধনকুণ্ঠি, ছোনকা, মীর্জাপুর ও মেডিকেল কলেজ; গাইবান্ধা অংশে গোবিন্দগঞ্জ বাজার, গাইবান্ধা মোড়, পলাশবাড়ী বাজার এবং রংপুর অংশে পীরগঞ্জ বাজার, মিঠাপুকুরের বলদীপুকুর বাসস্ট্যান্ড, শঠিবাড়ী ও বড় মির্জাপুর।
মূল মহাসড়ক হচ্ছে চার লেনের। এর দুই পাশে থাকছে সার্ভিস লেন। সিরাজগঞ্জ অংশে যমুনা সেতু পার হয়ে উত্তর পাশে নতুন করে রেলস্টেশন করা হচ্ছে। রাস্তার বাঁ পাশে হচ্ছে সিরাজগঞ্জ ইকোনমি জোন। এটার ঠিক সামনেই হচ্ছে ওভারপাস। সেখানে চলছে র‍্যাম্পের কাজ, ফাঁকা পিলার দাঁড়িয়ে আছে। এখানে গার্ডার লাগানোর পর সড়ক সংযুক্ত করা হবে। সামনে কড্ডার মোড়ে হচ্ছে ফ্লাইওভার। এখানে মূল সড়কের পাশে যে সার্ভিস লেন, সেখানে কার্পেটিংয়ের কাজ হয়েছে। মহাসড়কের বেশির ভাগ অংশে চার লেনে যানবাহন চলছে। আবার কোথাও কোথাও দুই পাশে যে সার্ভিস লেন রয়েছে, সে পথ ধরেও চলছে গাড়ি। এ লেনগুলো মূল সড়ক থেকে একটু নিচু করা হয়েছে। এ কারণে চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন হচ্ছে।

হাটিকুমরুল মোড়ে ইন্টারচেঞ্জ কাজ চলমান থাকায় সেখানে মাঝে মাঝে জট লাগছে। সেখানে এখন পিলারের কাজ চলছে। হাটিকুমরুল অংশটিতে যেসব ভবন ছিল, সেগুলো ভাঙা হয়েছে। যানবাহনের চালক ও যাত্রী বিশ্রামের জন্য মহাসড়কের এ অংশে নির্মাণ করা হচ্ছে হাইওয়ে সার্ভিস এরিয়া। বগুড়ার বনানী থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তার বিপজ্জনক এলাকার বনানীর হাট, মাঝিড়া, ক্যান্টনমেন্ট ও নয়মাইল এলাকায় এখনও সাইড রোডের কাজ শেষ হয়নি। এ অংশের ঠিকাদার কনকর্ড প্রগতি কনস্ট্রাকশনের (সিপিসিএল) প্রকৌশলী মোহাম্মাদ রিয়াজ বলেন, শ্রমিকরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। শিগগির আমরা কাজ শেষ করতে পারব।

কালবেলা:

প্রথম ধাপে কোটিপতি প্রার্থী ১১৭
জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দাপট বেড়েছে ব্যবসায়ী প্রার্থীদের। প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রায় ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী। আর কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১১৭ জনই কোটিপতি। নির্বাচনী হলফনামায় দেওয়া সম্পদের হিসাবে এমপিদের পেছনে ফেলেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা। পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে একজন উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি। আর এমপিদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ। পাঁচ বছরে একজন চেয়ারম্যানের আয় বেড়েছে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৩১৯ শতাংশ, ১০ বছরে এই বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ২৩৩ শতাংশ। স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হার ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ।

দুর্নীতিবিরোধী বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) গতকাল সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থাটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫৬০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১১ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ১৩ জন মন্ত্রী-এমপির স্বজন। চেয়ারম্যান পদে ৭, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়

নির্বাচিত হয়েছেন। ভোট গ্রহণ হবে ৮ মে। টিআইবি জানিয়েছে, মাদারীপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও এমপি শাহাজান খানের পুত্র আসিবুর রহমান ও চাচাতো

ভাই পাভেলুর রহমান প্রার্থী হয়েছেন। এমপি সাহাদারা মান্নানের পুত্র সাখাওয়াত হোসেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ছোট ভাই মিনহাদুজ্জামান সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর পুত্র আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী।