ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়। আগামী বছরগুলোতেও এমন গরম আসতে পারে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক গাইডলাইন খুবই সময়োপযোগী।

এখানে বর্ণিত নির্দেশিকা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। রবিবার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি গাইডলাইন করে দিয়েছে, যা খুবই সময়োপযোগী। এখানে বর্ণিত নির্দেশিকা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।

এরইমধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে এবং চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডা. সামন্ত লাল আরো বলেন, এই তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে বাচ্চারা আর বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়াবেটিক, হার্টডিজিস বা বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে।

এই নির্দেশ আমি এরইমধ্যে দিয়েছি। নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অত্যধিক বেশি। এর কারণ, আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে ঢাকা শহরে গাছপালা সব কেটে সাবাড় করে ফেলেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হয়ত আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারি না। কিন্তু, নগর পরিকল্পনা করার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে অনেকাংশে পরিত্রাণ সম্ভব।

জনপ্রিয় সংবাদ

টানা চতুর্থবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি

তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:২৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়। আগামী বছরগুলোতেও এমন গরম আসতে পারে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক গাইডলাইন খুবই সময়োপযোগী।

এখানে বর্ণিত নির্দেশিকা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। রবিবার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি গাইডলাইন করে দিয়েছে, যা খুবই সময়োপযোগী। এখানে বর্ণিত নির্দেশিকা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।

এরইমধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে এবং চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডা. সামন্ত লাল আরো বলেন, এই তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে বাচ্চারা আর বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়াবেটিক, হার্টডিজিস বা বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে।

এই নির্দেশ আমি এরইমধ্যে দিয়েছি। নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অত্যধিক বেশি। এর কারণ, আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে ঢাকা শহরে গাছপালা সব কেটে সাবাড় করে ফেলেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হয়ত আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারি না। কিন্তু, নগর পরিকল্পনা করার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে অনেকাংশে পরিত্রাণ সম্ভব।