ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হলে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার অনেকেই

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হলে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এ সময় বেশ কিছু বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে ‘মানবঢাল’ তৈরি করে পুলিশকে ঠেকানোর চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শিক্ষার্থীদের সংবাদপত্র ‘কলাম্বিয়া স্পেকটেটর’ এর বরাতে বলছে, হ্যামিল্টন হলে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে পুলিশ। হ্যামিল্টন হল খালি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সংবাদপত্রটি বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টার দিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়। পুলিশ হ্যামিল্টন হলে ঢুকে পড়ে। তারা বিক্ষোভকারীদের ধাক্কা দেয়, আঘাত করে। এর আগে পুলিশকে ঠেকাতে বিক্ষোভকারীদের অনেকে দরজার বাইরে মানবঢাল তৈরি করেন।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্রেনের মতো দেখতে বড় ভ্রাম্যমাণ মই বেয়ে পুলিশ ভবনটিতে প্রবেশ করছে। তবে কতজন পুলিশ ভবনে প্রবেশ করেছে কিংবা কতজনকে আটক করা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে তার কিছুই জানা যায়নি।

এদিকে বিবিসির প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নিরাপত্তাকর্মীরা দরজার তালা ভেঙে রুমের মধ্যে প্রবেশ করছে। মূলত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সপ্তাহ দুয়েক আগে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ক্যাম্পাসগুলোয় তাঁবু খাটিয়ে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষার্থীরা।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁবু সরিয়ে বিক্ষোভ বন্ধ করতে গত সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। তবে কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেয়া সময়সীমা উপেক্ষা করেন বিক্ষোভকারীরা। এর জেরে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন চাং মঙ্গলবার বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরবর্তী ধাপের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কারের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

এই সিদ্ধান্তের পর হ্যামিল্টন হল দখল করেন বিক্ষোভকারীরা। তারা ভবনে ‘হিন্দস হল’ লেখা একটি ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। এক বিবৃতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ছয় বছরের শিশু হিন্দ রজবের সম্মানে তারা এ কাজ করেছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সমর্থন দেয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। পাশাপাশি গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ারও দাবি তোলা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হলে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার অনেকেই

আপডেট সময় ১২:১১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হলে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এ সময় বেশ কিছু বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে ‘মানবঢাল’ তৈরি করে পুলিশকে ঠেকানোর চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শিক্ষার্থীদের সংবাদপত্র ‘কলাম্বিয়া স্পেকটেটর’ এর বরাতে বলছে, হ্যামিল্টন হলে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে পুলিশ। হ্যামিল্টন হল খালি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সংবাদপত্রটি বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টার দিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়। পুলিশ হ্যামিল্টন হলে ঢুকে পড়ে। তারা বিক্ষোভকারীদের ধাক্কা দেয়, আঘাত করে। এর আগে পুলিশকে ঠেকাতে বিক্ষোভকারীদের অনেকে দরজার বাইরে মানবঢাল তৈরি করেন।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্রেনের মতো দেখতে বড় ভ্রাম্যমাণ মই বেয়ে পুলিশ ভবনটিতে প্রবেশ করছে। তবে কতজন পুলিশ ভবনে প্রবেশ করেছে কিংবা কতজনকে আটক করা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে তার কিছুই জানা যায়নি।

এদিকে বিবিসির প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নিরাপত্তাকর্মীরা দরজার তালা ভেঙে রুমের মধ্যে প্রবেশ করছে। মূলত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সপ্তাহ দুয়েক আগে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ক্যাম্পাসগুলোয় তাঁবু খাটিয়ে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষার্থীরা।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁবু সরিয়ে বিক্ষোভ বন্ধ করতে গত সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। তবে কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেয়া সময়সীমা উপেক্ষা করেন বিক্ষোভকারীরা। এর জেরে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন চাং মঙ্গলবার বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরবর্তী ধাপের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কারের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

এই সিদ্ধান্তের পর হ্যামিল্টন হল দখল করেন বিক্ষোভকারীরা। তারা ভবনে ‘হিন্দস হল’ লেখা একটি ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। এক বিবৃতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ছয় বছরের শিশু হিন্দ রজবের সম্মানে তারা এ কাজ করেছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সমর্থন দেয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। পাশাপাশি গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ারও দাবি তোলা হয়েছে।