ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিখোঁজের ২৪ দিন পর নদী থেকে ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার

নিখোঁজের ২৪ দিন পর কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদী থেকে ছাত্রলীগ নেতা মোখলেস ভূঁইয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ছাত্রলীগ নেতা মোখলেস ভূঁইয়া (২৮) কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজুর ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের মকবুল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ আদালতের পেশকারের সহকারী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। মোখলেস ভূঁইয়া মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজুর ইউনিয়য়েন যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক ছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত ২৯ মার্চ পাগলা মসজিদে তারাবি নামাজ শেষে রাত ৯টার দিকে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর তিনি বাসা থেকে বের হন। পর্র্তীতে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পরে গত ২১ এপ্রিল নিহতের বড় ভাই মিজানুর রহমান কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তিনি মিজান শেখ, মার্জান, রায়হান শেখ, শেফুল শেখ নামের চারজনকে আসামি করেন। পরদিন তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে ।

পরে সোমবার থেকে (২২ এপ্রিল) আসামিদের সাথে নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। পরে আজ মঙ্গলবার বিকেলে মোখলেস ভূঁইয়ার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়।

কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, মোখলেস ভূঁইয়াকে ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যার পর, দেহের সাথে ভারী বস্তু বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়া হয় বলে আসামিরা তাদের জবানবন্দিতে জানান। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ট্যাগস :

এমপিদের থেকেও সম্পদ বেশি উপজেলা চেয়ারম্যানদের

নিখোঁজের ২৪ দিন পর নদী থেকে ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ১২:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

নিখোঁজের ২৪ দিন পর কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদী থেকে ছাত্রলীগ নেতা মোখলেস ভূঁইয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ছাত্রলীগ নেতা মোখলেস ভূঁইয়া (২৮) কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজুর ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের মকবুল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ আদালতের পেশকারের সহকারী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। মোখলেস ভূঁইয়া মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজুর ইউনিয়য়েন যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক ছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত ২৯ মার্চ পাগলা মসজিদে তারাবি নামাজ শেষে রাত ৯টার দিকে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর তিনি বাসা থেকে বের হন। পর্র্তীতে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পরে গত ২১ এপ্রিল নিহতের বড় ভাই মিজানুর রহমান কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তিনি মিজান শেখ, মার্জান, রায়হান শেখ, শেফুল শেখ নামের চারজনকে আসামি করেন। পরদিন তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে ।

পরে সোমবার থেকে (২২ এপ্রিল) আসামিদের সাথে নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। পরে আজ মঙ্গলবার বিকেলে মোখলেস ভূঁইয়ার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়।

কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, মোখলেস ভূঁইয়াকে ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যার পর, দেহের সাথে ভারী বস্তু বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়া হয় বলে আসামিরা তাদের জবানবন্দিতে জানান। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।