ঢাকা ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিরাতে তওবা করে ঘুমাতে যান শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আমরা কেউ জানি না কে আগামীকালের সকাল দেখবো। এ পৃথিবী আপনাকে কিছু দেবে না। দরকার আপনার শেষ ঠিকানা। সত্য হচ্ছে আপনাকে একদিন যেতে হবে। তাই আমি প্রতিরাতে তওবা করে ঘুমাতে যাই।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে শহরের নিতাইগঞ্জে একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আন্তর্জাতিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ‘ভালো’ এর নতুন শাখার উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার বাবা গ্রেফতার হওয়ার পর খুব খারাপভাবে আমাদের দিন গেছে। আওয়ামী লীগের বহু বড় বড় নেতা, কেউ আসেনি তখন। তোলারাম কলেজের ভিপি ছিলাম। ছাত্রনেতা হিসেবে যতটা ক্ষমতাবান ছিলাম, আমার মতো ১০টা এমপিরও তত ক্ষমতা ছিল না। তখনো কিন্তু ৯০০ টাকার জন্য আমি আমার পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করতে পারিনি। বর্তমানে আমি একটা সই দিয়ে এক হাজার ছেলের বেতন মওকুফ করে দিচ্ছি। তখন আমি আমার নিজের বেতন মওকুফ করিনি। কারণ এটা আমার আদর্শ ছিল এবং আছে।’

এখন কেমন জানি সবদিকে খাই খাই ভাব মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ এমপি বলেন, ‘এমন মনে হয় যে, মানচিত্রটাই খেয়ে ফেলবে। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাজ হচ্ছে, ভালো মানুষদের জন্য রাস্তা পরিষ্কার করা। আর বিনিময়ে কিছু না চাওয়া। মানুষের সমালোচনা করা অনেক সহজ, কিন্তু প্রশংসা করা খুব কঠিন। তবে, আমরা চেষ্টা করি সবাইকে ভালো বলতে। সবাই যদি আমরা ভালো কাজ করি তাহলে পৃথিবী ভালো হয়ে যায়। যারা আজ যুদ্ধে লিপ্ত, তারা যদি দুই বছর অস্ত্র তৈরি করা বন্ধ করে, তাহলে পৃথিবীর কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না।’

ট্যাগস :

প্রতিরাতে তওবা করে ঘুমাতে যান শামীম ওসমান

আপডেট সময় ০১:১১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আমরা কেউ জানি না কে আগামীকালের সকাল দেখবো। এ পৃথিবী আপনাকে কিছু দেবে না। দরকার আপনার শেষ ঠিকানা। সত্য হচ্ছে আপনাকে একদিন যেতে হবে। তাই আমি প্রতিরাতে তওবা করে ঘুমাতে যাই।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে শহরের নিতাইগঞ্জে একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আন্তর্জাতিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ‘ভালো’ এর নতুন শাখার উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার বাবা গ্রেফতার হওয়ার পর খুব খারাপভাবে আমাদের দিন গেছে। আওয়ামী লীগের বহু বড় বড় নেতা, কেউ আসেনি তখন। তোলারাম কলেজের ভিপি ছিলাম। ছাত্রনেতা হিসেবে যতটা ক্ষমতাবান ছিলাম, আমার মতো ১০টা এমপিরও তত ক্ষমতা ছিল না। তখনো কিন্তু ৯০০ টাকার জন্য আমি আমার পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করতে পারিনি। বর্তমানে আমি একটা সই দিয়ে এক হাজার ছেলের বেতন মওকুফ করে দিচ্ছি। তখন আমি আমার নিজের বেতন মওকুফ করিনি। কারণ এটা আমার আদর্শ ছিল এবং আছে।’

এখন কেমন জানি সবদিকে খাই খাই ভাব মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ এমপি বলেন, ‘এমন মনে হয় যে, মানচিত্রটাই খেয়ে ফেলবে। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাজ হচ্ছে, ভালো মানুষদের জন্য রাস্তা পরিষ্কার করা। আর বিনিময়ে কিছু না চাওয়া। মানুষের সমালোচনা করা অনেক সহজ, কিন্তু প্রশংসা করা খুব কঠিন। তবে, আমরা চেষ্টা করি সবাইকে ভালো বলতে। সবাই যদি আমরা ভালো কাজ করি তাহলে পৃথিবী ভালো হয়ে যায়। যারা আজ যুদ্ধে লিপ্ত, তারা যদি দুই বছর অস্ত্র তৈরি করা বন্ধ করে, তাহলে পৃথিবীর কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না।’