ঢাকা ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে ছাত্রশিবিরের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

রাজধানীতে চলমান তীব্র গরমে পিপাসার্ত মানুষের মাঝে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা।

সোমবার (২২ এপ্রিল ২০২৪) রাজধানীর মিরপুর এলাকার বিভিন্ন স্পটে এসব সামগ্রী বিতরণ করে দলটি। এতে নেতৃত্ব দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডা. সাদেক আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা সভাপতি এমএ জামান ভূঁইয়া। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর সেক্রেটারি এইচএমএস মাহমুদসহ মহানগর ও থানার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ সুপেয় পানির বোতল ও স্যালাইন বিতরণ করেন।

পানি বিতরণের সময় কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডা. সাদেক আব্দুল্লাহ বলেন, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা! অতিষ্ঠ জনজীবন। গরমের তীব্রতায় বেড়েছে বিদ্যালয়ের ছুটিও। নিকট অতীতে এই ধরনের গরম পরিলক্ষিত হয়নি। সবাই বেশি করে পানি পান করি। খেটে খাওয়া শ্রমিকদের প্রতি সদয় হই। গরমের তীব্রতা আমাদেরকে জাহান্নামের উত্তাপের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সুরা রুমের মধ্যে মহান আল্লাহ বলেছেন, জলে-স্থলে যত বিপর্যয় ঘটে, সব মানুষের হাতের কামাই। একদিকে আমাদের জাগতিক বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের কারণে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করে। অপর দিকে আমাদের গুনাহের কারণে আল্লাহ প্রাকৃতিক শাস্তি দেন। এমতাবস্থায় জাহান্নামের কথা স্মরণ করে আমাদের তাওবা ও গুনাহ বর্জন করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনাবৃষ্টি ও গরমের কারণ চিহ্নিত করে জাগতিক পদক্ষেপ নিতে হবে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের মাধ্যমে ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। এতে আমরা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছি।

তিনি আরও বলেন,  সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যাপকভিত্তিক বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে ধাবিত না হলে দাবদাহের এই অভিশাপ থেকে আমরা সহজে পরিত্রাণ পাব না। তাই আসুন, আমরা গুনাহ বর্জন করি, আল্লাহর কাছে ফিরে আসি এবং দাবদাহ দূরীকরণে সামাজিক সচেতনতা ও শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করি। হে আল্লাহ, আমাদের উপর উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন। কৃষিনির্ভর এই ছোট্ট দেশটিকে আপনার রহমত দিয়ে সজীব বানিয়ে দিন, আমীন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গরম পরিস্থিতিতে আমাদের আশেপাশে অবস্থান করা শ্রমজীবী মেহনতি মানুষদেরকে ভুলে গেলে চলবে না। তাদের সেবা শুশ্রুষাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি সরবরাহ করতে হবে। সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন, প্রাথমিক ঔষধসহ যাবতীয় উপকরণ এসব মানুষের হাতে তুলে দিতে হবে। প্রচণ্ড দাবদাহে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার উদ্যোগে মিরপুর এলাকায় মেহনতি সকল মানুষের হাতে পানি তুলে দিচ্ছি। প্রকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় ছাত্রশিবির প্রতি বছর জুন-জুলাই মাসে লক্ষ লক্ষ বৃক্ষরোপণ করে থাকে। প্রচণ্ড গরমে জনগণের জন্য পথের বিভিন্ন স্থানে সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় সেবা সহযোগিতা নিয়ে মানবতার পাশে থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

রাজধানীতে ছাত্রশিবিরের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

আপডেট সময় ০৫:৫১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানীতে চলমান তীব্র গরমে পিপাসার্ত মানুষের মাঝে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা।

সোমবার (২২ এপ্রিল ২০২৪) রাজধানীর মিরপুর এলাকার বিভিন্ন স্পটে এসব সামগ্রী বিতরণ করে দলটি। এতে নেতৃত্ব দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডা. সাদেক আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা সভাপতি এমএ জামান ভূঁইয়া। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর সেক্রেটারি এইচএমএস মাহমুদসহ মহানগর ও থানার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ সুপেয় পানির বোতল ও স্যালাইন বিতরণ করেন।

পানি বিতরণের সময় কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডা. সাদেক আব্দুল্লাহ বলেন, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা! অতিষ্ঠ জনজীবন। গরমের তীব্রতায় বেড়েছে বিদ্যালয়ের ছুটিও। নিকট অতীতে এই ধরনের গরম পরিলক্ষিত হয়নি। সবাই বেশি করে পানি পান করি। খেটে খাওয়া শ্রমিকদের প্রতি সদয় হই। গরমের তীব্রতা আমাদেরকে জাহান্নামের উত্তাপের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সুরা রুমের মধ্যে মহান আল্লাহ বলেছেন, জলে-স্থলে যত বিপর্যয় ঘটে, সব মানুষের হাতের কামাই। একদিকে আমাদের জাগতিক বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের কারণে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করে। অপর দিকে আমাদের গুনাহের কারণে আল্লাহ প্রাকৃতিক শাস্তি দেন। এমতাবস্থায় জাহান্নামের কথা স্মরণ করে আমাদের তাওবা ও গুনাহ বর্জন করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনাবৃষ্টি ও গরমের কারণ চিহ্নিত করে জাগতিক পদক্ষেপ নিতে হবে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের মাধ্যমে ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। এতে আমরা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছি।

তিনি আরও বলেন,  সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যাপকভিত্তিক বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে ধাবিত না হলে দাবদাহের এই অভিশাপ থেকে আমরা সহজে পরিত্রাণ পাব না। তাই আসুন, আমরা গুনাহ বর্জন করি, আল্লাহর কাছে ফিরে আসি এবং দাবদাহ দূরীকরণে সামাজিক সচেতনতা ও শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করি। হে আল্লাহ, আমাদের উপর উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন। কৃষিনির্ভর এই ছোট্ট দেশটিকে আপনার রহমত দিয়ে সজীব বানিয়ে দিন, আমীন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গরম পরিস্থিতিতে আমাদের আশেপাশে অবস্থান করা শ্রমজীবী মেহনতি মানুষদেরকে ভুলে গেলে চলবে না। তাদের সেবা শুশ্রুষাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি সরবরাহ করতে হবে। সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন, প্রাথমিক ঔষধসহ যাবতীয় উপকরণ এসব মানুষের হাতে তুলে দিতে হবে। প্রচণ্ড দাবদাহে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার উদ্যোগে মিরপুর এলাকায় মেহনতি সকল মানুষের হাতে পানি তুলে দিচ্ছি। প্রকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় ছাত্রশিবির প্রতি বছর জুন-জুলাই মাসে লক্ষ লক্ষ বৃক্ষরোপণ করে থাকে। প্রচণ্ড গরমে জনগণের জন্য পথের বিভিন্ন স্থানে সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় সেবা সহযোগিতা নিয়ে মানবতার পাশে থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।