ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অধ্যক্ষকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিলেন যুবলীগ নেতা, নীরব প্রশাসন বঙ্গোপসাগর উপকূলে লবণবোঝাই ২০ ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ ৭০ ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে : শফিকুর রহমান উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ভোটে উপস্থিতি সন্তোষজনক: ওবায়দুল কাদের মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে : প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেই গ্রেফতার ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক অনিয়মের অভিযোগে বগুড়ায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ আটক ২ ৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ হতে পারে বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল নেদারল্যান্ডস; আটক ১৬৯ বার্নাব্যুতে আজ রিয়াল-বায়ার্ন মহারণের অপেক্ষায় ফুটবল দুনিয়া

রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে প্রযুক্তিকে দোষারোপ বার্সালোনার

জমজমাট ‘এলক্লাসিকো’তে দুইবার পিছিয়ে পড়েও শেষমেষ বার্সেলোনাকে ৩-২ হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এ নিয়ে শেষ চার দেখায় ৪টিতেই হারলো বার্সা।

রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের মূল সময়ের খেলা ছিল ২-২ সমতায়। তবে অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটেই দারুণ একটি গোল করে রিয়ালকে ৩-২ ব্যবধানে জয় এনে দেন জুড বেলিংহাম।

দুইবার এগিয়ে গিয়েও শেষমেষ রিয়ালের কাছে হার মানতেই পারেছেন বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ ও গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেন। হারের পর প্রযুক্তিকে দোষারোপ করেছেন তারা। তাদের দাবি, গোল-লাইনে কোনো ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার না করায় হেরেছে বার্সা।

জাভি ও স্টেগেনের দাবি, প্রথমার্ধে লামিন ইয়ামালের শট করা একটি বল গোললাইনের ভেতর থেকে বের করে নিয়ে এসেছেন রিয়ালের গোলরক্ষক আন্দ্রিয়ে লুমিন। অর্থাৎ গোল হওয়ার পর সেই বল বাইরে নিয়ে আসছেন তিনি। গোল হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করার জন্য ভিএআরের সাহায্য নেওয়া হয়নি। অর্থাৎ গোললাইনে কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করেনি লা লিগা কর্তৃপক্ষ। এখানেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বার্সা।

স্টেগেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গোল-লাইনে কী ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করার মতো শব্দ আমি খুঁজে পাচ্ছি না। এটা ফুটবলের জন্য বিব্রতকর। এই শিল্পে প্রচুর বিনিয়োগ আছে। কিন্তু যেটি গুরুত্বপূর্ণ সেটির জন্য অর্থ ব্যয় করা হয়নি। আমি বুঝতে পারছি না যে, অন্যান্য লিগে প্রযুক্তির জন্য অর্থ ব্যয় করা হলে এখানে কেন তা বাস্তবায়ন করা হবে না।’

স্টেগেনের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন কোচ জাভিও। এ বিষয়ে জাভি বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণরূপে একমত (স্টেগেনের সঙ্গে)। এটা বিব্রতকর যে গোল-লাইন প্রযুক্তি নেই। আমরা যদি বলতে চাই এটি বিশ্বের সেরা লিগ, আমাদের এটি দরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবাই এটা দেখেছে। আমি কী বলব? (লীগ) আমাকে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। কিন্তু ছবি আছে। আজকের অনুভূতি সম্পূর্ণ অবিচারের।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

অধ্যক্ষকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিলেন যুবলীগ নেতা, নীরব প্রশাসন

রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে প্রযুক্তিকে দোষারোপ বার্সালোনার

আপডেট সময় ০৪:১৯:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

জমজমাট ‘এলক্লাসিকো’তে দুইবার পিছিয়ে পড়েও শেষমেষ বার্সেলোনাকে ৩-২ হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এ নিয়ে শেষ চার দেখায় ৪টিতেই হারলো বার্সা।

রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের মূল সময়ের খেলা ছিল ২-২ সমতায়। তবে অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটেই দারুণ একটি গোল করে রিয়ালকে ৩-২ ব্যবধানে জয় এনে দেন জুড বেলিংহাম।

দুইবার এগিয়ে গিয়েও শেষমেষ রিয়ালের কাছে হার মানতেই পারেছেন বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ ও গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেন। হারের পর প্রযুক্তিকে দোষারোপ করেছেন তারা। তাদের দাবি, গোল-লাইনে কোনো ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার না করায় হেরেছে বার্সা।

জাভি ও স্টেগেনের দাবি, প্রথমার্ধে লামিন ইয়ামালের শট করা একটি বল গোললাইনের ভেতর থেকে বের করে নিয়ে এসেছেন রিয়ালের গোলরক্ষক আন্দ্রিয়ে লুমিন। অর্থাৎ গোল হওয়ার পর সেই বল বাইরে নিয়ে আসছেন তিনি। গোল হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করার জন্য ভিএআরের সাহায্য নেওয়া হয়নি। অর্থাৎ গোললাইনে কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করেনি লা লিগা কর্তৃপক্ষ। এখানেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বার্সা।

স্টেগেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গোল-লাইনে কী ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করার মতো শব্দ আমি খুঁজে পাচ্ছি না। এটা ফুটবলের জন্য বিব্রতকর। এই শিল্পে প্রচুর বিনিয়োগ আছে। কিন্তু যেটি গুরুত্বপূর্ণ সেটির জন্য অর্থ ব্যয় করা হয়নি। আমি বুঝতে পারছি না যে, অন্যান্য লিগে প্রযুক্তির জন্য অর্থ ব্যয় করা হলে এখানে কেন তা বাস্তবায়ন করা হবে না।’

স্টেগেনের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন কোচ জাভিও। এ বিষয়ে জাভি বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণরূপে একমত (স্টেগেনের সঙ্গে)। এটা বিব্রতকর যে গোল-লাইন প্রযুক্তি নেই। আমরা যদি বলতে চাই এটি বিশ্বের সেরা লিগ, আমাদের এটি দরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবাই এটা দেখেছে। আমি কী বলব? (লীগ) আমাকে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। কিন্তু ছবি আছে। আজকের অনুভূতি সম্পূর্ণ অবিচারের।’