ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সভাপতির দায়িত্ব নিচ্ছেন ব্যারিস্টার খোকন

দলীয় ফোরামের ‘না’ সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এক মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। তবে এর আগে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চার জনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে চিঠি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। গত বুধবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এবং মহাসচিব এক চিঠি দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনকে বিরত থাকতে বলেন।

চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিগত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ১০ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সঙ্গত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে, আপনাকে বা আপনাদের এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি বা আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। আপনি বা আপনারা দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।

ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন দলীয় ফোরামের ওই চিঠি সম্পর্কে বলেন, সংগঠনের দেয়া চিঠিতে সুপ্রিম কোর্ট বারে পুন:নির্বাচনের দাবির সঙ্গে আমি এক মত। আমি কিন্তু ওই দিনই ভোট পুনর্গণনার দাবি করেছি। সেই আবেদন তখন কমিশন গ্রহণ করেনি। পুরো প্যানেলে আমরা কমপক্ষে ১২ জন এগিয়ে ছিলাম।

পুননির্বাচনের দাবিতে আমরা এখনও অটল। আমার সভাপতি পদেও আমি পুনর্নির্বাচন চাই। এটি হলে আমি খুশি হব। আইনজীবীরাও খুশি হবেন। আর পুনর্নির্বাচন যদি না হয়, আমি সভাপতি পদসহ চারটি পদে বিজয় হয়েছি। এখনতো আর পদত্যাগের সুযোগ নেই।

এছাড়া শুধু এই চারপদেও পুন:নির্বাচনের সুযোগ নাই। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একজন শীর্ষ নেতার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘তার ভূমিকা রহস্যজনক। আওয়ামী লীগকে পুরো প্যানেল দিতে ওই নেতা ভোট গণনার সময় বিরত থাকতে অনুরোধ করেছিলেন। ভোট যাই হোক গণনা সুষ্ঠু হলে কম করে হলেও আমরা ১৩টি পদে জয়ী হতে পারতাম।

ফোরামের চিঠি প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার খোকন বলেন, কে কী বলল, সেটা দেখার বিষয় নয়। আমার পরাজয়ের কোনো ইতিহাস নেই। সে সময় তারা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তা না হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে জয়ী হতে পারতাম। দায়িত্ব না নেয়া সংক্রান্ত সংগঠনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত। দায়িত্ব নেয়া বা না নেয়ার কী আছে?

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে সম্পাদক পদে শাহ মঞ্জুরুল হকসহ ১০টি পদে আওয়ামী লীগের প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে , ‘প্রাণের অস্তিত্ব নেই’

দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সভাপতির দায়িত্ব নিচ্ছেন ব্যারিস্টার খোকন

আপডেট সময় ০৩:৫৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

দলীয় ফোরামের ‘না’ সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এক মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। তবে এর আগে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চার জনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে চিঠি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। গত বুধবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এবং মহাসচিব এক চিঠি দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনকে বিরত থাকতে বলেন।

চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিগত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ১০ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সঙ্গত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে, আপনাকে বা আপনাদের এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি বা আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। আপনি বা আপনারা দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।

ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন দলীয় ফোরামের ওই চিঠি সম্পর্কে বলেন, সংগঠনের দেয়া চিঠিতে সুপ্রিম কোর্ট বারে পুন:নির্বাচনের দাবির সঙ্গে আমি এক মত। আমি কিন্তু ওই দিনই ভোট পুনর্গণনার দাবি করেছি। সেই আবেদন তখন কমিশন গ্রহণ করেনি। পুরো প্যানেলে আমরা কমপক্ষে ১২ জন এগিয়ে ছিলাম।

পুননির্বাচনের দাবিতে আমরা এখনও অটল। আমার সভাপতি পদেও আমি পুনর্নির্বাচন চাই। এটি হলে আমি খুশি হব। আইনজীবীরাও খুশি হবেন। আর পুনর্নির্বাচন যদি না হয়, আমি সভাপতি পদসহ চারটি পদে বিজয় হয়েছি। এখনতো আর পদত্যাগের সুযোগ নেই।

এছাড়া শুধু এই চারপদেও পুন:নির্বাচনের সুযোগ নাই। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একজন শীর্ষ নেতার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘তার ভূমিকা রহস্যজনক। আওয়ামী লীগকে পুরো প্যানেল দিতে ওই নেতা ভোট গণনার সময় বিরত থাকতে অনুরোধ করেছিলেন। ভোট যাই হোক গণনা সুষ্ঠু হলে কম করে হলেও আমরা ১৩টি পদে জয়ী হতে পারতাম।

ফোরামের চিঠি প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার খোকন বলেন, কে কী বলল, সেটা দেখার বিষয় নয়। আমার পরাজয়ের কোনো ইতিহাস নেই। সে সময় তারা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তা না হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে জয়ী হতে পারতাম। দায়িত্ব না নেয়া সংক্রান্ত সংগঠনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত। দায়িত্ব নেয়া বা না নেয়ার কী আছে?

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে সম্পাদক পদে শাহ মঞ্জুরুল হকসহ ১০টি পদে আওয়ামী লীগের প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।