ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আইনের শাসন বলে যে জিনিস, কোথাও সেটা পাচ্ছিনা: ড. ইউনূস

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
  • 40

আইনের শাসন বলে যে জিনিস, কোথাও সেটা পাচ্ছিনা: ড. ইউনূস

আইনের শাসন বলে যে জিনিস, সেটা কোথাও পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে হাজিরা দেওয়া শেষে সাংবাদিক প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এদিন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণের জন্য ছিলো। আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন রমজানের দিন। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন, বালা-মুসিবত থেকে আমরা বাঁচি। আমাদের ওপর অনেক বালা-মুসিবত। আমার ওপর ব্যক্তিগত বালা-মুসিবত, সহকর্মীদের ওপর এবং দেশের ওপরও। তার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা দোয়া করি। সামনে ঈদ আসছে, খুশির দিন। আমরা যেন সত্যি সত্যি খুশির ঈদ উদযাপন করতে পারি। তার সঙ্গে পহেলা বৈশাখ। আরও খুশি, সবকিছু এক সাথে। এর মধ্যে বালা-মুসিবত থেকে কীভাবে উদ্ধার পাব সবাই মিলে চিন্তা-ভাবনা করি। এককভাবে আমরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত, তেমনি বালা-মুসিবতে সমষ্টিগতভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত। কাজেই এগুলো থেকে অতিক্রম করতে না পারলে আমাদের মুক্তি নাই, রেহাই নাই। মানুষের রেহাই পাওয়ার রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা নিজের মনে কাজ করে যাই, করে যাচ্ছিলাম। কোনো বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব নিয়ে কাজ করি না। কতগুলো অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করি, সত্য নিয়ে কাজ করি। দেশ-বিদেশের মানুষ বিশ্বাস করছে যে কারণে তারা উৎসাহিত। মনে হয়েছে এটা মানুষের মঙ্গলের জন্য। সেজন্য দেশ-বিদেশের নেতারা এটা জানতে চায়, বুঝতে চায়। নিজ দেশে প্রয়োগ করতে চায়। এজন্য নানা দেশে যাই, যেতে হয়। নিজের ফুর্তির জন্য যাওয়া তো না, এটা তাদের নেহায়েত আগ্রহে। আমার মাঝে মাঝে দুঃখ হয়, সারা দুনিয়া বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখতে চায়। আমাদের গৌরববোধ করতে হয়। তা না করে আমরা এমন কাজ করছি, আমরা যেন পাপের কাজ করে ফেলেছি। এমন অনুভূতি হওয়ার তো কোনো কারণ ছিল না।

এ নোবেলজয়ী বলেন, বর্তমানে আমরা যেভাবে অগ্রসর হচ্ছি, সারা দুনিয়া অগ্রসর হচ্ছে তাতে দুনিয়া সর্বশান্ত হয়ে যাবে, শেষ হয়ে যাবে, বিনষ্ট হয়ে যাবে। সেটা থেকে উদ্ধারের একটা রাস্তা সৃষ্টি করেছি। সেটা নিয়ে মানুষের আগ্রহ। তারা বিশ্বাস করছে, এ রাস্তা করলে সারা দুনিয়া উদ্ধার পাবে। তবে আমরা পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

এখন থেকে ১৫ দিনে বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করবে পিএসসি

আইনের শাসন বলে যে জিনিস, কোথাও সেটা পাচ্ছিনা: ড. ইউনূস

আপডেট সময় ০৯:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

আইনের শাসন বলে যে জিনিস, সেটা কোথাও পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে হাজিরা দেওয়া শেষে সাংবাদিক প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এদিন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণের জন্য ছিলো। আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন রমজানের দিন। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন, বালা-মুসিবত থেকে আমরা বাঁচি। আমাদের ওপর অনেক বালা-মুসিবত। আমার ওপর ব্যক্তিগত বালা-মুসিবত, সহকর্মীদের ওপর এবং দেশের ওপরও। তার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা দোয়া করি। সামনে ঈদ আসছে, খুশির দিন। আমরা যেন সত্যি সত্যি খুশির ঈদ উদযাপন করতে পারি। তার সঙ্গে পহেলা বৈশাখ। আরও খুশি, সবকিছু এক সাথে। এর মধ্যে বালা-মুসিবত থেকে কীভাবে উদ্ধার পাব সবাই মিলে চিন্তা-ভাবনা করি। এককভাবে আমরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত, তেমনি বালা-মুসিবতে সমষ্টিগতভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত। কাজেই এগুলো থেকে অতিক্রম করতে না পারলে আমাদের মুক্তি নাই, রেহাই নাই। মানুষের রেহাই পাওয়ার রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা নিজের মনে কাজ করে যাই, করে যাচ্ছিলাম। কোনো বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব নিয়ে কাজ করি না। কতগুলো অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করি, সত্য নিয়ে কাজ করি। দেশ-বিদেশের মানুষ বিশ্বাস করছে যে কারণে তারা উৎসাহিত। মনে হয়েছে এটা মানুষের মঙ্গলের জন্য। সেজন্য দেশ-বিদেশের নেতারা এটা জানতে চায়, বুঝতে চায়। নিজ দেশে প্রয়োগ করতে চায়। এজন্য নানা দেশে যাই, যেতে হয়। নিজের ফুর্তির জন্য যাওয়া তো না, এটা তাদের নেহায়েত আগ্রহে। আমার মাঝে মাঝে দুঃখ হয়, সারা দুনিয়া বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখতে চায়। আমাদের গৌরববোধ করতে হয়। তা না করে আমরা এমন কাজ করছি, আমরা যেন পাপের কাজ করে ফেলেছি। এমন অনুভূতি হওয়ার তো কোনো কারণ ছিল না।

এ নোবেলজয়ী বলেন, বর্তমানে আমরা যেভাবে অগ্রসর হচ্ছি, সারা দুনিয়া অগ্রসর হচ্ছে তাতে দুনিয়া সর্বশান্ত হয়ে যাবে, শেষ হয়ে যাবে, বিনষ্ট হয়ে যাবে। সেটা থেকে উদ্ধারের একটা রাস্তা সৃষ্টি করেছি। সেটা নিয়ে মানুষের আগ্রহ। তারা বিশ্বাস করছে, এ রাস্তা করলে সারা দুনিয়া উদ্ধার পাবে। তবে আমরা পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছি।