ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল Logo চলতি বছর বাংলাদেশে ৩০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে: বিশ্বব্যাংক Logo জাহাঙ্গীর আলম ও তাসনিম জারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ Logo তরুণ প্রজন্ম মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম: ড. ইউনূস Logo ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত Logo নোয়াখালীতে শিক্ষককে মারধর-অপদস্থ, সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে Logo কাতার ফাউন্ডেশনের প্রতিশ্রুতিতে উচ্ছ্বসিত নারী ক্রীড়াবিদরা Logo “সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে তিনদিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo সুস্থ দেহে সুন্দর মন,দ্বীন কায়েমের আন্দোলন” Logo জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ, ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

ভারতে এক হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় নবজাতকসহ ২৪ মৃত্যু

ভারতে এক হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় নবজাতকসহ ২৪ মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মহারাষ্ট্রের নান্দেডের একটি সরকারি হাসপাতালে ১২ নবজাতক এবং অনেক প্রাপ্তবয়স্ক মারা গেছে। ওষুধ ও কর্মীর ঘাটতিকে দায়ী করে হাসপাতালের ডিন এ তথ্য জানিয়েছেন। নান্দেডের শঙ্কররাও চ্যাভান সরকারি হাসপাতালের ডিন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন।

তবে তাদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে সাপের কামড়ে। ডিন বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়টি ছেলেশিশু ও ছয়টি মেয়েশিশুর মৃত্যু হয়েছে। ১২ জন প্রাপ্তবয়স্কও বিভিন্ন রোগের কারণে মারা গেছেন, অধিকাংশই সাপের কামড়ে। বিভিন্ন কর্মীদের স্থানান্তর করায় আমরা কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। তিনি জানান, হাসপাতালটি একটি তৃতীয় স্তরের পরিচর্যাকেন্দ্র এবং ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে এটিই একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র। তাই রোগীরা দূর-দূরান্ত থেকে তাদের কাছে আসে। তবে গত কয়েক দিনে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এতে বাজেট নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়।

হাফকাইন নামের একটি ইনস্টিটিউটের কথা উল্লেখ করে ডিন বলেন, ‘আমাদের তাদের কাছ থেকে ওষুধ কেনার কথা ছিল। কিন্তু সেটাও হয়নি। আমরা স্থানীয়ভাবে ওষুধ কিনে রোগীদের দিয়েছি। মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা অশোক চভান হাসপাতাল পরিদর্শন করে বলেন, ‘মোট ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। ৭০ জন এখনো গুরুতর অবস্থায়।

চিকিৎসাসুবিধা ও কর্মীদের অভাব রয়েছে। অনেক নার্সকে বদলি করা হয়েছিল এবং তাদের বদলে কাউকে দেওয়া হয়নি। অনেক মেশিন কাজ করছে না। হাসপাতালের ধারণক্ষমতা ৫০০, কিন্তু এক হাজার ২০০ রোগী ভর্তি করা হয়েছে। আমি অজিত পাওয়ারের সংগে কথা বলব। সরকারের উচিত বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। এদিকে এতজনের মৃত্যুকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে মুম্বাইতে সাংবাদিকদের বলেছেন, হাসপাতালে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে আরো তথ্য চাওয়া হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনার পর রাজ্যের একনাথ শিন্ডে সরকারের ওপর মহারাষ্ট্রের বিরোধীরা সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করেছে। তারা বলছে, ‘ট্রিপল-ইঞ্জিন সরকারের (বিজেপি, একনাথ শিন্ডে সেনা ও এনসিপির অজিত পাওয়ার দল) এর দায় নেওয়া উচিত’। শারদ পাওয়ারের এনসিপির মুখপাত্র বিকাশ লওয়ান্ডে এক্সে লিখেছেন, ‘নান্দেডের সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ১২ নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকারের ওষুধ সরবরাহের অভাবে ঘটেছে। এটি এমন একটি সরকারের জন্য লজ্জাজনক, যারা শুধুমাত্র উৎসব ও অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেয়।’

জনপ্রিয় সংবাদ

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল

ভারতে এক হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় নবজাতকসহ ২৪ মৃত্যু

আপডেট সময় ১১:২৭:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মহারাষ্ট্রের নান্দেডের একটি সরকারি হাসপাতালে ১২ নবজাতক এবং অনেক প্রাপ্তবয়স্ক মারা গেছে। ওষুধ ও কর্মীর ঘাটতিকে দায়ী করে হাসপাতালের ডিন এ তথ্য জানিয়েছেন। নান্দেডের শঙ্কররাও চ্যাভান সরকারি হাসপাতালের ডিন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন।

তবে তাদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে সাপের কামড়ে। ডিন বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়টি ছেলেশিশু ও ছয়টি মেয়েশিশুর মৃত্যু হয়েছে। ১২ জন প্রাপ্তবয়স্কও বিভিন্ন রোগের কারণে মারা গেছেন, অধিকাংশই সাপের কামড়ে। বিভিন্ন কর্মীদের স্থানান্তর করায় আমরা কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। তিনি জানান, হাসপাতালটি একটি তৃতীয় স্তরের পরিচর্যাকেন্দ্র এবং ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে এটিই একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র। তাই রোগীরা দূর-দূরান্ত থেকে তাদের কাছে আসে। তবে গত কয়েক দিনে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এতে বাজেট নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়।

হাফকাইন নামের একটি ইনস্টিটিউটের কথা উল্লেখ করে ডিন বলেন, ‘আমাদের তাদের কাছ থেকে ওষুধ কেনার কথা ছিল। কিন্তু সেটাও হয়নি। আমরা স্থানীয়ভাবে ওষুধ কিনে রোগীদের দিয়েছি। মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা অশোক চভান হাসপাতাল পরিদর্শন করে বলেন, ‘মোট ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। ৭০ জন এখনো গুরুতর অবস্থায়।

চিকিৎসাসুবিধা ও কর্মীদের অভাব রয়েছে। অনেক নার্সকে বদলি করা হয়েছিল এবং তাদের বদলে কাউকে দেওয়া হয়নি। অনেক মেশিন কাজ করছে না। হাসপাতালের ধারণক্ষমতা ৫০০, কিন্তু এক হাজার ২০০ রোগী ভর্তি করা হয়েছে। আমি অজিত পাওয়ারের সংগে কথা বলব। সরকারের উচিত বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। এদিকে এতজনের মৃত্যুকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে মুম্বাইতে সাংবাদিকদের বলেছেন, হাসপাতালে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে আরো তথ্য চাওয়া হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনার পর রাজ্যের একনাথ শিন্ডে সরকারের ওপর মহারাষ্ট্রের বিরোধীরা সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করেছে। তারা বলছে, ‘ট্রিপল-ইঞ্জিন সরকারের (বিজেপি, একনাথ শিন্ডে সেনা ও এনসিপির অজিত পাওয়ার দল) এর দায় নেওয়া উচিত’। শারদ পাওয়ারের এনসিপির মুখপাত্র বিকাশ লওয়ান্ডে এক্সে লিখেছেন, ‘নান্দেডের সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ১২ নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকারের ওষুধ সরবরাহের অভাবে ঘটেছে। এটি এমন একটি সরকারের জন্য লজ্জাজনক, যারা শুধুমাত্র উৎসব ও অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেয়।’