ঢাকা ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ইসরাইলকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আল-আকসায় তারাবি পড়লো ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি

রমজানে পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে নামাজের সুযোগ পেয়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানে নামাজ আদায় করেন তারা। ভেতরে প্রবেশের সুযোগ না পেয়ে বাইরে জামাতে সালাত আদায় করেন অনেকে। ‘ওয়াফা’র বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা ওয়াফাকে জানিয়েছে, অনেক যুবককে মসজিদে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এর আগে, রোববার (১০ মার্চ) রমজানের প্রথম তারাবি পড়তে গেলে ফিলিস্তিনিদের বাধা দেয় নিরাপত্তাকর্মীরা। এমনকি লাঠিচার্জ আর ধরপাকড়ও চালায়। তৈরি হয় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা।

গত মাসে এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিদের রমজানের শুরুতে আল আকসায় মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। মসজিদ কম্পাউন্ডে নতুন করে কড়াকড়ির ঘোষণা দেয় ইসরায়েলি প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা এলাকাটিকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে। প্রাচীনকালে দুটি ইহুদি মন্দিরের স্থান এখানে ছিল বলে দাবি তাদের।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ জয়ের মধ্য দিয়ে আল আকসার নিয়ন্ত্রণ হারায় মুসলমানরা। জায়গাটি দখল করে ইসরায়েল। এর আগে, এটি জর্ডানের শাসকদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বর্তমানে আকসা কমপ্লেক্স ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মসজিদ পরিচালিত হয় জর্ডান-ফিলিস্তিনের একটি ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে।

বর্তমানে এ মসজিদে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। এর প্রবেশপথগুলোতে মোতায়েন করা থাকে ইহুদি দখলদার সেনা। ইসরায়েলের মুসলিম বাসিন্দা এবং পূর্ব জেরুজালেমে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা মসজিদুল আকসায় প্রবেশ ও নামাজ আদায় করতে পারেন। যদিও গাজার অধিবাসীদের জন্য বিধিনিষেধ অনেক বেশি কঠোর।

কারাগার থেকে হাসপাতালে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মন্ত্রী মান্নান

ইসরাইলকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আল-আকসায় তারাবি পড়লো ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি

আপডেট সময় ০১:১৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

রমজানে পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে নামাজের সুযোগ পেয়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানে নামাজ আদায় করেন তারা। ভেতরে প্রবেশের সুযোগ না পেয়ে বাইরে জামাতে সালাত আদায় করেন অনেকে। ‘ওয়াফা’র বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা ওয়াফাকে জানিয়েছে, অনেক যুবককে মসজিদে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এর আগে, রোববার (১০ মার্চ) রমজানের প্রথম তারাবি পড়তে গেলে ফিলিস্তিনিদের বাধা দেয় নিরাপত্তাকর্মীরা। এমনকি লাঠিচার্জ আর ধরপাকড়ও চালায়। তৈরি হয় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা।

গত মাসে এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিদের রমজানের শুরুতে আল আকসায় মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। মসজিদ কম্পাউন্ডে নতুন করে কড়াকড়ির ঘোষণা দেয় ইসরায়েলি প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা এলাকাটিকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে। প্রাচীনকালে দুটি ইহুদি মন্দিরের স্থান এখানে ছিল বলে দাবি তাদের।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ জয়ের মধ্য দিয়ে আল আকসার নিয়ন্ত্রণ হারায় মুসলমানরা। জায়গাটি দখল করে ইসরায়েল। এর আগে, এটি জর্ডানের শাসকদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বর্তমানে আকসা কমপ্লেক্স ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মসজিদ পরিচালিত হয় জর্ডান-ফিলিস্তিনের একটি ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে।

বর্তমানে এ মসজিদে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। এর প্রবেশপথগুলোতে মোতায়েন করা থাকে ইহুদি দখলদার সেনা। ইসরায়েলের মুসলিম বাসিন্দা এবং পূর্ব জেরুজালেমে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা মসজিদুল আকসায় প্রবেশ ও নামাজ আদায় করতে পারেন। যদিও গাজার অধিবাসীদের জন্য বিধিনিষেধ অনেক বেশি কঠোর।