ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালের বাকেরগঞ্জে মসজিদের ইমামের ধর্ষণে দশম শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা

  • রুহুল আমীন
  • আপডেট সময় ০৪:৫২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • 315

বরিশালের বাকেরগঞ্জে মসজিদের ইমামের ধর্ষণে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগে আদালতে নালিশি মামলা হয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন অভিযোগ এজাহার হিসেবে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামি আবু বক্কর ছিদ্দিক বাকেরগঞ্জ উপজেলার উত্তর কাজলাকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দক্ষিণ কাজলাকাঠী মিরুল্লাহ জামে মসজিদের ইমাম। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কাজী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আবু বক্কর ছিদ্দিক চার বছর ধরে ওই মসজিদে ইমামতি করেন। মসজিদের পাশের একটি কক্ষে বাস করতেন তিনি। সেখানে ওই মেয়েকে তিনি প্রাইভেট পড়াতেন।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০২৩ সালের ১৭ জুন তাকে প্রথম ধর্ষণ করেন। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হলে তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। ৩ মার্চ তাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যায় পরিবার। তখন শারীরিক পরীক্ষায় তার ৩৫ সপ্তাহ ৬ দিনের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি সামনে আসে।’ এ ঘটনায় প্রথমে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরে আদালতে মামলা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আসিম জাওয়াদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

বরিশালের বাকেরগঞ্জে মসজিদের ইমামের ধর্ষণে দশম শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা

আপডেট সময় ০৪:৫২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

বরিশালের বাকেরগঞ্জে মসজিদের ইমামের ধর্ষণে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগে আদালতে নালিশি মামলা হয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন অভিযোগ এজাহার হিসেবে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামি আবু বক্কর ছিদ্দিক বাকেরগঞ্জ উপজেলার উত্তর কাজলাকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দক্ষিণ কাজলাকাঠী মিরুল্লাহ জামে মসজিদের ইমাম। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কাজী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আবু বক্কর ছিদ্দিক চার বছর ধরে ওই মসজিদে ইমামতি করেন। মসজিদের পাশের একটি কক্ষে বাস করতেন তিনি। সেখানে ওই মেয়েকে তিনি প্রাইভেট পড়াতেন।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০২৩ সালের ১৭ জুন তাকে প্রথম ধর্ষণ করেন। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হলে তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। ৩ মার্চ তাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যায় পরিবার। তখন শারীরিক পরীক্ষায় তার ৩৫ সপ্তাহ ৬ দিনের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি সামনে আসে।’ এ ঘটনায় প্রথমে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরে আদালতে মামলা হয়েছে।