ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুয়া খেলা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৩০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুয়া খেলা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) উপজেলার বিরাশার পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ১০টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও অন্তত ৩০টি বাড়ি লুটপাট হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার রাতে জুয়া খেলা নিয়ে কাশেম মাস্টার ও বাবুল মিয়ার গোষ্ঠীর সদস্য আল আমিনের সঙ্গে তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন ও দুলাল আনসারি গোষ্ঠীর সদস্য নুরুল্লা এবং সুজনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সোমবার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। ১০টি বাড়িঘর আগুনেপুড়িয়ে অন্তত ৩০টি বাড়িঘর লুটপাট চলে।

খবর পেয়ে নাটাই উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আবুল কাশেমসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

এ সময় চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ জানান, জুয়া খেলার ঘটনা নিয়ে একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে সংর্ঘষের সূত্রপাত হয়। সোমবার সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ব্যর্থ হই। আজ কয়েকভাবে বিভক্ত হয়ে তারা সংর্ঘষে লিপ্ত হয়।

এদিকে আড়াই ঘন্টার বেশি সংঘর্ষের খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ সহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় দাঙ্গাবাজদের হামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মো. সোহেল সহ ৪ পুলিশ সদস্য ও উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন জানায়, সদর থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মো. সোহেল সহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫ রাউন্ড গুলি ও একটি বিদেশি পিস্তলসহ দুজনকে আটক করেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের ভস্মীভূত, ‘প্রাণের অস্তিত্ব নেই’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুয়া খেলা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৩০

আপডেট সময় ০৫:০৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুয়া খেলা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) উপজেলার বিরাশার পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ১০টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও অন্তত ৩০টি বাড়ি লুটপাট হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার রাতে জুয়া খেলা নিয়ে কাশেম মাস্টার ও বাবুল মিয়ার গোষ্ঠীর সদস্য আল আমিনের সঙ্গে তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন ও দুলাল আনসারি গোষ্ঠীর সদস্য নুরুল্লা এবং সুজনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সোমবার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। ১০টি বাড়িঘর আগুনেপুড়িয়ে অন্তত ৩০টি বাড়িঘর লুটপাট চলে।

খবর পেয়ে নাটাই উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আবুল কাশেমসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

এ সময় চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ জানান, জুয়া খেলার ঘটনা নিয়ে একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে সংর্ঘষের সূত্রপাত হয়। সোমবার সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ব্যর্থ হই। আজ কয়েকভাবে বিভক্ত হয়ে তারা সংর্ঘষে লিপ্ত হয়।

এদিকে আড়াই ঘন্টার বেশি সংঘর্ষের খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ সহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় দাঙ্গাবাজদের হামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মো. সোহেল সহ ৪ পুলিশ সদস্য ও উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন জানায়, সদর থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মো. সোহেল সহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫ রাউন্ড গুলি ও একটি বিদেশি পিস্তলসহ দুজনকে আটক করেছেন।