ঢাকা ০৪:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বরিশালে ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন Logo পাবিপ্রবিতে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভুয়া সংবাদ প্রচারের নিন্দা Logo জাতির কাছে বিচার চাইলেন বনি আমিন Logo ডাকসুর প্রথম কার্যনির্বাহী সভায় কী সিদ্ধান্ত হলো ? Logo কারো চাকরি নয়,মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য : প্রধান উপদেষ্টা Logo সুন্দরগঞ্জে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি গড়ার প্রত্যয়ে করেন বাবুল আহমেদ Logo পাবনায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে Logo আবারও পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন এই নিয়ে ১২১ বার Logo ফরিদপুরে অবরোধ না তুললে, বলপ্রয়োগে সরানো হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo পাথর লুটের ঘটনায় পদ স্থগিত বিএনপি নেতা সাহাব গ্রেপ্তার

গাজায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যে কোনো সময়

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশ জোরালো হয়েছে। মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের কাছ থেকে যে কোনো সময় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসতে পারে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে যেসব মতানৈক্য ছিল সেগুলোতে সবপক্ষ একমতে পৌঁছেছে। এখন চূড়ান্ত ঘোষণার বিস্তারিত প্রস্তুত করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমটি আরও বলেছে, কাতারের পক্ষ থেকে খুব দ্রুতই এ ব্যাপারে ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের আলোচকরা একই ভবনে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা হচ্ছে। যার অর্থ যুদ্ধবিরতি যে কোনো মুহূর্তে হবে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে যুদ্ধবিরতির চুক্তিটির খসড়া ফাঁস হয়েছে। এতে দেখা গেছে এটি তিনটি ধাপে কার্যকর হবে।

প্রথম ধাপে ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। যার মধ্যে নারী ইসরায়েলি সেনাও থাকবে। আর একেকজন নারী সেনার জন্য ইসরায়েল ৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। আর একেকজন বেসামরিকের বদলে ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে দখলদার ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে আরও বলা হয়েছে, গাজার ফিলাডেলফি করিডর (গাজা ও মিসর সীমান্ত) থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হবে। এটি কার্যকর হবে চুক্তির প্রথম ধাপের শেষ দিকে।

দ্বিতীয় ধাপটি শুরু হবে চুক্তি কার্যকরের ১৬তম দিনে। ওই সময়টায় গাজায় জিম্মি থাকা বাকি ইসরায়েলি সেনা ও পুরুষদের মুক্তির ব্যাপারে আলোচনা হবে।

তৃতীয় ধাপে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে থাকবে গাজায় হামাসের বিকল্প একটি প্রশাসন তৈরি করা এবং গাজাকে পুনর্গঠন করা।

এছাড়া চুক্তির অন্যান্য জায়গায় নিরাপত্তার বিষয়টির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি সেনারা উত্তর গাজায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজ বাড়িতে ফিরতে দেবে। তবে হামাস বা অন্যান্য কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী যেন অস্ত্র নিয়ে সেখানে যেতে না পারে সেটি নিশ্চিত করবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন

গাজায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যে কোনো সময়

আপডেট সময় ০৪:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশ জোরালো হয়েছে। মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের কাছ থেকে যে কোনো সময় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসতে পারে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে যেসব মতানৈক্য ছিল সেগুলোতে সবপক্ষ একমতে পৌঁছেছে। এখন চূড়ান্ত ঘোষণার বিস্তারিত প্রস্তুত করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমটি আরও বলেছে, কাতারের পক্ষ থেকে খুব দ্রুতই এ ব্যাপারে ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের আলোচকরা একই ভবনে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা হচ্ছে। যার অর্থ যুদ্ধবিরতি যে কোনো মুহূর্তে হবে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে যুদ্ধবিরতির চুক্তিটির খসড়া ফাঁস হয়েছে। এতে দেখা গেছে এটি তিনটি ধাপে কার্যকর হবে।

প্রথম ধাপে ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। যার মধ্যে নারী ইসরায়েলি সেনাও থাকবে। আর একেকজন নারী সেনার জন্য ইসরায়েল ৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। আর একেকজন বেসামরিকের বদলে ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে দখলদার ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে আরও বলা হয়েছে, গাজার ফিলাডেলফি করিডর (গাজা ও মিসর সীমান্ত) থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হবে। এটি কার্যকর হবে চুক্তির প্রথম ধাপের শেষ দিকে।

দ্বিতীয় ধাপটি শুরু হবে চুক্তি কার্যকরের ১৬তম দিনে। ওই সময়টায় গাজায় জিম্মি থাকা বাকি ইসরায়েলি সেনা ও পুরুষদের মুক্তির ব্যাপারে আলোচনা হবে।

তৃতীয় ধাপে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে থাকবে গাজায় হামাসের বিকল্প একটি প্রশাসন তৈরি করা এবং গাজাকে পুনর্গঠন করা।

এছাড়া চুক্তির অন্যান্য জায়গায় নিরাপত্তার বিষয়টির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি সেনারা উত্তর গাজায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজ বাড়িতে ফিরতে দেবে। তবে হামাস বা অন্যান্য কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী যেন অস্ত্র নিয়ে সেখানে যেতে না পারে সেটি নিশ্চিত করবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল।