ইট কাঠের নাগরিক সভ্যতার শহর থেকে দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। সেখানে ছাদবাগান করে রিতীমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকার বাসিন্দা মৌসুমী আক্তার । পেশায় শিক্ষিকা মৌসুমী ছাদবাগান নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেন তার শৈশব থেকেই। সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের বিষমুক্ত সবজি খাওয়ানোর ভাবনা থেকেই তাদের প্রায় ৩০০০ স্কয়ার ফিটের বাড়ীর ছাদের দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে গড়ে তুলেছেন ছাদবাগান।
ফলন পাওয়া শুরু হলে ধীরে ধীরে উৎসাহ বাড়িতে থাকে। সমায়ের সাথে সাথে মৌসুমীর ছাদবাগান ভরে গেছে বিভিন্ন প্রজাতীর দেশী-বিদেশী ফল-ফুল আর সবজি জাতীয় গাছে।
বাগানে রয়েছে মিশরীয় ত্বীন, জয়তুন, জাপানী মিয়াজাকি আম, ড্রাগন, মিশরীয় আম,জাম কাঠাল, মাল্টা,কমলা, বারোমাসী আমড়া, আঙ্গুর, কামরাঙ্গা, মিষ্টি তেতুল, বেগুন, টমেটো, করোল্লাসহ শতাধিক প্রজাতির ফল ও সবজি ।ফলনে টইটুম্বর মৌসুমীর ছাদবাগান যেন এক টুকরো সবুজ উদ্যান।
প্রতিদিন সময় করে বাগানে পানি দেয়া থেকে শুরু করে পরিচর্চা করেন নিজ হাতেই। ছাদে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফুটে থাকায় সৃষ্টি হয়েছে এক মোহনীয় পরিবেশের। যা দেখে এলাকাবাসী যেমন মুগ্ধ হচ্ছেন, তেমনি প্রশংসা করছেন এমন উদ্যোগের। অনেকই তার কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে তৈরি করছেন ছাদ কৃষি।
বিকেল হলেই মৌসুমীর ছাদবাগানে ভিড় করেন তার ছাত্র -ছাত্রী এবং প্রতিবেশীরা। ঘুরে ঘুরে দেখেন তার বাগান। শুধু মৌসুমী আক্তারই নয় বগুড়ার শহরের অধিকাংশ বাড়ি ছাদে এখন ফল-মুল সবজি আবাদের ধুম। এমনকি সরকারি -বেসরকারি অনেক অফিসের ছাদে হচ্ছে সবজি বাগান। এ যেন প্রযুক্তির যুগে সবুজ বিপ্লব।