ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

ভারতে এক হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় নবজাতকসহ ২৪ মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মহারাষ্ট্রের নান্দেডের একটি সরকারি হাসপাতালে ১২ নবজাতক এবং অনেক প্রাপ্তবয়স্ক মারা গেছে। ওষুধ ও কর্মীর ঘাটতিকে দায়ী করে হাসপাতালের ডিন এ তথ্য জানিয়েছেন। নান্দেডের শঙ্কররাও চ্যাভান সরকারি হাসপাতালের ডিন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন।

তবে তাদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে সাপের কামড়ে। ডিন বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়টি ছেলেশিশু ও ছয়টি মেয়েশিশুর মৃত্যু হয়েছে। ১২ জন প্রাপ্তবয়স্কও বিভিন্ন রোগের কারণে মারা গেছেন, অধিকাংশই সাপের কামড়ে। বিভিন্ন কর্মীদের স্থানান্তর করায় আমরা কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। তিনি জানান, হাসপাতালটি একটি তৃতীয় স্তরের পরিচর্যাকেন্দ্র এবং ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে এটিই একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র। তাই রোগীরা দূর-দূরান্ত থেকে তাদের কাছে আসে। তবে গত কয়েক দিনে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এতে বাজেট নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়।

হাফকাইন নামের একটি ইনস্টিটিউটের কথা উল্লেখ করে ডিন বলেন, ‘আমাদের তাদের কাছ থেকে ওষুধ কেনার কথা ছিল। কিন্তু সেটাও হয়নি। আমরা স্থানীয়ভাবে ওষুধ কিনে রোগীদের দিয়েছি। মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা অশোক চভান হাসপাতাল পরিদর্শন করে বলেন, ‘মোট ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। ৭০ জন এখনো গুরুতর অবস্থায়।

চিকিৎসাসুবিধা ও কর্মীদের অভাব রয়েছে। অনেক নার্সকে বদলি করা হয়েছিল এবং তাদের বদলে কাউকে দেওয়া হয়নি। অনেক মেশিন কাজ করছে না। হাসপাতালের ধারণক্ষমতা ৫০০, কিন্তু এক হাজার ২০০ রোগী ভর্তি করা হয়েছে। আমি অজিত পাওয়ারের সংগে কথা বলব। সরকারের উচিত বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। এদিকে এতজনের মৃত্যুকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে মুম্বাইতে সাংবাদিকদের বলেছেন, হাসপাতালে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে আরো তথ্য চাওয়া হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনার পর রাজ্যের একনাথ শিন্ডে সরকারের ওপর মহারাষ্ট্রের বিরোধীরা সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করেছে। তারা বলছে, ‘ট্রিপল-ইঞ্জিন সরকারের (বিজেপি, একনাথ শিন্ডে সেনা ও এনসিপির অজিত পাওয়ার দল) এর দায় নেওয়া উচিত’। শারদ পাওয়ারের এনসিপির মুখপাত্র বিকাশ লওয়ান্ডে এক্সে লিখেছেন, ‘নান্দেডের সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ১২ নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকারের ওষুধ সরবরাহের অভাবে ঘটেছে। এটি এমন একটি সরকারের জন্য লজ্জাজনক, যারা শুধুমাত্র উৎসব ও অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেয়।’

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

ভারতে এক হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় নবজাতকসহ ২৪ মৃত্যু

আপডেট সময় ১১:২৭:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মহারাষ্ট্রের নান্দেডের একটি সরকারি হাসপাতালে ১২ নবজাতক এবং অনেক প্রাপ্তবয়স্ক মারা গেছে। ওষুধ ও কর্মীর ঘাটতিকে দায়ী করে হাসপাতালের ডিন এ তথ্য জানিয়েছেন। নান্দেডের শঙ্কররাও চ্যাভান সরকারি হাসপাতালের ডিন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন।

তবে তাদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে সাপের কামড়ে। ডিন বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়টি ছেলেশিশু ও ছয়টি মেয়েশিশুর মৃত্যু হয়েছে। ১২ জন প্রাপ্তবয়স্কও বিভিন্ন রোগের কারণে মারা গেছেন, অধিকাংশই সাপের কামড়ে। বিভিন্ন কর্মীদের স্থানান্তর করায় আমরা কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। তিনি জানান, হাসপাতালটি একটি তৃতীয় স্তরের পরিচর্যাকেন্দ্র এবং ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে এটিই একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র। তাই রোগীরা দূর-দূরান্ত থেকে তাদের কাছে আসে। তবে গত কয়েক দিনে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এতে বাজেট নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়।

হাফকাইন নামের একটি ইনস্টিটিউটের কথা উল্লেখ করে ডিন বলেন, ‘আমাদের তাদের কাছ থেকে ওষুধ কেনার কথা ছিল। কিন্তু সেটাও হয়নি। আমরা স্থানীয়ভাবে ওষুধ কিনে রোগীদের দিয়েছি। মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা অশোক চভান হাসপাতাল পরিদর্শন করে বলেন, ‘মোট ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। ৭০ জন এখনো গুরুতর অবস্থায়।

চিকিৎসাসুবিধা ও কর্মীদের অভাব রয়েছে। অনেক নার্সকে বদলি করা হয়েছিল এবং তাদের বদলে কাউকে দেওয়া হয়নি। অনেক মেশিন কাজ করছে না। হাসপাতালের ধারণক্ষমতা ৫০০, কিন্তু এক হাজার ২০০ রোগী ভর্তি করা হয়েছে। আমি অজিত পাওয়ারের সংগে কথা বলব। সরকারের উচিত বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। এদিকে এতজনের মৃত্যুকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে মুম্বাইতে সাংবাদিকদের বলেছেন, হাসপাতালে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে আরো তথ্য চাওয়া হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনার পর রাজ্যের একনাথ শিন্ডে সরকারের ওপর মহারাষ্ট্রের বিরোধীরা সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করেছে। তারা বলছে, ‘ট্রিপল-ইঞ্জিন সরকারের (বিজেপি, একনাথ শিন্ডে সেনা ও এনসিপির অজিত পাওয়ার দল) এর দায় নেওয়া উচিত’। শারদ পাওয়ারের এনসিপির মুখপাত্র বিকাশ লওয়ান্ডে এক্সে লিখেছেন, ‘নান্দেডের সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ১২ নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকারের ওষুধ সরবরাহের অভাবে ঘটেছে। এটি এমন একটি সরকারের জন্য লজ্জাজনক, যারা শুধুমাত্র উৎসব ও অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেয়।’