ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

গণহত্যা থামাতে ইসরায়েলকে আইসিজের নির্দেশ

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৮:৩০:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • 110

গণহত্যা থামাতে ইসরায়েলকে আইসিজের নির্দেশ

গাজা উপত্যকায় গণহত্যার অভিযোগ এনে গত ডিসেম্বরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজেকে) মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুক্রবার আদালত কিছু অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছেন। ইসরায়েল আসলেই গাজায় গণহত্যা করছে কি না তা আইসিজে এই পর্যায়ে বিবেচনা করছেন না, সেই প্রক্রিয়ায় কয়েক বছর সময় লাগবে। কিন্তু জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন হয়—এমন কর্মকাণ্ড ‘প্রতিরোধে ক্ষমতা অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নিতে’ ইসরায়েলকে আদালত সতর্ক করে দিয়েছেন।

এই মাসের শুরুর দিকে দুই দিনের বেশি শুনানিতে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা জাতিসংঘের এই কনভেনশনের ব্যাখ্যা নিয়ে লড়াই করেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলকে ‘গণহত্যা’র জন্য অভিযুক্ত করেছে, যেগুলোর উদ্দেশ্য ছিল ‘ফিলিস্তিনের জাতীয়, জাতিগত এবং জাতিগত গোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য অংশের ধ্বংস’। দেশটি আদালতকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান ‘অবিলম্বে স্থগিত’ এবং সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ দিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।

শুক্রবার আইসিজেকে যেসব অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছেন :

গণহত্যামূলক বলে বিবেচিত হতে পারে এমন যেকোনো কাজ প্রতিরোধে ইসরায়েলকে অবশ্যই সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

কোনো গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা, শারীরিক ক্ষতি ঘটানো, কোনো গোষ্ঠীর ধ্বংস ঘটাতে পরিকল্পিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, জন্ম রোধ করা ইত্যাদি গণহত্যামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।

ইসরায়েলকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, তাদের সামরিক বাহিনী কোনো গণহত্যামূলক কাজ করবে না।

গাজায় গণহত্যার জন্য উসকানি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে—এমন যেকোনো প্রকাশ্য মন্তব্যে ইসরায়েলকে অবশ্যই প্রতিরোধ ও শাস্তি দিতে হবে।

মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। গণহত্যার মামলার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন প্রমাণের ধ্বংস ইসরায়েলকে অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। ইসরায়েলকে এই আদেশ প্রদানের এক মাসের মধ্যে আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

আদালত হামাসের হাতে জিম্মিদের ভাগ্য নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তাদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। গাজার বর্তমান সংঘাত শুরু হয়েছিল ৭ অক্টোবর। সেই দিন হামাসের শত শত যোদ্ধা গাজা উপত্যকা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালায়।

সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত এবং প্রায় ২৪০ জন জিম্মি হয়। জবাবে হামাসকে ধ্বংস করার অঙ্গীকার করে ইসরায়েল ওই অঞ্চলে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ হাজার মানুষ নিহত এবং ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

কোটা আন্দোলনে যেতে ছাত্রলীগের বাধা, হল গেটে তালা

গণহত্যা থামাতে ইসরায়েলকে আইসিজের নির্দেশ

আপডেট সময় ০৮:৩০:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

গাজা উপত্যকায় গণহত্যার অভিযোগ এনে গত ডিসেম্বরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজেকে) মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুক্রবার আদালত কিছু অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছেন। ইসরায়েল আসলেই গাজায় গণহত্যা করছে কি না তা আইসিজে এই পর্যায়ে বিবেচনা করছেন না, সেই প্রক্রিয়ায় কয়েক বছর সময় লাগবে। কিন্তু জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন হয়—এমন কর্মকাণ্ড ‘প্রতিরোধে ক্ষমতা অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নিতে’ ইসরায়েলকে আদালত সতর্ক করে দিয়েছেন।

এই মাসের শুরুর দিকে দুই দিনের বেশি শুনানিতে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা জাতিসংঘের এই কনভেনশনের ব্যাখ্যা নিয়ে লড়াই করেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলকে ‘গণহত্যা’র জন্য অভিযুক্ত করেছে, যেগুলোর উদ্দেশ্য ছিল ‘ফিলিস্তিনের জাতীয়, জাতিগত এবং জাতিগত গোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য অংশের ধ্বংস’। দেশটি আদালতকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান ‘অবিলম্বে স্থগিত’ এবং সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ দিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।

শুক্রবার আইসিজেকে যেসব অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছেন :

গণহত্যামূলক বলে বিবেচিত হতে পারে এমন যেকোনো কাজ প্রতিরোধে ইসরায়েলকে অবশ্যই সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

কোনো গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা, শারীরিক ক্ষতি ঘটানো, কোনো গোষ্ঠীর ধ্বংস ঘটাতে পরিকল্পিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, জন্ম রোধ করা ইত্যাদি গণহত্যামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।

ইসরায়েলকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, তাদের সামরিক বাহিনী কোনো গণহত্যামূলক কাজ করবে না।

গাজায় গণহত্যার জন্য উসকানি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে—এমন যেকোনো প্রকাশ্য মন্তব্যে ইসরায়েলকে অবশ্যই প্রতিরোধ ও শাস্তি দিতে হবে।

মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। গণহত্যার মামলার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন প্রমাণের ধ্বংস ইসরায়েলকে অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। ইসরায়েলকে এই আদেশ প্রদানের এক মাসের মধ্যে আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

আদালত হামাসের হাতে জিম্মিদের ভাগ্য নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তাদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। গাজার বর্তমান সংঘাত শুরু হয়েছিল ৭ অক্টোবর। সেই দিন হামাসের শত শত যোদ্ধা গাজা উপত্যকা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালায়।

সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত এবং প্রায় ২৪০ জন জিম্মি হয়। জবাবে হামাসকে ধ্বংস করার অঙ্গীকার করে ইসরায়েল ওই অঞ্চলে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ হাজার মানুষ নিহত এবং ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।