গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির জন্য কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধানরা। মূলত গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে কাতার। এক্ষেত্রে এর আগেও একবার দুই পক্ষের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দেশটি।
জানা গেছে, সিআইএর উইলিয়াম বার্নস ও মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া এই সপ্তাহের শেষের দিকে ইউরোপে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে এখনো প্রায় ১৩০ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্ত করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
এদিকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে লোহিত সাগর দিয়ে চলাচল করা জাহাজে হামলা শুরু করে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ফলে গত দুই মাসে সেখান দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল কমেছে ৪৫ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের নানা পদক্ষেপেও কমানো যাচ্ছে না বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির হামলা। তাদের দাবি গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা কার্যকর করা। হুথিদের হামলার পর থেকেই শিপিং কোম্পানিগুলো লোহিত সাগর থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে।
তাছাড়া গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। শুক্রবারর (২৬ জানুয়ারি) সেখানের স্বাস্থ্যমন্ত্রণায় জানিয়েছে, গাজায় ২৬ হাজার ৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৪৮৬ জন।