ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা Logo টানা ৪১ দিন নামাজ আদায়কারী শিশুদের সাইকেল উপহার দিলো জামায়াত Logo ‘১৫ বছর কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে’ Logo গোয়াইনঘাটে বাজার দখল নিয়ে আওয়ামী-বিএনপির সংঘর্ষ; আহত ১৫ Logo তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ Logo ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে রাজি হয়নি ইরান: ট্রাম্প Logo তিন মাস পর বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ Logo থানায় হামলার ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন মাহমুদুর রহমানের Logo আওয়ামী নেতাদের পৈশাচিক নিপীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল্য : তারেক রহমান Logo সিলেটে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক

যুক্তরাষ্ট্রে নাইট্রোজেন গ্যাসে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১২:০৫:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • 251

যুক্তরাষ্ট্রে নাইট্রোজেন গ্যাসে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যে খুনি কেনেথ ইউজিন স্মিথকে নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথমবারের মতো বিতর্কিত পদ্ধতি ব্যবহার করে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হলো। ১৯৯৬ সাল থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন স্মিথ। এর আগে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে ৫৮ বছর বয়সী খুনি স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫৮ বছর বয়সী স্মিথকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ৮টা ২৫ মিনিটে মৃত ঘোষণা করা হয়। অ্যাটমোরে ‘উইলিয়াম সি. হলম্যান কারেকশনাল ফ্যাসিলিটি’-তে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। উইলিয়াম সি. হলম্যান কারেকশনাল ফ্যাসিলিটি হলো আলাবামার অ্যাটমোরে অবস্থিত একটি জেলখানা। কেনেথ ইউজিন স্মিথ ১৯৮৯ সালে এক ধর্ম যাজকের স্ত্রী এলিজাবেথ সেনেটকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন।

এলিজাবেথ সেনেটকে খুন করার জন্য কেনেথ স্মিথ এবং তাঁর এক সহযোগীকে ভাড়া করেছিলেন সেনেটের স্বামী চার্লস সেনেট। আইনজিবীরা বলেছেন, স্ত্রীর বিমার টাকা পেতে এ ষড়যন্ত্র করেছিলেন চার্লস। পরে তিনি আত্মহত্যা করেন। এ হত্যার ঘটনায় স্মিথের সহযোগীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এর আগেও ২০২২ সালে আলাবামা প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে স্মিথের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিল।

তখন দণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়। ২০২৩ সালের মে মাসেও দ্বিতীয় দফায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রচেষ্টা চালানোর এ সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন স্মিথ। এরপর অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর কে আইভি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া নতুন করে পর্যালোচনা করার ঘোষণা দেন এবং এর কয়েক মাস পর নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

অক্সিজেন ছাড়া নাইট্রোজেন গ্যাস নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে কোষগুলো ভেঙে যায় এবং মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। বিশেষভাবে তৈরি একটি মাস্ক পরানো হয় আসামীকে। এ মাস্কের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। মাস্কটি নাইট্রোজেনভর্তি একটি সিলিন্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এর আগে আদালতে বলা হয়েছিল, নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগের ফলে স্মিথ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জ্ঞান হারাবেন এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে তাঁর মৃত্যু ঘটবে। কিন্তু কিছু চিকিৎসক এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নিন্দা জানিয়েছিলেন। তারা সতর্ক করেছিলেন, এই পদ্ধতিতে মারাত্বক খিঁচুনি হতে পারে। এ ছাড়া এমন অবস্থা হতে পারে যেখানে, ওই ব্যক্তিকে দেখে মনে হবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে কিন্তু আসলে তিনি সজাগ।

জনপ্রিয় সংবাদ

রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা

যুক্তরাষ্ট্রে নাইট্রোজেন গ্যাসে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

আপডেট সময় ১২:০৫:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যে খুনি কেনেথ ইউজিন স্মিথকে নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথমবারের মতো বিতর্কিত পদ্ধতি ব্যবহার করে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হলো। ১৯৯৬ সাল থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন স্মিথ। এর আগে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে ৫৮ বছর বয়সী খুনি স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫৮ বছর বয়সী স্মিথকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ৮টা ২৫ মিনিটে মৃত ঘোষণা করা হয়। অ্যাটমোরে ‘উইলিয়াম সি. হলম্যান কারেকশনাল ফ্যাসিলিটি’-তে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। উইলিয়াম সি. হলম্যান কারেকশনাল ফ্যাসিলিটি হলো আলাবামার অ্যাটমোরে অবস্থিত একটি জেলখানা। কেনেথ ইউজিন স্মিথ ১৯৮৯ সালে এক ধর্ম যাজকের স্ত্রী এলিজাবেথ সেনেটকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন।

এলিজাবেথ সেনেটকে খুন করার জন্য কেনেথ স্মিথ এবং তাঁর এক সহযোগীকে ভাড়া করেছিলেন সেনেটের স্বামী চার্লস সেনেট। আইনজিবীরা বলেছেন, স্ত্রীর বিমার টাকা পেতে এ ষড়যন্ত্র করেছিলেন চার্লস। পরে তিনি আত্মহত্যা করেন। এ হত্যার ঘটনায় স্মিথের সহযোগীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এর আগেও ২০২২ সালে আলাবামা প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে স্মিথের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিল।

তখন দণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়। ২০২৩ সালের মে মাসেও দ্বিতীয় দফায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রচেষ্টা চালানোর এ সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন স্মিথ। এরপর অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর কে আইভি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া নতুন করে পর্যালোচনা করার ঘোষণা দেন এবং এর কয়েক মাস পর নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

অক্সিজেন ছাড়া নাইট্রোজেন গ্যাস নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে কোষগুলো ভেঙে যায় এবং মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। বিশেষভাবে তৈরি একটি মাস্ক পরানো হয় আসামীকে। এ মাস্কের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। মাস্কটি নাইট্রোজেনভর্তি একটি সিলিন্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এর আগে আদালতে বলা হয়েছিল, নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগের ফলে স্মিথ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জ্ঞান হারাবেন এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে তাঁর মৃত্যু ঘটবে। কিন্তু কিছু চিকিৎসক এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নিন্দা জানিয়েছিলেন। তারা সতর্ক করেছিলেন, এই পদ্ধতিতে মারাত্বক খিঁচুনি হতে পারে। এ ছাড়া এমন অবস্থা হতে পারে যেখানে, ওই ব্যক্তিকে দেখে মনে হবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে কিন্তু আসলে তিনি সজাগ।