ঢাকা ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়াতে তাৎখনিক আনন্দ মিছিল Logo ‘আ.লীগ নিষিদ্ধে আংশিক দাবি পূরণ, বিচার না হলে পূর্ণতা পাবে না’ডা.শফিকুর রহমান Logo ভীতিকর গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে মোদিকে যুদ্ধ বন্ধে চাপ দিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র Logo যুদ্ধবিরতিতে পাকিস্তানে আনন্দ-উল্লাস, জয় হয়েছে দাবি দেশটির মানুষ Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির সর্বশেষ খবর Logo ছোট সাজ্জাদের আলোচিত স্ত্রী তামান্না গ্রেফতার Logo একমাত্র বিএনপিই আইন-আদালতের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিচার চেয়েছে- বিএনপি Logo ‘৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত হবে’ Logo আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্তে বিএসএফের বাঙ্কার নির্মাণ

বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির নির্মাণের তীব্র নিন্দা জামায়াতে ইসলামীর

জামায়াতে ইসলামী

ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির নির্মাণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান দলটির ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় অবস্থিত পনেরো শতকের ঐতিহাসিক স্থাপনা বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। ১৯৯১ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রথমে বাবরি মসজিদ পূর্বপরিকল্পিতভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

মসজিদ ধ্বংসের প্রায় ১০ বছর পর ২০০২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে অযোধ্যার বিধ্বস্ত বাবরি মসজিদের জমিতে খনন কাজ চালানোর নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল। ২০০৩ সালের আগস্টে ৫৭৪ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট কোর্টে জমা দেয় এএসআই।

রিপোর্টে সংস্থাটি দাবি করে যে, বিধ্বস্ত বাবরি মসজিদের নিচে মাটি খুঁড়ে তারা একটি বিশালাকার কাঠামো খুঁজে পেয়েছে। তবে এ কাঠামো যে রাম মন্দিরের, এর স্বপক্ষে তারা তাদের রিপোর্টে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। তারপরেও কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির উদ্বোধন করে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের সংবিধানে স্বাধীনভাবে ধর্ম চর্চার কথা উল্লেখ থাকলেও মোদি সরকার তা কখনোই মানেনি। সব প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে ভারতের মোদি সরকার বাবরি মসজিদ ভেঙে সেই জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণ করেছে। ভারতসহ বিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পেয়েছে। আমরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে মোদি সরকারের এই রাম মন্দির নির্মাণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, সেই সঙ্গে ধর্মীয় অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমরা বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তি ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়াতে তাৎখনিক আনন্দ মিছিল

বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির নির্মাণের তীব্র নিন্দা জামায়াতে ইসলামীর

আপডেট সময় ০৬:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির নির্মাণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান দলটির ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় অবস্থিত পনেরো শতকের ঐতিহাসিক স্থাপনা বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। ১৯৯১ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রথমে বাবরি মসজিদ পূর্বপরিকল্পিতভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

মসজিদ ধ্বংসের প্রায় ১০ বছর পর ২০০২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে অযোধ্যার বিধ্বস্ত বাবরি মসজিদের জমিতে খনন কাজ চালানোর নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল। ২০০৩ সালের আগস্টে ৫৭৪ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট কোর্টে জমা দেয় এএসআই।

রিপোর্টে সংস্থাটি দাবি করে যে, বিধ্বস্ত বাবরি মসজিদের নিচে মাটি খুঁড়ে তারা একটি বিশালাকার কাঠামো খুঁজে পেয়েছে। তবে এ কাঠামো যে রাম মন্দিরের, এর স্বপক্ষে তারা তাদের রিপোর্টে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। তারপরেও কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির উদ্বোধন করে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের সংবিধানে স্বাধীনভাবে ধর্ম চর্চার কথা উল্লেখ থাকলেও মোদি সরকার তা কখনোই মানেনি। সব প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে ভারতের মোদি সরকার বাবরি মসজিদ ভেঙে সেই জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণ করেছে। ভারতসহ বিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পেয়েছে। আমরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে মোদি সরকারের এই রাম মন্দির নির্মাণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, সেই সঙ্গে ধর্মীয় অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমরা বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তি ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি