ঢাকা ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ডিসেম্বরকে সামনে রেখে সংসদ নির্বাচনের তফসিল: ইসি Logo ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা Logo ধর্ষকদের শাস্তির হবে প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড: পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা Logo ডাঃ লেলিনের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ Logo ‘জুলাই-আগস্টের চেতনাকে ধারণ করে পুলিশ বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখতে হবে’স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান Logo ভারতকে হারালে ১ কোটি রুপি পুরস্কার পাবেন রিজওয়ানরা, প্রতিশ্রুতি গভর্নরের Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’

বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির নির্মাণের তীব্র নিন্দা জামায়াতে ইসলামীর

জামায়াতে ইসলামী

ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির নির্মাণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান দলটির ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় অবস্থিত পনেরো শতকের ঐতিহাসিক স্থাপনা বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। ১৯৯১ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রথমে বাবরি মসজিদ পূর্বপরিকল্পিতভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

মসজিদ ধ্বংসের প্রায় ১০ বছর পর ২০০২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে অযোধ্যার বিধ্বস্ত বাবরি মসজিদের জমিতে খনন কাজ চালানোর নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল। ২০০৩ সালের আগস্টে ৫৭৪ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট কোর্টে জমা দেয় এএসআই।

রিপোর্টে সংস্থাটি দাবি করে যে, বিধ্বস্ত বাবরি মসজিদের নিচে মাটি খুঁড়ে তারা একটি বিশালাকার কাঠামো খুঁজে পেয়েছে। তবে এ কাঠামো যে রাম মন্দিরের, এর স্বপক্ষে তারা তাদের রিপোর্টে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। তারপরেও কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির উদ্বোধন করে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের সংবিধানে স্বাধীনভাবে ধর্ম চর্চার কথা উল্লেখ থাকলেও মোদি সরকার তা কখনোই মানেনি। সব প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে ভারতের মোদি সরকার বাবরি মসজিদ ভেঙে সেই জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণ করেছে। ভারতসহ বিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পেয়েছে। আমরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে মোদি সরকারের এই রাম মন্দির নির্মাণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, সেই সঙ্গে ধর্মীয় অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমরা বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তি ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিসেম্বরকে সামনে রেখে সংসদ নির্বাচনের তফসিল: ইসি

বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির নির্মাণের তীব্র নিন্দা জামায়াতে ইসলামীর

আপডেট সময় ০৬:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির নির্মাণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান দলটির ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় অবস্থিত পনেরো শতকের ঐতিহাসিক স্থাপনা বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। ১৯৯১ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রথমে বাবরি মসজিদ পূর্বপরিকল্পিতভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

মসজিদ ধ্বংসের প্রায় ১০ বছর পর ২০০২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে অযোধ্যার বিধ্বস্ত বাবরি মসজিদের জমিতে খনন কাজ চালানোর নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল। ২০০৩ সালের আগস্টে ৫৭৪ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট কোর্টে জমা দেয় এএসআই।

রিপোর্টে সংস্থাটি দাবি করে যে, বিধ্বস্ত বাবরি মসজিদের নিচে মাটি খুঁড়ে তারা একটি বিশালাকার কাঠামো খুঁজে পেয়েছে। তবে এ কাঠামো যে রাম মন্দিরের, এর স্বপক্ষে তারা তাদের রিপোর্টে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। তারপরেও কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির উদ্বোধন করে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের সংবিধানে স্বাধীনভাবে ধর্ম চর্চার কথা উল্লেখ থাকলেও মোদি সরকার তা কখনোই মানেনি। সব প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে ভারতের মোদি সরকার বাবরি মসজিদ ভেঙে সেই জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণ করেছে। ভারতসহ বিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পেয়েছে। আমরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে মোদি সরকারের এই রাম মন্দির নির্মাণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, সেই সঙ্গে ধর্মীয় অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমরা বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তি ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি