ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

শরীফার গল্পে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে: শিক্ষামন্ত্রী

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৬:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • 409

শরীফার গল্পে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে: শিক্ষামন্ত্রী

নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে সাজানো সপ্তম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে শরীফার গল্পে কোনো বিভ্রান্তি দেখা গেলে তা পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেছেন, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শরীফা গল্পটি নিয়ে কেন বিতর্ক হচ্ছে এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সংশ্লিষ্ট সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করব।

কেন একটি গল্প নিয়ে এত প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমাদের দেশে গোষ্ঠীর ধর্ম ব্যবহার করে অরাজকতা ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রবণতা আছে। গত বছরও সেটা ছিল। নওফেল বলেন, ‘কিছুদিন আগে কওমি মাদরাসার কিছু শিক্ষক এসেছিলেন।

তাঁদের দাবি ছিল, ট্রান্সজেন্ডার শব্দ ব্যবহার করার কারণে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি নজরে নিয়ে আসার পর আমরা আলোচনা করে দেখেছি, শব্দটি হবে থার্ড জেন্ডার। আইনত স্বীকৃত যে তৃতীয় লিঙ্গ সমাজে হিজড়া নামে পরিচিত। তারাও দেশের নাগরিক।

ফলে গল্প উপস্থাপনের ক্ষেত্রে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে, যেন কোনো ধরনের বিভ্রান্তি বা বিতর্ক না থাকে। তাদের প্রতি সম্মান রেখে কিভাবে বিকল্প শব্দ ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করব।’

জনপ্রিয় সংবাদ

নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে হিসাবরক্ষক রাকিবের দৌরাত্ম্য

শরীফার গল্পে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে: শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে সাজানো সপ্তম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে শরীফার গল্পে কোনো বিভ্রান্তি দেখা গেলে তা পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেছেন, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শরীফা গল্পটি নিয়ে কেন বিতর্ক হচ্ছে এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সংশ্লিষ্ট সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করব।

কেন একটি গল্প নিয়ে এত প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমাদের দেশে গোষ্ঠীর ধর্ম ব্যবহার করে অরাজকতা ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রবণতা আছে। গত বছরও সেটা ছিল। নওফেল বলেন, ‘কিছুদিন আগে কওমি মাদরাসার কিছু শিক্ষক এসেছিলেন।

তাঁদের দাবি ছিল, ট্রান্সজেন্ডার শব্দ ব্যবহার করার কারণে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি নজরে নিয়ে আসার পর আমরা আলোচনা করে দেখেছি, শব্দটি হবে থার্ড জেন্ডার। আইনত স্বীকৃত যে তৃতীয় লিঙ্গ সমাজে হিজড়া নামে পরিচিত। তারাও দেশের নাগরিক।

ফলে গল্প উপস্থাপনের ক্ষেত্রে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে, যেন কোনো ধরনের বিভ্রান্তি বা বিতর্ক না থাকে। তাদের প্রতি সম্মান রেখে কিভাবে বিকল্প শব্দ ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করব।’