আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারো স্বীকৃতির জন্য সরকার অপেক্ষায় বসে নেই। কারো ‘রিকগনিশনে’র জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় বসে আছি, নির্বাচিত সরকার এমন দেউলিয়া অবস্থায় পড়েছে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।
রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
টানা চারবার নির্বাচিত হওয়ার পর বিদেশি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি কতটা জরুরি? এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বীকৃতি, অভিনন্দন, এটা গণতন্ত্রের একটা রীতিনীতিতে পরিণত হয়েছে। এখন নতুন প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, বন্ধু রাষ্ট্রগুলো অভিনন্দন জানায়।
কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার পরও বিপুল সংখ্যক মানুষ ভোট দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দলকে নির্বাচিত করেছে। এই হিংসার আগুনে তারা জ্বলছে। তারা ইর্ষাকাতর হয়ে আছে।
বিএনপির আন্দোলনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা কেউ দেখেনি। তাদের আন্দোলনের বিষয়টি স্পষ্ট নয়, একবার তারা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আবার তারা নির্বাচন বানচালের আন্দোলন করে। আসলে তাদের তথাকথিত আন্দোলনের ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়ে তারা রাজনৈতিক আন্দোলনকে হাসি তামাশায় পরিণত করেছে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনের কর্মসূচিতে এখন ঘোড়াও হাসে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন