চার দিনের মধ্যে চালের দাম আগের দামে ফিরিয়ে আনতে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের হুঁশিয়ারির পরও পরিস্থিতি একই আছে। গত বুধবার খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ধান-চালের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে এক মতবিনিময়সভায় খাদ্যমন্ত্রী এই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, চার দিনের মধ্যে আগের দামে না আনলে মজুদকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে চাল আমদানি করা হবে। কিন্তু চার দিন পরও খুচরা বাজারে এখনো বাড়তি দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর চালের বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। জাতীয় নির্বাচনের পর চালের দাম হুট করে বস্তাপ্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। গত মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। নিয়মিত অভিযানের কারণে পাইকারি পর্যায়ে কিছুটা দাম কমেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বস্তায় ৩০০ টাকা বাড়লেও অভিযানের কারণে কমেছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। অভিযান অব্যাহত রাখার আবেদন জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ৬৪ জেলার ডিসি-এসপিকে দৃশ্যমান অভিযানের নির্দেশ দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল বৈঠকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশ অনুযায়ী, দেশের প্রতিটি উপজেলায় অভিযান চালাবে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন। ধান ও চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সব জেলার ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) একসঙ্গে দৃশ্যমান অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়। মজুদদার, মিল মালিক, লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ী, লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাঁরা নিয়ম ভঙ্গ করবেন, অভিযানে তাঁদের কাউকে ছাড় না দিতে বলা হয়েছে।
গত বুধবার খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ধান-চালের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধকল্পে মতবিনিময়সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাজার মনিটরিংয়ে আমরা টিম করেছি, কন্ট্রোলরুম খুলেছি। আমাদের অভিযান চলছে।