বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, আজ বাংলাদেশের গণতন্ত্র মৃত। তাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনরত বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি রাজপথ ছাড়বে না।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। বেলা সাড়ে ১১টায় নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না: গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’ শীর্ষক এই কর্মসূচি হয়।
টেবিলে বিছানো কাপড়ে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষও ৭ জানুয়ারির ভোটের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করেছে। মঈন খান বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতি কোনো দিন চলবে না। এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে, বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় আছে―বিভিন্ন রাষ্ট্র ও বিশ্বের মিডিয়া এই কথা বলছে। কাজেই আজকে দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে এটা প্রতিষ্ঠিত যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র মৃত।
নাগরিক ঐক্যের এই গণস্বাক্ষরতা ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে জেলা-উপজেলায় এবং আন্তর্জাতিকভাবে অনলাইনের মাধ্যমে প্রবাসীদের সই সংগ্রহ করা হবে বলে আয়োজকরা জানান।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘তথাকথিত ভোট ভোট খেলা এতই ন্যক্কারজনক যে বাংলাদেশের শিশুরা পর্যন্ত জানে ভোটের নামে ৭ জানুয়ারি কী হয়েছে। কত শতাংশ ভোট পড়েছে?
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় গণফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণঅধিকার পরিষদের নেতা বাবুল বিশ্বাস, নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি এ কে এম আশরাফুল হক প্রমুখ।