আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার চিন্তা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ ক্ষেত্রে দলের যে কেউ অনেকটা স্বতন্ত্র প্রার্থীর মতো ভোট করতে পারবেন। দলের নেতা-কর্মীরাও যার যার পছন্দমতো প্রার্থীর পক্ষে ভোট করতে পারবেন।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকবে কি না, এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিএনপিসহ বিরোধী দল স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে না বলে ধারণা করা যায়। এ পরিস্থিতিতে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া না দেওয়া খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না; বরং একজনকে প্রতীক দিলে অন্যরা বিরোধিতায় নামেন। এতে দলে বিভেদ বাড়ে।
বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিক আর না নিক, আওয়ামী লীগ নিজেদের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার জন্যই উপজেলা পরিষদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছে। গত বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনয়ন না দেওয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করবেন।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয়ভাবে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আপত্তি করে আসছে কেন্দ্রীয় নেতাদের একটা বড় অংশ। এই অংশ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রচারে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অংশ নেওয়ারও পক্ষে।
আগামী সপ্তাহেই প্রথম ধাপে শ খানেক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আভাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চার-পাঁচ ধাপের ভোটের শুরু হতে পারে মার্চে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দলীয় সংহতি, ঐক্যের বিষয় চিন্তা করে এবার উপজেলা নির্বাচনে কাউকে নৌকা না দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আছে। পরবর্তী নির্বাচনে এই ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখার চিন্তা আছে। ভবিষ্যতে যদি মনে হয়, রাজনৈতিকভাবে সবাই অংশ নিচ্ছে; তখন আওয়ামী লীগও পুনরায় প্রতীক দিতে পারে।