টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে ছন্দ হারানো পুরনো রোগ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। বরাবরের মতো এবারও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা হার দিয়ে হলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। সেটিও কিনা নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে, নতুন নামে আসা নবাগত ঢাকার কাছে। শরিফুল ইসলামের হ্যাটট্রিকের পর নাঈম শেখের ফিফটির তোড়ে রীতিমত উড়ে গেল কুমিল্লা।
দুর্দান্ত ঢাকার জয় ৫উইকেটের বড় ব্যবধানে। মিরপুরে এদিন টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। ইমরুল কায়েস ও লিটন দাসের ওপেনিং জুটি ভাঙতে প্রথম ৪ ওভারে চারজন বোলার ব্যবহার করেন তিনি। তাতে সফলতা পায় ঢাকা।
শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার চতুরাঙ্গা ডি সিলভার করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলটি স্কয়ার কাট করতে গিয়ে নাঈম শেখের হাতে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। ১৬ বলে ১৩ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে কুমিল্লার ইনিংস টানেন ইমরুল। ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ইমরুল আউট হন ৬৬ রান করে।
৫৬ বলের ইনিংসে ৬টি চারের সঙ্গে ছয় ২টি। এর আগেই অবশ্য তাসকিন আহমেদ ফেরান তাওহিদকে। ৪৭ রান করা তাওহিদ আউট হন লাসিথ ক্রুসপুল্লের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ইনিংসের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন শরিফুল। ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান খুশদিল শাহ।
চতুর্থ বলে পুল করতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দেন তিনি। পরের বলে রসটন চেজ শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন নাঈমের হাতে। শেষ বলে মাহিদুল ইসলাম অফ স্টাম্প লাইনের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে টপ এজ হয়ে ইরফান শুক্কুরকে ক্যাচ দেন। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান তোলে কুমিল্লা। রান তাড়ায় নেমে ভালো শুরু এনে দেন ঢাকার দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও ধানুশকা গুনাথিলাকা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে স্কোরবোর্ডে তোলেন ৫৬ রান। ৩ ছক্কা ও ৩ চারের সুবাদে নাঈমের রান সে সময় ৪০। পাওয়ার প্লে’র পর অপরপ্রান্তে থাকা গুনাথিলাকাও হাত খুলে খেলতে শুরু করেন। তবে ফিফটি পেয়ে যান নাঈম। অর্ধশতক করে ৫২ রানে ফেরেন এই বাঁহাতি। ৪০ বলের ইনিংসটি সাজান ৩টি করে চার-ছয়ে।
গুনাথিলাকা আউট হন ৪১ রান করে। এরপর ক্রুসপুল্লের ৫ রান করে ফিরে গেলে শেষ দিকে জমে ওঠে খেলা। শেষ ওভাররে জয়ের জন্য প্রয়োজন পরে ৪ রান। তবে মুস্তাফিজুরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ২৪ রান করে শুক্কুর আউট হলেও ৩ বল হাতে রেখে জয় পেয়ে যায় ঢাকা।