চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাহ আমানত হলের বাবুর্চি আব্দুল আলীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের একপক্ষের নেতা মোরশেদুল আলম রিফাত ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহ আমানত হলের ডাইনিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
হল সূত্রে জানা যায়, আরিফুল ও তার সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন একটি মুরগি নিয়ে আব্দুল আলীকে রান্না করতে বলেন। আব্দুল আলী মুরগি রান্না করার সময় তাদের বলেন পেঁয়াজ, মরিচের দাম বেশি, আপনারা একটু কিনে আনলে ভালো হতো। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তাকে মারধর শুরু করেন আরিফুল ও তার সহযোগীরা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুল আলী বলেন, ‘ডাইনিংয়ে কিছু ছাত্র রান্না করছিলেন। সেসময় তারা আমার কাছে আদা-রসুন চান। আমরা সাধারণত এগুলো তাদের দিয়ে থাকি। এছাড়া তারা চাইলে রান্নার কাজেও সহযোগিতা করি। আদা-রসুন চাইলে আমি তাদের বলি যে ফ্রিজে আগে থেকে বেটে রাখা আছে, এগুলো নেন সমস্যা নেই। কিন্তু বাকি জিনিসগুলো আপনারা কিনে নিয়ে আসলে তো পারেন। এ কথা বলার পরপরই একটা ছেলে আমার অণ্ডকোষে লাথি মারেন। সেখানে তারা তিনজন আমাকে উপর্যুপরি মারধর করেন। পাতিলের ঢাকনা দিয়ে তারা বুকে ও পিঠে আঘাত করেছেন। আমি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছি। আমি ঠিকমতো নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’
মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মোরশেদুল আলম রিফাত। তিনি বলেন, ‘সেখানে একটু তর্কাতর্কি হয়েছে। এর বেশিকিছু হয়নি।’
আরেক অভিযুক্ত আরিফুল ইসলামের মোবাইলে কল করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহা বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে হলের গার্ড আমাকে বলেছেন। প্রক্টরের সঙ্গেও কথা হয়েছে। একজন হাউজ টিউটরকে বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছি। আমি হলে গিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদার বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি, তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। আমরা একটি ঝামেলায় আটকে আছি। এটি শেষ করে সে ব্যাপারে খোঁজ নেবো।’