ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে মাদকের টাকার জন্য মাকে কুপিয়ে হত্যা

মাদকের টাকার জন্য মাকে কুপিয়ে হত্যা

মাদক কেনার জন্য টাকা না দেওয়ায় মা কিরণ বেগমকে (৪৭) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছেলে কাউছার হোসেনের (৩০) বিরুদ্ধে। নিহত কিরণ বেগম সৌদি আরব ফেরত আবুল খায়েরের স্ত্রী।

রোববার (১৪ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার গঙ্গাপুর গ্রামের আবদুল গণি মিজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিরণের লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ছেলে কাউছার হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, মায়ের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চার পাঁচটি চিহ্ন আছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন কাউছার। ঘটনার সময়ও মাদকের টাকার জন্য কাউছার তার মা কিরণ বেগমের সঙ্গে ঝগড়া করেন। একপর্যায়ে কাউছার মাকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। পরে কাউছার বাড়ির সামনের রাস্তায় গিয়ে সবাইকে বলেন, তার মাকে কে বা কারা কুপিয়ে ফেলে রেখে গেছে। স্থানীয় লোকজন কিরণ বেগমকে উদ্ধার করে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, কাউছার মাদকসেবী ও মানসিক রোগী। নেশার টাকা না পেয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তিনি। এ ঘটনা থানায় মামলা হবে।

শাহবাগ নয়, সমাবেশ করতে হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

লক্ষ্মীপুরে মাদকের টাকার জন্য মাকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট সময় ০১:০১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

মাদক কেনার জন্য টাকা না দেওয়ায় মা কিরণ বেগমকে (৪৭) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছেলে কাউছার হোসেনের (৩০) বিরুদ্ধে। নিহত কিরণ বেগম সৌদি আরব ফেরত আবুল খায়েরের স্ত্রী।

রোববার (১৪ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার গঙ্গাপুর গ্রামের আবদুল গণি মিজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিরণের লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ছেলে কাউছার হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, মায়ের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চার পাঁচটি চিহ্ন আছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন কাউছার। ঘটনার সময়ও মাদকের টাকার জন্য কাউছার তার মা কিরণ বেগমের সঙ্গে ঝগড়া করেন। একপর্যায়ে কাউছার মাকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। পরে কাউছার বাড়ির সামনের রাস্তায় গিয়ে সবাইকে বলেন, তার মাকে কে বা কারা কুপিয়ে ফেলে রেখে গেছে। স্থানীয় লোকজন কিরণ বেগমকে উদ্ধার করে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, কাউছার মাদকসেবী ও মানসিক রোগী। নেশার টাকা না পেয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তিনি। এ ঘটনা থানায় মামলা হবে।