ঢাকা ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শিশু আছিয়ার পরিবারকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করল জামায়াত Logo ৫ আগস্টের আগে রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা দেওয়া ছাত্রী পেলেন ছাত্রদলে পদ Logo সাপ্তাহিক ‘হাতিয়ার কথা’র সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে ডিক্লারেশন পেলেন সাংবাদিক কেফায়েতুল্লাহ Logo বাকসু নিয়ে বিতর্কিত গণভোট আয়োজনের অভিযোগ ববি ছাত্র কাউন্সিলের বিরুদ্ধে Logo ‎বাগেরহাটে আসন কমানোর প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ জেলাবাসী, করেছে বিক্ষোভ ‎ Logo উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া Logo ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Logo নওগাঁয় আলু চাষিদের বিক্ষোভ: ন্যায্য মূল্যের দাবিতে সড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদ Logo বিএনপি অফিসের ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ Logo ৪০০ এসএসসি ও দাখিল উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা দিল জুড়ী ছাত্রশিবির

সহকারী শিক্ষক পদে ২৮৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৮:৫১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • 286

সহকারী শিক্ষক পদে ২৮৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ২০২০ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে ২৮৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে নির্দেশনাসহ রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

তাদের নিয়োগ প্রশ্নে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

রিটকারীদের আইনজীবী জানান, রিট আবেদনকারীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের প্রকাশিত ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। পরে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।

পরে ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়, যেখানে কোনও প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। অথচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ এর ৮ ধারার ২ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে, ‘উপ-বিধি (২) এর দফা (গ)- তে উল্লিখিত মহিলা, পোষ্য ও পুরুষ কোটা পূরণের ক্ষেত্রে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনও বিধি বা সরকারি সিদ্ধান্তে কোনও বিশেষ শ্রেণির কোটা নির্ধারিত থাকলে ওই কোটা সংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী নিয়োগ করতে হবে।’ এছাড়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ধারা ৩৫ এর ১ এ বলা হয়েছে ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনও আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী, উপযোগী কোনও কর্মে নিযুক্ত হতে কোনও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে বঞ্চিত বা তার প্রতি বৈষম্য করা বা তাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।’

এ কারণে ২৮৫ জন প্রার্থী হাইকোর্টে পৃথক চারটি রিট দায়ের করেন। সেসব রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০ এর প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ না দেওয়া কেন অবৈধ হবে না এবং ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে, না তা জানতে চান।

এরপর গত ১১ জানুয়ারি প্রতিবন্ধীদের কোটা ও নিয়োগ প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। পরে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দিন ঠিক করেছিলেন হাইকোর্ট।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিশু আছিয়ার পরিবারকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করল জামায়াত

সহকারী শিক্ষক পদে ২৮৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ

আপডেট সময় ০৮:৫১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ২০২০ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে ২৮৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে নির্দেশনাসহ রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

তাদের নিয়োগ প্রশ্নে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

রিটকারীদের আইনজীবী জানান, রিট আবেদনকারীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের প্রকাশিত ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। পরে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।

পরে ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়, যেখানে কোনও প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। অথচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ এর ৮ ধারার ২ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে, ‘উপ-বিধি (২) এর দফা (গ)- তে উল্লিখিত মহিলা, পোষ্য ও পুরুষ কোটা পূরণের ক্ষেত্রে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনও বিধি বা সরকারি সিদ্ধান্তে কোনও বিশেষ শ্রেণির কোটা নির্ধারিত থাকলে ওই কোটা সংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী নিয়োগ করতে হবে।’ এছাড়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ধারা ৩৫ এর ১ এ বলা হয়েছে ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনও আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী, উপযোগী কোনও কর্মে নিযুক্ত হতে কোনও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে বঞ্চিত বা তার প্রতি বৈষম্য করা বা তাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।’

এ কারণে ২৮৫ জন প্রার্থী হাইকোর্টে পৃথক চারটি রিট দায়ের করেন। সেসব রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০ এর প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ না দেওয়া কেন অবৈধ হবে না এবং ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে, না তা জানতে চান।

এরপর গত ১১ জানুয়ারি প্রতিবন্ধীদের কোটা ও নিয়োগ প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। পরে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দিন ঠিক করেছিলেন হাইকোর্ট।