ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আজ থেকে সারাদেশে চিরুনি অভিযানের ঘোষণা Logo জবির দুই শিক্ষককে ছাত্রদলের মারধর, তদন্ত কমিটি থেকে সভাপতি-সেক্রেটারির পদত্যাগ Logo জবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদলের হামলা Logo সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতার মেয়াদ আরও ২ মাস বাড়ল Logo এবার ‘শাটডাউন’ ঘোষণা মিটফোর্ড শিক্ষার্থীদের Logo নোয়াখালীতে পানি নিষ্কাসন ও খাল খননের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo এনবিআরের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেয়ার ষড়যন্ত্র ছিল: জ্বালানি উপদেষ্টা Logo নৈরাজ্যকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে সরকার: তারেক রহমান Logo ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: ছাত্রদল নেতা রবিনের দায়স্বীকার Logo ঢাকাসহ ১১ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

সরকারের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল

সরকারের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মশাল মিছিল করা হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের উদ্যোগে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর-নীলক্ষেত-কাটাবন-শাহবাগ হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমাপ্ত হয়।

এসময় নেতাকর্মীদের – ডামি নির্বাচন, জনগণ মানে না; শেখ হাসিনা স্বৈরাচার, এই মুহূর্তে গদি ছাড়; ওয়ান টু থ্রই ফোর, শেখ হাসিনা ভোটচোর; আমাদের ধমনীতে, লাখ শহীদের রক্ত; এই রক্ত কোনোদিন, বৃথা যেতে যেতে দেবো না; আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবেই; শিক্ষা সন্ত্রাস/ ছাত্রলীগ/ দখলদারিত্ব, এক সাথে চলে না; বাঁশের লাঠি মশাল হবে, স্বৈরাচার হাসিনার পতন হবে; আমরা আছি থাকব, যুগে যুগে লড়ব; আন্দোলনের লড়াকু জোট, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিতু সরকার বলেন, এমন নজিরবিহীন অকেজো নির্বাচন বাংলাদেশ আগে কখনো দেখেনি। এই সরকার গত ১৫ বছর ধরে মানুষের ঘাড়ে চেপে বসেছে এবং আরও ৫ বছর থাকার পরিকল্পনা করেছে। এই সরকার ভুয়া নির্বাচন কমিশন তৈরি করে মানুষের ট্যাক্সের টাকার সাধারণ মানুষকে একটি ডামি নির্বাচন দেখাতে বাধ্য করেছে। কিন্তু মানুষ এই নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি গত ৭ জানুয়ারি কার্জনের ভোটকেন্দ্রে কিভাবে জালভোট মারা হয়েছে। কিভাবে এই সরকারের অনুগতরা সারাদেশে এককভাবে নির্বাচন করে ভোটের পার্সেন্টেজ বাড়াতে জাল ভোট দিয়েছে। এই সরকার নির্বাচনের আগের দিনগুলোতে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী দিয়ে আমাদের সভা-সমাবেশ করতে বাধা দিয়েছে। তবে আমরা বলতে চাই, এই সরকারের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাব। এসময় তিনি সবাইকে আরও সংঘবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানান।

গণতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটসহ দেশের সাধারণ মানুষ বর্জন করেছে। এই সরকার এককভাবে নির্বাচন করে নিজেরাই জয়লাভ করেছে। ভোটের পরে তারা বলছে ভোটের হার ছিলো ৪০ শতাংশ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভোটের পরিমাণ ছিল অনেক কম। আমরা চাইব এই সরকার যেন ভেঙে দেওয়া হয় এবং নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। অন্যথায় আমরা সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলে এ সরকারের পদত্যাগের আন্দোলন গড়ে তুলব।

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ থেকে সারাদেশে চিরুনি অভিযানের ঘোষণা

সরকারের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল

আপডেট সময় ০১:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মশাল মিছিল করা হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের উদ্যোগে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর-নীলক্ষেত-কাটাবন-শাহবাগ হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমাপ্ত হয়।

এসময় নেতাকর্মীদের – ডামি নির্বাচন, জনগণ মানে না; শেখ হাসিনা স্বৈরাচার, এই মুহূর্তে গদি ছাড়; ওয়ান টু থ্রই ফোর, শেখ হাসিনা ভোটচোর; আমাদের ধমনীতে, লাখ শহীদের রক্ত; এই রক্ত কোনোদিন, বৃথা যেতে যেতে দেবো না; আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবেই; শিক্ষা সন্ত্রাস/ ছাত্রলীগ/ দখলদারিত্ব, এক সাথে চলে না; বাঁশের লাঠি মশাল হবে, স্বৈরাচার হাসিনার পতন হবে; আমরা আছি থাকব, যুগে যুগে লড়ব; আন্দোলনের লড়াকু জোট, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিতু সরকার বলেন, এমন নজিরবিহীন অকেজো নির্বাচন বাংলাদেশ আগে কখনো দেখেনি। এই সরকার গত ১৫ বছর ধরে মানুষের ঘাড়ে চেপে বসেছে এবং আরও ৫ বছর থাকার পরিকল্পনা করেছে। এই সরকার ভুয়া নির্বাচন কমিশন তৈরি করে মানুষের ট্যাক্সের টাকার সাধারণ মানুষকে একটি ডামি নির্বাচন দেখাতে বাধ্য করেছে। কিন্তু মানুষ এই নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি গত ৭ জানুয়ারি কার্জনের ভোটকেন্দ্রে কিভাবে জালভোট মারা হয়েছে। কিভাবে এই সরকারের অনুগতরা সারাদেশে এককভাবে নির্বাচন করে ভোটের পার্সেন্টেজ বাড়াতে জাল ভোট দিয়েছে। এই সরকার নির্বাচনের আগের দিনগুলোতে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী দিয়ে আমাদের সভা-সমাবেশ করতে বাধা দিয়েছে। তবে আমরা বলতে চাই, এই সরকারের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাব। এসময় তিনি সবাইকে আরও সংঘবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানান।

গণতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটসহ দেশের সাধারণ মানুষ বর্জন করেছে। এই সরকার এককভাবে নির্বাচন করে নিজেরাই জয়লাভ করেছে। ভোটের পরে তারা বলছে ভোটের হার ছিলো ৪০ শতাংশ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভোটের পরিমাণ ছিল অনেক কম। আমরা চাইব এই সরকার যেন ভেঙে দেওয়া হয় এবং নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। অন্যথায় আমরা সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলে এ সরকারের পদত্যাগের আন্দোলন গড়ে তুলব।