ঢাকা ০৩:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির Logo সিভাসুতে বিচারহীনতার প্রতিবাদে মুখে লাল কাপড় পেঁচিয়ে অবস্থান কর্মসূচি Logo ‘প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা কেটে গেছে’ Logo ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালি: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নতুন প্রত্যয় Logo ফতহে গণভবনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের র‍্যালি অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিকদের বিএনপির নয়, দেশ ও জনগণের হতে হবে: আমীর খসরু Logo এদেশের মানুষ চাঁদাবাজদের সাথে আর জোট দেখতে চায় না-অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল Logo আগামীর শাসকদের হাসিনার পরিণতি মনে রাখতে হবে: আসিফ মাহমুদ Logo ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে সিইসিকে চিঠি দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo বিএনপির আয়োজনে ৫ আগস্ট বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে

সরকারের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল

সরকারের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মশাল মিছিল করা হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের উদ্যোগে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর-নীলক্ষেত-কাটাবন-শাহবাগ হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমাপ্ত হয়।

এসময় নেতাকর্মীদের – ডামি নির্বাচন, জনগণ মানে না; শেখ হাসিনা স্বৈরাচার, এই মুহূর্তে গদি ছাড়; ওয়ান টু থ্রই ফোর, শেখ হাসিনা ভোটচোর; আমাদের ধমনীতে, লাখ শহীদের রক্ত; এই রক্ত কোনোদিন, বৃথা যেতে যেতে দেবো না; আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবেই; শিক্ষা সন্ত্রাস/ ছাত্রলীগ/ দখলদারিত্ব, এক সাথে চলে না; বাঁশের লাঠি মশাল হবে, স্বৈরাচার হাসিনার পতন হবে; আমরা আছি থাকব, যুগে যুগে লড়ব; আন্দোলনের লড়াকু জোট, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিতু সরকার বলেন, এমন নজিরবিহীন অকেজো নির্বাচন বাংলাদেশ আগে কখনো দেখেনি। এই সরকার গত ১৫ বছর ধরে মানুষের ঘাড়ে চেপে বসেছে এবং আরও ৫ বছর থাকার পরিকল্পনা করেছে। এই সরকার ভুয়া নির্বাচন কমিশন তৈরি করে মানুষের ট্যাক্সের টাকার সাধারণ মানুষকে একটি ডামি নির্বাচন দেখাতে বাধ্য করেছে। কিন্তু মানুষ এই নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি গত ৭ জানুয়ারি কার্জনের ভোটকেন্দ্রে কিভাবে জালভোট মারা হয়েছে। কিভাবে এই সরকারের অনুগতরা সারাদেশে এককভাবে নির্বাচন করে ভোটের পার্সেন্টেজ বাড়াতে জাল ভোট দিয়েছে। এই সরকার নির্বাচনের আগের দিনগুলোতে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী দিয়ে আমাদের সভা-সমাবেশ করতে বাধা দিয়েছে। তবে আমরা বলতে চাই, এই সরকারের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাব। এসময় তিনি সবাইকে আরও সংঘবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানান।

গণতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটসহ দেশের সাধারণ মানুষ বর্জন করেছে। এই সরকার এককভাবে নির্বাচন করে নিজেরাই জয়লাভ করেছে। ভোটের পরে তারা বলছে ভোটের হার ছিলো ৪০ শতাংশ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভোটের পরিমাণ ছিল অনেক কম। আমরা চাইব এই সরকার যেন ভেঙে দেওয়া হয় এবং নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। অন্যথায় আমরা সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলে এ সরকারের পদত্যাগের আন্দোলন গড়ে তুলব।

জনপ্রিয় সংবাদ

টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির

সরকারের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল

আপডেট সময় ০১:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মশাল মিছিল করা হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের উদ্যোগে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর-নীলক্ষেত-কাটাবন-শাহবাগ হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমাপ্ত হয়।

এসময় নেতাকর্মীদের – ডামি নির্বাচন, জনগণ মানে না; শেখ হাসিনা স্বৈরাচার, এই মুহূর্তে গদি ছাড়; ওয়ান টু থ্রই ফোর, শেখ হাসিনা ভোটচোর; আমাদের ধমনীতে, লাখ শহীদের রক্ত; এই রক্ত কোনোদিন, বৃথা যেতে যেতে দেবো না; আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবেই; শিক্ষা সন্ত্রাস/ ছাত্রলীগ/ দখলদারিত্ব, এক সাথে চলে না; বাঁশের লাঠি মশাল হবে, স্বৈরাচার হাসিনার পতন হবে; আমরা আছি থাকব, যুগে যুগে লড়ব; আন্দোলনের লড়াকু জোট, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিতু সরকার বলেন, এমন নজিরবিহীন অকেজো নির্বাচন বাংলাদেশ আগে কখনো দেখেনি। এই সরকার গত ১৫ বছর ধরে মানুষের ঘাড়ে চেপে বসেছে এবং আরও ৫ বছর থাকার পরিকল্পনা করেছে। এই সরকার ভুয়া নির্বাচন কমিশন তৈরি করে মানুষের ট্যাক্সের টাকার সাধারণ মানুষকে একটি ডামি নির্বাচন দেখাতে বাধ্য করেছে। কিন্তু মানুষ এই নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি গত ৭ জানুয়ারি কার্জনের ভোটকেন্দ্রে কিভাবে জালভোট মারা হয়েছে। কিভাবে এই সরকারের অনুগতরা সারাদেশে এককভাবে নির্বাচন করে ভোটের পার্সেন্টেজ বাড়াতে জাল ভোট দিয়েছে। এই সরকার নির্বাচনের আগের দিনগুলোতে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী দিয়ে আমাদের সভা-সমাবেশ করতে বাধা দিয়েছে। তবে আমরা বলতে চাই, এই সরকারের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাব। এসময় তিনি সবাইকে আরও সংঘবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানান।

গণতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটসহ দেশের সাধারণ মানুষ বর্জন করেছে। এই সরকার এককভাবে নির্বাচন করে নিজেরাই জয়লাভ করেছে। ভোটের পরে তারা বলছে ভোটের হার ছিলো ৪০ শতাংশ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভোটের পরিমাণ ছিল অনেক কম। আমরা চাইব এই সরকার যেন ভেঙে দেওয়া হয় এবং নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। অন্যথায় আমরা সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলে এ সরকারের পদত্যাগের আন্দোলন গড়ে তুলব।