ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণ মামলায় লামিচানের ৮ বছরের কারাদণ্ড

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১০:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪
  • 187

ধর্ষণ মামলায় লামিচানের ৮ বছরের কারাদণ্ড

ধর্ষণ মামলায় ৮ বছরের কারাদণ্ড হলো নেপালের ক্রিকেটার সন্দীপ লামিচানের। আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) কাঠমান্ডু জেলা আদালত তার এই কারাদণ্ডাদেশ দেন। পাশাপাশি তাকে ৩ লাখ রূপি জরিমানাও করা হয়েছে। শুধু তাই নয় ধর্ষণের শিকার হওয়া তরুণিকে ২ লাখ রূপি ক্ষতিপূরণ দিতেও বলা হয়েছে নেপালের সাবেক এই অধিনায়ককে। শিশির রাজ ধাকালকে নিয়ে গঠিত আদালতের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গেল বছরের ২৯ ডিসেম্বর ধর্ষণ মামলায় এই বেঞ্চ লামিচানেকে দোষী সাব্যস্ত করে মামলার ইতি টানে। আজ বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার দিন-তারিখ ধার্য ছিল। সেখানেই লামিচানেকে কারাদণ্ড ও জরিমানার রায় দেওয়া হয়।

মামলায় উল্লেখ আছে যে, ২০২২ সালের ২১ আগস্ট তিলগঙ্গার এক হোটেলে গুশালা (ছদ্মনাম) নামের ২৬ বছর বয়সী এক তরুণিকে ধর্ষণ করেন লামিচানে। ওই তরুণি ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আর ১৫ মাস পর তিনি সন্তোষজনক রায় পেলেন। অবশ্য মামলায় ওই তরুণি উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। কিন্তু আদালত সেটি নাচক করে দেয়। এমনকি তার জন্ম নিবন্ধনের ডকুমেন্ট গ্রহণেও আপত্তি জানায়। ধর্ষণের শিকার হওয়ার সময় সেখানে তার বয়স উল্লেখ করা হয় ১৭ বছর।

এই মামলার যখন তদন্ত শুরু হয় তখন লামিচানে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলছিলেন। ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর সেখান থেকে ফেরার পথে বিমানবন্দরেই গ্রেপ্তার হন তিনি। গ্রেপ্তারের পর ৪ নভেম্বর জেলা আদালত লামিচানেকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অবশ্য সাবেক এই অধিনায়ক উচ্চ আদালতে যান এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে।

২০২৩ সালের ১৩ জানুয়ারি তদন্ত চলাকালিন ২ মিলিয়ন রূপি জমা রেখে জামিনে মুক্ত হন তিনি। তবে আদালত তার দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এরপর লামিচানে তার দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান এবং সুপ্রিম কোর্ট ২৭ ফেব্রুয়ারি তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আদেশ দেন। যাতে করে দেশের বাইরে তিনি খেলতে যেতে পারেন। সেই থেকে তিনি বিভিন্ন দেশে ক্রিকেট খেলছিলেন।

সব তদন্ত ও শুনানি শেষে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি আদালত তাকে কারাদণ্ড ও জরিমানা- উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করে রায় দেন। লামিচানে নেপালের ক্রিকেটের পোস্টার বয়। তিনিই প্রথম নেপালি ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে খেলেছিলেন। ২০১৮ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছিলেন তিনি।

নেপাল জাতীয় দলের হয়ে তিনি ৫১টি ওয়ানডেতে ১৮.০৬ গড়ে ১১২ উইকেট নেন। ইকোনোমি ৪.৩৭। ক্যারিয়ারে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন ৩ বার। ৪ উইকেট ৮ বার। সেরা বোলিং ফিগার ১১ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতেও কম যাননি তিনি। দেশের জার্সিতে ৫২ ম্যাচে ১২.৫৮ গড়ে ৯৮ উইকেট নেন। ইকোনোমি ৬.২৯। পাঁচ উইকেট নেন একবার। আর ৪ উইকেট নেন দুইবার। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ৯ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্ষণ মামলায় লামিচানের ৮ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় ১০:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

ধর্ষণ মামলায় ৮ বছরের কারাদণ্ড হলো নেপালের ক্রিকেটার সন্দীপ লামিচানের। আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) কাঠমান্ডু জেলা আদালত তার এই কারাদণ্ডাদেশ দেন। পাশাপাশি তাকে ৩ লাখ রূপি জরিমানাও করা হয়েছে। শুধু তাই নয় ধর্ষণের শিকার হওয়া তরুণিকে ২ লাখ রূপি ক্ষতিপূরণ দিতেও বলা হয়েছে নেপালের সাবেক এই অধিনায়ককে। শিশির রাজ ধাকালকে নিয়ে গঠিত আদালতের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গেল বছরের ২৯ ডিসেম্বর ধর্ষণ মামলায় এই বেঞ্চ লামিচানেকে দোষী সাব্যস্ত করে মামলার ইতি টানে। আজ বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার দিন-তারিখ ধার্য ছিল। সেখানেই লামিচানেকে কারাদণ্ড ও জরিমানার রায় দেওয়া হয়।

মামলায় উল্লেখ আছে যে, ২০২২ সালের ২১ আগস্ট তিলগঙ্গার এক হোটেলে গুশালা (ছদ্মনাম) নামের ২৬ বছর বয়সী এক তরুণিকে ধর্ষণ করেন লামিচানে। ওই তরুণি ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আর ১৫ মাস পর তিনি সন্তোষজনক রায় পেলেন। অবশ্য মামলায় ওই তরুণি উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। কিন্তু আদালত সেটি নাচক করে দেয়। এমনকি তার জন্ম নিবন্ধনের ডকুমেন্ট গ্রহণেও আপত্তি জানায়। ধর্ষণের শিকার হওয়ার সময় সেখানে তার বয়স উল্লেখ করা হয় ১৭ বছর।

এই মামলার যখন তদন্ত শুরু হয় তখন লামিচানে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলছিলেন। ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর সেখান থেকে ফেরার পথে বিমানবন্দরেই গ্রেপ্তার হন তিনি। গ্রেপ্তারের পর ৪ নভেম্বর জেলা আদালত লামিচানেকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অবশ্য সাবেক এই অধিনায়ক উচ্চ আদালতে যান এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে।

২০২৩ সালের ১৩ জানুয়ারি তদন্ত চলাকালিন ২ মিলিয়ন রূপি জমা রেখে জামিনে মুক্ত হন তিনি। তবে আদালত তার দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এরপর লামিচানে তার দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান এবং সুপ্রিম কোর্ট ২৭ ফেব্রুয়ারি তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আদেশ দেন। যাতে করে দেশের বাইরে তিনি খেলতে যেতে পারেন। সেই থেকে তিনি বিভিন্ন দেশে ক্রিকেট খেলছিলেন।

সব তদন্ত ও শুনানি শেষে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি আদালত তাকে কারাদণ্ড ও জরিমানা- উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করে রায় দেন। লামিচানে নেপালের ক্রিকেটের পোস্টার বয়। তিনিই প্রথম নেপালি ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে খেলেছিলেন। ২০১৮ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছিলেন তিনি।

নেপাল জাতীয় দলের হয়ে তিনি ৫১টি ওয়ানডেতে ১৮.০৬ গড়ে ১১২ উইকেট নেন। ইকোনোমি ৪.৩৭। ক্যারিয়ারে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন ৩ বার। ৪ উইকেট ৮ বার। সেরা বোলিং ফিগার ১১ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতেও কম যাননি তিনি। দেশের জার্সিতে ৫২ ম্যাচে ১২.৫৮ গড়ে ৯৮ উইকেট নেন। ইকোনোমি ৬.২৯। পাঁচ উইকেট নেন একবার। আর ৪ উইকেট নেন দুইবার। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ৯ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট।