ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নীলফামারী-২: বিজয়ী হলেন আসাদুজ্জামান নূর

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:৪১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • 161

নীলফামারী-২: বিজয়ী হলেন আসাদুজ্জামান নূর

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-২ আসনে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এই আসনে সর্বমোট ১৩৫ টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নৌকা প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূর সবটি ভোট কেন্দ্র থেকে ১১৯,৩৩৯ ভোট পেয়েছেন।

নূরের প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন মাত্র ১৫৬৮৪ ভোট। এই আসনে আসাদুজ্জামান নূর এবং মোঃ জয়নাল আবেদীন ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন জাতীয় পার্টির মোঃ শাহজাহান আলী চৌধুরী (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৩,৮৪৩ ভোট এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ মোরছালীন ইসলাম (ডাব) কোনো ভোটই পাননি।

নীলফামারী-২ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৩৫টি। মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৮ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৩ জন। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৭২টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ শেষে ঘোষিত ফলে আসাদুজ্জামান নূরের জয় নিশ্চিত হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ পুরুষ, আর ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ নারী। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। রোববারের ভোটে সারা দেশের ২৯৯ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৩৪ জন ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী। বাকি ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নওগাঁ-২ আসনে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট হচ্ছে ২৯৯ আসনে। ওই আসনটিতে পরে ভোটগ্রহণ হবে। সব আসনেই ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আসাদুজ্জামান নূর ১৯৬৩ সালে তদান্তাধীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি নীলফামারী কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি, পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের পর কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। দীর্ঘদিন প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে নিজেকে বিরত রেখে সংস্কৃতি কর্মী হিসেবে নানান সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সঙ্গে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৯৮ সালের মাঝামাঝি পর্যায়ে তিনি আবারও প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ২০০২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

নীলফামারী-২: বিজয়ী হলেন আসাদুজ্জামান নূর

আপডেট সময় ০৯:৪১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-২ আসনে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এই আসনে সর্বমোট ১৩৫ টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নৌকা প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূর সবটি ভোট কেন্দ্র থেকে ১১৯,৩৩৯ ভোট পেয়েছেন।

নূরের প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন মাত্র ১৫৬৮৪ ভোট। এই আসনে আসাদুজ্জামান নূর এবং মোঃ জয়নাল আবেদীন ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন জাতীয় পার্টির মোঃ শাহজাহান আলী চৌধুরী (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৩,৮৪৩ ভোট এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ মোরছালীন ইসলাম (ডাব) কোনো ভোটই পাননি।

নীলফামারী-২ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৩৫টি। মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৮ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৩ জন। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৭২টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ শেষে ঘোষিত ফলে আসাদুজ্জামান নূরের জয় নিশ্চিত হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ পুরুষ, আর ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ নারী। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। রোববারের ভোটে সারা দেশের ২৯৯ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৩৪ জন ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী। বাকি ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নওগাঁ-২ আসনে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট হচ্ছে ২৯৯ আসনে। ওই আসনটিতে পরে ভোটগ্রহণ হবে। সব আসনেই ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আসাদুজ্জামান নূর ১৯৬৩ সালে তদান্তাধীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি নীলফামারী কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি, পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের পর কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। দীর্ঘদিন প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে নিজেকে বিরত রেখে সংস্কৃতি কর্মী হিসেবে নানান সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সঙ্গে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৯৮ সালের মাঝামাঝি পর্যায়ে তিনি আবারও প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ২০০২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন।