ঢাকা ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাজনীতি থেকে সরে আসার পর ছাত্রদল নেত্রী ইপ্সিতার মৃত্যু: আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা? Logo আজ থেকে বাংলাদেশে প্রথমবার চালু হচ্ছে গুগল পে Logo ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইরান, জানালেন ইরানে সিনিয়র কর্মকর্তা Logo ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পরও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান Logo যুদ্ধবিরতি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের মুখ খুলতে নিষেধাজ্ঞা জারি নেতানিয়াহু Logo মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর হু হু করে কমেছে তেলের দাম Logo আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল গুম কমিশনের মেয়াদ Logo যুদ্ধবিরতি নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী Logo ইরানে ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় আবারও ইসরায়েলি হামলা Logo যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যা বলছে ইরানের গণমাধ্যম

হাসপাতাল থেকে ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন খালেদা জিয়া

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০১:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • 226

হাসপাতাল থেকে ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন খালেদা জিয়া

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থতি পর্যবেক্ষণ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। প্রায় ৬ মাস ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গণমাধ্যমে চোখ রাখার পাশাপাশি ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং পরিবারের সদস্যদের থেকেও তিনি বিভিন্ন বিষয়ে অবগত হচ্ছেন।

সূত্র মতে, বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক বিষয় কোনো মন্তব্য করেন না। চিকিৎসক দলের সদস্য ও পরিবারের সদস্য ছাড়া কারও সঙ্গে হাসপাতালে তিনি দেখা করেন না। চিকিৎসকদের পরামর্শের বাইের যাওয়ার সুযোগ নেই তার। দোয়া-দরুদ ও নামাজ পড়ছেন। এর মধ্যেই তিনি দেশ রাজনীতির সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান জাগো নিউজকে বলেন, ম্যাডাম ২০২২ সালের ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল রাতে আমি খোঁজ নিয়েছি। বাসায় নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই বলে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক ছাড়া তার কারো সঙ্গে কথা বলা অত্যন্ত কঠিন। তিনি টেলিভিশন দেখছেন, পত্রিকার মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজ রাখছেন।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের প্রকৃত অবস্থা না জানার কারণে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষও রয়েছেন ধোঁয়াশায়। তার অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লেই দেশে-বিদেশে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানও করা হয়।

গত বছরের অক্টোবরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং অবিলম্বে মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে দোয়া মাহফিল, লিফলেট বিতরণ এবং মহানগর ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা করে বিএনপি। তাকে মুক্তি দিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার, অ্যামনেস্টিসহ বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন সময়ে আহ্বান জানানো হয়।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় আদালত সাজা দিলে ওই দিনই খালেদা জিয়া কারাবন্দি হন। করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে চিকিৎসার ছয় মাসের সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকে তার পরিবারের আবেদনে দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে। তিনি গুলশানের ভাড়া বাসায় অবস্থান করেন। চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা তাকে দেশের বাইরে নিতে চাইলেও সে অনুমতি মেলেনি।

খালেদা জিয়া ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। বিচারপতি সাত্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ মে পার্টির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি তিনি এ দায়িত্ব পালন করছেন।

রাজনীতি থেকে সরে আসার পর ছাত্রদল নেত্রী ইপ্সিতার মৃত্যু: আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা?

হাসপাতাল থেকে ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন খালেদা জিয়া

আপডেট সময় ০১:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থতি পর্যবেক্ষণ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। প্রায় ৬ মাস ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গণমাধ্যমে চোখ রাখার পাশাপাশি ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং পরিবারের সদস্যদের থেকেও তিনি বিভিন্ন বিষয়ে অবগত হচ্ছেন।

সূত্র মতে, বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক বিষয় কোনো মন্তব্য করেন না। চিকিৎসক দলের সদস্য ও পরিবারের সদস্য ছাড়া কারও সঙ্গে হাসপাতালে তিনি দেখা করেন না। চিকিৎসকদের পরামর্শের বাইের যাওয়ার সুযোগ নেই তার। দোয়া-দরুদ ও নামাজ পড়ছেন। এর মধ্যেই তিনি দেশ রাজনীতির সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান জাগো নিউজকে বলেন, ম্যাডাম ২০২২ সালের ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল রাতে আমি খোঁজ নিয়েছি। বাসায় নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই বলে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক ছাড়া তার কারো সঙ্গে কথা বলা অত্যন্ত কঠিন। তিনি টেলিভিশন দেখছেন, পত্রিকার মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজ রাখছেন।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের প্রকৃত অবস্থা না জানার কারণে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষও রয়েছেন ধোঁয়াশায়। তার অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লেই দেশে-বিদেশে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানও করা হয়।

গত বছরের অক্টোবরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং অবিলম্বে মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে দোয়া মাহফিল, লিফলেট বিতরণ এবং মহানগর ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা করে বিএনপি। তাকে মুক্তি দিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার, অ্যামনেস্টিসহ বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন সময়ে আহ্বান জানানো হয়।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় আদালত সাজা দিলে ওই দিনই খালেদা জিয়া কারাবন্দি হন। করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে চিকিৎসার ছয় মাসের সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকে তার পরিবারের আবেদনে দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে। তিনি গুলশানের ভাড়া বাসায় অবস্থান করেন। চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা তাকে দেশের বাইরে নিতে চাইলেও সে অনুমতি মেলেনি।

খালেদা জিয়া ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। বিচারপতি সাত্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ মে পার্টির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি তিনি এ দায়িত্ব পালন করছেন।