ঢাকা ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইরানিদের ‘শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার’ আহ্বান খামেনির Logo খামেনিকে হত্যার প্রকাশ্য হুমকি ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর Logo আইআরজিসির স্থলবাহিনীর নতুন কমান্ডার মোহাম্মদ কারামি Logo মুশফিকের সেঞ্চুরি রেকর্ড ধামাকা Logo এখন থেকে ৫ আগস্ট সরকারি ছুটি থাকবে Logo গুমের শিকার ব্যক্তিদের ৪ পরিণতি হতো, যেসব ‘ফাঁদে’আ’লীগ সরকার Logo ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইলের বিমান হামলা Logo কুষ্টিয়া কালিশংকরপুর ছাত্রাবাসে এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু Logo জুলাই সনদ,রাষ্ট্রের সংস্কার ও গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমানের পর নির্বাচন দিতে হবে,সেলিম উদ্দিন Logo অবিলম্বে জুলাই সনদ প্রণয়ন, রাষ্ট্রের সংস্কার ও গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমানের পর নির্বাচন দিতে হবে-মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন

স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সহায়তা বাড়ান : জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 447

স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সহায়তা বাড়ান : জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে পাঁচটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ‘ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ (ইউএইচসি)’ বিষয়ক ইউএনজিএ উচ্চস্তরের বৈঠকে ভাষণদানকালে এ আহ্বান জানান।

ক্ষেত্রগুলো হলো : প্রথমত, শিশু, মা ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের জন্য উন্নয়ন সহায়তা বজায় রাখা এবং অভিবাসীদের স্বাস্থ্য ও জলবায়ু স্বাস্থ্য চক্র মোকাবেলা করা। দ্বিতীয়ত, সবার জন্য স্বাস্থ্য আইডিসহ একটি আন্ত চালিত, ডাটানির্ভর স্বাস্থ্য তথ্য সিস্টেম বিকাশে দক্ষতা বিনিময় করা।

তৃতীয়ত, আমাদের উপযোগী একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্য বীমা স্কিম বিকাশে সহায়তা করা। চতুর্থত, দ্রুত বর্ধনশীল স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্টআপসহ স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো। পঞ্চমত, জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পেটেন্ট প্রকাশ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের ‘ট্রিপ’ (ট্রাফিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন পার্টনারশিপ) বাধ্যবাধকতা মেনে চলা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সবার জন্য স্বাস্থ্যেসেবার সুযোগ নিশ্চিতকরণে আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিশেষায়িত মেডিক্যাল হাসপাতাল পর্যন্ত দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা তৃণমূলে বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ লভ্যাংশ দিয়েছে; কারণ বাংলাদেশ প্রতি এক লাখ জন্মে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬৩-এ নামিয়ে এনেছে। এগুলো ছাড়াও প্রতি হাজার জন্মে নবজাতকের মৃত্যুহার ১৫ এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী মৃত্যুহার ২৮-এ নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, ‘শিশু টিকাদানের ওপর আমাদের গুরুত্ব সর্বজনীন কভারেজ অর্জন করেছে। আমাদের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছরের কাছাকাছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ কভিড-১৯ মহামারি ব্যবস্থাপনায় বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। আমরা এখন ডেঙ্গু মোকাবেলায় হাই অ্যালার্টে কাজ করছি। আমরা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের জন্য উন্নত চিকিৎসা চালু করছি,’ বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক ও শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে চিকিৎসাসেবা প্রদানের মান প্রতিষ্ঠা করেছে। মানসিক স্বাস্থ্য ও স্নায়বিক রোগের বিষয়ে বাংলাদেশের নীতি ও পদক্ষেপ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কৃতিগতভাবে সংবেদনশীল পদ্ধতিতে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করি। আমরা পুষ্টি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা এবং পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াচ্ছি।’

ইরানিদের ‘শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার’ আহ্বান খামেনির

স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সহায়তা বাড়ান : জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ১১:৫৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে পাঁচটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ‘ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ (ইউএইচসি)’ বিষয়ক ইউএনজিএ উচ্চস্তরের বৈঠকে ভাষণদানকালে এ আহ্বান জানান।

ক্ষেত্রগুলো হলো : প্রথমত, শিশু, মা ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের জন্য উন্নয়ন সহায়তা বজায় রাখা এবং অভিবাসীদের স্বাস্থ্য ও জলবায়ু স্বাস্থ্য চক্র মোকাবেলা করা। দ্বিতীয়ত, সবার জন্য স্বাস্থ্য আইডিসহ একটি আন্ত চালিত, ডাটানির্ভর স্বাস্থ্য তথ্য সিস্টেম বিকাশে দক্ষতা বিনিময় করা।

তৃতীয়ত, আমাদের উপযোগী একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্য বীমা স্কিম বিকাশে সহায়তা করা। চতুর্থত, দ্রুত বর্ধনশীল স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্টআপসহ স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো। পঞ্চমত, জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পেটেন্ট প্রকাশ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের ‘ট্রিপ’ (ট্রাফিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন পার্টনারশিপ) বাধ্যবাধকতা মেনে চলা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সবার জন্য স্বাস্থ্যেসেবার সুযোগ নিশ্চিতকরণে আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিশেষায়িত মেডিক্যাল হাসপাতাল পর্যন্ত দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা তৃণমূলে বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ লভ্যাংশ দিয়েছে; কারণ বাংলাদেশ প্রতি এক লাখ জন্মে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬৩-এ নামিয়ে এনেছে। এগুলো ছাড়াও প্রতি হাজার জন্মে নবজাতকের মৃত্যুহার ১৫ এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী মৃত্যুহার ২৮-এ নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, ‘শিশু টিকাদানের ওপর আমাদের গুরুত্ব সর্বজনীন কভারেজ অর্জন করেছে। আমাদের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছরের কাছাকাছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ কভিড-১৯ মহামারি ব্যবস্থাপনায় বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। আমরা এখন ডেঙ্গু মোকাবেলায় হাই অ্যালার্টে কাজ করছি। আমরা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের জন্য উন্নত চিকিৎসা চালু করছি,’ বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক ও শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে চিকিৎসাসেবা প্রদানের মান প্রতিষ্ঠা করেছে। মানসিক স্বাস্থ্য ও স্নায়বিক রোগের বিষয়ে বাংলাদেশের নীতি ও পদক্ষেপ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কৃতিগতভাবে সংবেদনশীল পদ্ধতিতে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করি। আমরা পুষ্টি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা এবং পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াচ্ছি।’