৭ জানুয়ারি দেশে তৃতীয়বারের মতো আরও একটি একতরফা পাতানো নির্বাচনের অন্ধকারময় অধ্যায় রচিত হতে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, আজ এক কঠিন সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ। আমরা একটি গভীর ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, অভিনব ডামি নির্বাচনি নাটকের মাধ্যমে অবৈধভাবে গত ১৫ বছরের মতো আবারও ক্ষমতায় থাকতে এক বিপজ্জনক খেলার আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও তাদের দলদাস রাষ্ট্রযন্ত্র শুধু মানুষের ভোটাধিকার থেকেই বঞ্চিতই করেনি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বকে উপেক্ষা করে প্রকাশ্য ভোটরঙ্গের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে ভয়ঙ্কর বিপদের দিকে।
আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় থাকার জন্য পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটাকে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি বানিয়ে ফেলেছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, গতকাল (শুক্রবার) রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের নৃশংসতম এবং বর্বরোচিত ন্যক্কারজনক ঘটনার পরই বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিকভাবে তদন্তের আহ্বান জানানো হয়। প্রকৃত দোষীদের আটক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে সাত সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
তিনি বলেন, অথচ অত্যন্ত করিৎকর্মা, সরকারের আজ্ঞাবহ মহানগর ডিবি পুলিশ প্রধান আজ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় বিএনপি নেতাদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে ডিবি। আওয়ামী লীগ নেতারাও এই ঘটনায় বিএনপিকে দুষছেন। দুপক্ষের কী হাস্যকর বয়ান!
রিজভী আরও বলেন, সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ ছয় জনকে তুলে নিয়ে, তাদের ওপর নৃশংস নির্যাতন করে, গতকালের ট্রেনে অগ্নিসংযোগের দোষ চাপাচ্ছে তাদের ওপর। প্রতিটি নাশকতার ঘটনার পর বিএনপির ওপর দোষ চাপানো আওয়ামী লীগ ও তাদের দলীয় পুলিশ প্রশাসনের মজ্জাগত স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা এসব করছে, যাতে বিএনপিসহ বিরোধীদের ওপর সব কিছুর দায় চাপিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহিংস আন্দোলন হিসেবে দেখাতে পারে।