ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় মাহমুদউল্লাহর Logo বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় মেহেন্দিগঞ্জ ছাত্রকল্যাণ সমিতির নেতৃত্বে জহিরুল – নাজমুল Logo নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীদের সংগঠন আইবিডব্লিউএফ এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছে ১৭৬ বাংলাদেশি Logo “আ. লীগের বিচার নিশ্চিত হওয়ার আগে কোনো আলাপ নয়, ফুলস্টপ” Logo ‘জান দেব, জুলাই দেব না’, স্লোগানে-স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ Logo প্রেমে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ, মামলা তুলে না নেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ Logo উপদেষ্টা পদে ৮ জনের শপথ, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পত্রটি ভুয়া: প্রেস সচিব Logo বগুড়ায় ট্রা‌কের ধাক্কায় মা-মে‌য়ের মৃত্যু Logo হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের জামিন

ঝিনাইদহে ছয় মাস পর মুক্তি পেল ভারতের ১১ গরু

ঝিনাইদহে ছয় মাস নিরাপত্তা হেফাজতে থাকার পর বিশাল আকৃতির ১১টি ভারতীয় গরু নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারী) ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত চত্বরে ১৯ লাখ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় এসব গরু। তবে এতদিন দেখভাল করায় এসব গরুর খাবার বাবদ প্রাণিসম্পদ বিভাগের খরচ হয়েছে ১৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

গরুগুলো কিনে নেন শৈলকুপা উপজেলার কাচেরকোল গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন ও মির্জাপুরের শওকত হোসেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু সায়েম জানান, ২০২৩ সালের ২১ জুন গভীর রাতে জেলার মহেশপুর উপজেলার নাটীমা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করার সময় ভারতীয় এসব গরুগুলো আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সেসময় মহেশপুর উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের চোরাকারবারি ফারুক হোসেন, সাদিসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে মহেশপুর থানায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পারভেজ কবির বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে তিন চোরাকারবারিকে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু গরু নিয়ে বিপাকে পড়ে পুলিশ। আদালতের কাছে নিলামের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী।

তবে গরুর মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা করেন দুই ব্যক্তি। মামলা মাসের পর মাস চলতে থাকে। পরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজ কুমারকে গরুগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। সদর থানা চত্বরেই একটি অস্থায়ী শেড নির্মাণ করেন তিনি। দুজন রাখাল রেখে গরুগুলোর দেখাশোনা করা হয়।

ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল আদালতে মালিক দাবি করে দায়ের করা মামলায় হেরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করে ওই ব্যক্তিরা। সঠিক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়ে জজ আদালতেও হেরে যান তারা। চলে যান উচ্চ আদালতে। হঠাৎ মামলা তুলে নেন ওই দুই ব্যক্তি।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আবু সায়েম জানান, গরুগুলোর খাবার বাবদ এ পর্যন্ত ১৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে প্রাণিসম্পদ বিভাগ ১২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা খরচ করেছে। বাকি ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার।

এ ব্যাপারে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির জিয়াউর রহমান জানান, নিয়ম মেনে আদালত চত্বরে প্রকাশ্য নিলামে ১১টি গরু বিক্রি করা হয়। প্রকৃত মূল্য ১৯ লাখ ৫ হাজার টাকা। ভ্যাট ও আইটিসহ ২১ লাখ ৪৩ হাজার ১২৫ টাকা। গরু পালন করতে যে টাকা খরচ হয়েছে, তা যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর খরচ বাদ দিয়ে বাকি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় মাহমুদউল্লাহর

ঝিনাইদহে ছয় মাস পর মুক্তি পেল ভারতের ১১ গরু

আপডেট সময় ০৬:০৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪

ঝিনাইদহে ছয় মাস নিরাপত্তা হেফাজতে থাকার পর বিশাল আকৃতির ১১টি ভারতীয় গরু নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারী) ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত চত্বরে ১৯ লাখ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় এসব গরু। তবে এতদিন দেখভাল করায় এসব গরুর খাবার বাবদ প্রাণিসম্পদ বিভাগের খরচ হয়েছে ১৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

গরুগুলো কিনে নেন শৈলকুপা উপজেলার কাচেরকোল গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন ও মির্জাপুরের শওকত হোসেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু সায়েম জানান, ২০২৩ সালের ২১ জুন গভীর রাতে জেলার মহেশপুর উপজেলার নাটীমা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করার সময় ভারতীয় এসব গরুগুলো আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সেসময় মহেশপুর উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের চোরাকারবারি ফারুক হোসেন, সাদিসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে মহেশপুর থানায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পারভেজ কবির বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে তিন চোরাকারবারিকে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু গরু নিয়ে বিপাকে পড়ে পুলিশ। আদালতের কাছে নিলামের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী।

তবে গরুর মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা করেন দুই ব্যক্তি। মামলা মাসের পর মাস চলতে থাকে। পরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজ কুমারকে গরুগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। সদর থানা চত্বরেই একটি অস্থায়ী শেড নির্মাণ করেন তিনি। দুজন রাখাল রেখে গরুগুলোর দেখাশোনা করা হয়।

ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল আদালতে মালিক দাবি করে দায়ের করা মামলায় হেরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করে ওই ব্যক্তিরা। সঠিক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়ে জজ আদালতেও হেরে যান তারা। চলে যান উচ্চ আদালতে। হঠাৎ মামলা তুলে নেন ওই দুই ব্যক্তি।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আবু সায়েম জানান, গরুগুলোর খাবার বাবদ এ পর্যন্ত ১৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে প্রাণিসম্পদ বিভাগ ১২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা খরচ করেছে। বাকি ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার।

এ ব্যাপারে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির জিয়াউর রহমান জানান, নিয়ম মেনে আদালত চত্বরে প্রকাশ্য নিলামে ১১টি গরু বিক্রি করা হয়। প্রকৃত মূল্য ১৯ লাখ ৫ হাজার টাকা। ভ্যাট ও আইটিসহ ২১ লাখ ৪৩ হাজার ১২৫ টাকা। গরু পালন করতে যে টাকা খরচ হয়েছে, তা যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর খরচ বাদ দিয়ে বাকি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।