ঢাকা ০৬:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আতঙ্কে জনগণ এখন চোখের ইশারায় কথা বলে: রিজভী

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৮:০৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪
  • 138

আতঙ্কে জনগণ এখন চোখের ইশারায় কথা বলে : রিজভী

সরকারের সীমাহীন নিপীড়ন-নির্যাতনের মাঝেও ভোট বর্জনের চলমান আন্দোলনের প্রতি জনগণ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন। দেশে ভয়াবহ দুঃশাসন চলছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘সরকারের সীমাহীন নিপীড়ন-নির্যাতনের কারণে দেশের জনগণ এখন ভয়ে কথা বলতে পারে না। চোখের ইশারায় কথা বলে।

আমরা যখন ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করতে যাই অনেকের সঙ্গে হাত মেলাই। চোখের ভাষায় বোঝা যায় তাদের সম্মতি আছে আমাদের কর্মসূচিতে। বোঝা যায়, তারা আতঙ্কে আছে। এমনও হয়েছে প্রাইভেট চাকরি করেন; লিফলেট হাতে নিয়ে বলেন, প্রকাশ্যে পড়া যাবে না; বাসায় নিয়ে পড়ব।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে দুঃশাসন এতটাই তীব্র হয়েছে যে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করা যাচ্ছে না। যারা সত্য কথা বলবে, তাদের নামে হবে নাশকতাসহ ভয়ংকর সব মামলা।

রিজভী অভিযোগ করে আরো বলেন, কারাগারের ভেতরেও বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীরা নিপীড়ন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সাবেক যারা এমপি কারাগারে তাঁরা ডিভিশন পান।

কিন্তু বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সাবেক এমপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ডিভিশন বাতিল করে সাধারণ কয়েদিদের জায়গায় রাখা হয়েছে।
রিজভী আরো বলেন, এই দেশে যখন উপনিবেশ শাসন ছিল তখনও রাজনীতিবিদদের নামে মামলা দেওয়া হতো, কিন্তু তখন তাঁদের সম্মান করত; এটা কারাগারে হোক বা কারাগারের বাইরে হোক। বর্তমানের মতো এত নিষ্ঠুর অবিচার নির্যাতন অসম্মান করা হত না। আওয়ামী লীগের এই নির্যাতন নিপীড়ন অতীতের স্বৈরশাসকের সব রেকর্ড এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও ছড়িয়ে গিয়েছে। রিজভী বলেন, ‘এ দেশে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম হয়েছে আন্দোলন হয়েছে।

নব্বইয়েও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে। সেই গণতন্ত্রের আন্দোলনের চিহ্ন এখনো আমি বয়ে বেড়াচ্ছি। এখনো কেন এই দেশে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হবে? বর্তমান স্বৈরশাসক তো মহাপ্রতারণা অত্যাচারের সঙ্গে সরকারি প্রশাসনিক নির্যাতনের খড়্গ জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। আর মিডিয়াকে ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত বিরোধী দলের ওপর নানা ধরনের কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছে।’

বিএনপির নেতাকর্মী ও সমমনা দলের নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমরা যে লিফলেট বিতরণ করছি আপনাদের কাছে অনুরোধ করব এই লিফলেট প্রতি ঘরে ঘরে নিয়ে যাবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সবার হাতে হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন। এটা শুধু শহরে বা নগরে দিলেই হবে না, এটা থানা পর্যায়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রতি ঘরে ঘরে নিয়ে যেতে হবে। কারণ, এই কর্মসূচির প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে। সরকারের অনাচারের বিরুদ্ধে আপনারা যে লিফলেট বিতরণ করছেন জনগণের ভাষা এই লিফলেটের মধ্যে লিপিবদ্ধ হয়েছে।’

রিজভী জানান, গতকাল সোমবার দুপুর থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে ৪টি, আসামি করা হয়েছে ৩২৫ জনকে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

আতঙ্কে জনগণ এখন চোখের ইশারায় কথা বলে: রিজভী

আপডেট সময় ০৮:০৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪

সরকারের সীমাহীন নিপীড়ন-নির্যাতনের মাঝেও ভোট বর্জনের চলমান আন্দোলনের প্রতি জনগণ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন। দেশে ভয়াবহ দুঃশাসন চলছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘সরকারের সীমাহীন নিপীড়ন-নির্যাতনের কারণে দেশের জনগণ এখন ভয়ে কথা বলতে পারে না। চোখের ইশারায় কথা বলে।

আমরা যখন ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করতে যাই অনেকের সঙ্গে হাত মেলাই। চোখের ভাষায় বোঝা যায় তাদের সম্মতি আছে আমাদের কর্মসূচিতে। বোঝা যায়, তারা আতঙ্কে আছে। এমনও হয়েছে প্রাইভেট চাকরি করেন; লিফলেট হাতে নিয়ে বলেন, প্রকাশ্যে পড়া যাবে না; বাসায় নিয়ে পড়ব।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে দুঃশাসন এতটাই তীব্র হয়েছে যে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করা যাচ্ছে না। যারা সত্য কথা বলবে, তাদের নামে হবে নাশকতাসহ ভয়ংকর সব মামলা।

রিজভী অভিযোগ করে আরো বলেন, কারাগারের ভেতরেও বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীরা নিপীড়ন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সাবেক যারা এমপি কারাগারে তাঁরা ডিভিশন পান।

কিন্তু বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সাবেক এমপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ডিভিশন বাতিল করে সাধারণ কয়েদিদের জায়গায় রাখা হয়েছে।
রিজভী আরো বলেন, এই দেশে যখন উপনিবেশ শাসন ছিল তখনও রাজনীতিবিদদের নামে মামলা দেওয়া হতো, কিন্তু তখন তাঁদের সম্মান করত; এটা কারাগারে হোক বা কারাগারের বাইরে হোক। বর্তমানের মতো এত নিষ্ঠুর অবিচার নির্যাতন অসম্মান করা হত না। আওয়ামী লীগের এই নির্যাতন নিপীড়ন অতীতের স্বৈরশাসকের সব রেকর্ড এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও ছড়িয়ে গিয়েছে। রিজভী বলেন, ‘এ দেশে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম হয়েছে আন্দোলন হয়েছে।

নব্বইয়েও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে। সেই গণতন্ত্রের আন্দোলনের চিহ্ন এখনো আমি বয়ে বেড়াচ্ছি। এখনো কেন এই দেশে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হবে? বর্তমান স্বৈরশাসক তো মহাপ্রতারণা অত্যাচারের সঙ্গে সরকারি প্রশাসনিক নির্যাতনের খড়্গ জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। আর মিডিয়াকে ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত বিরোধী দলের ওপর নানা ধরনের কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছে।’

বিএনপির নেতাকর্মী ও সমমনা দলের নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমরা যে লিফলেট বিতরণ করছি আপনাদের কাছে অনুরোধ করব এই লিফলেট প্রতি ঘরে ঘরে নিয়ে যাবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সবার হাতে হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন। এটা শুধু শহরে বা নগরে দিলেই হবে না, এটা থানা পর্যায়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রতি ঘরে ঘরে নিয়ে যেতে হবে। কারণ, এই কর্মসূচির প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে। সরকারের অনাচারের বিরুদ্ধে আপনারা যে লিফলেট বিতরণ করছেন জনগণের ভাষা এই লিফলেটের মধ্যে লিপিবদ্ধ হয়েছে।’

রিজভী জানান, গতকাল সোমবার দুপুর থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে ৪টি, আসামি করা হয়েছে ৩২৫ জনকে।